নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে
শিক্ষকরা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পরীক্ষা নেননি, বরং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের
পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করেছেন এবং বিদ্যালয়ে তালা দিয়েছেন, যা
'দায়িত্বহীন আচরণ'।
এমন আচরণ সরকারি কর্মচারী আইন-২০১৮
এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন ও
শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নোটিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া
হবে না, সে বিষয়ে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
পাল্টা কর্মসূচি ও আন্দোলন
স্থগিতমন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা জারির রাতেও 'প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন
পরিষদ' ও 'বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ'-এর পক্ষ থেকে আন্দোলন
চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে বদলি ও শোকজের পর গতকাল বৃহস্পতিবার
রাতে তাঁরা আন্দোলন স্থগিতের কথা জানান।
সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ অনুযায়ী
সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলাভঙ্গ বা শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রমাণে সর্বনিম্ন
শাস্তি তিরস্কার এবং সর্বোচ্চ চাকরি থেকে বরখাস্তের বিধান রয়েছে।
চাকরি আইনের দশম অধ্যায়ে বলা হয়েছে,
সরকারি কর্মচারীর আচরণ এবং শৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ
বিধান অনুসরণক্রমে কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা রুজু ও পরিচালনা
করতে পারবে।
এই আইনের শাস্তিতে বলা হয়েছে,
নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, বিভাগীয় কার্যধারায় দোষী সাব্যস্ত কোনো কর্মচারীকে
এতদসংক্রান্ত বিধির বিধান সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক লঘু বা গুরুদণ্ড
আরোপ করতে পারবে, যথা—
লঘু দণ্ডসমূহ—তিরস্কার; নির্দিষ্ট
মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিতকরণ; বেতন স্কেলের নিম্নধাপে
অবনমিতকরণ; কোনো আইন বা সরকারি আদেশ অমান্যকরণ অথবা কর্তব্যে ইচ্ছাকৃত অবহেলার
কারণে সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হইলে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়।
গুরুদণ্ডসমূহ—নিম্ন পদ বা নিম্নতর
বেতন স্কেলে অবনমিতকরণ; বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান; চাকরি হইতে অপসারণ; চাকরি হইতে
বরখাস্ত।
আপনার মতামত লিখুন