ইনস্টাগ্রাম বুধবার
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক একটি নতুন ফিচার উন্মোচন করেছে, যার মাধ্যমে
ব্যবহারকারীরা তাদের রিলস ফিডকে প্রভাবিত করা অ্যালগরিদম দেখতে ও সমন্বয় করতে
পারবেন। ব্যবহারকারীদের হাতে আরো নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এটিকে একটি অগ্রগামী
পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
মেটা
মালিকানাধীন এই অ্যাপে ‘ইওর অ্যালগরিদম’ নামের ফিচারটি চালু করা হয়েছে, যা
রিলস—অর্থাৎ ব্যবহারকারীর ভিডিও ফিডের—ওপরের ডান কোণে থাকা একটি আইকনের মাধ্যমে
পাওয়া যাবে। এতে ব্যবহারকারীর দেখার ইতিহাসের ভিত্তিতে ইনস্টাগ্রাম কোন কোন বিষয়ের
প্রতি তারা আগ্রহী বলে মনে করে, তার তালিকা দেখানো হবে।
এক পোস্টে মেটা
জানিয়েছে, এখন ব্যবহারকারীরা সরাসরি প্ল্যাটফর্মকে জানাতে পারবেন—তারা কোন কোন
বিষয় আরো দেখতে চান বা কম দেখতে চান। এসব পছন্দ অনুযায়ী রিয়েল টাইমে কনটেন্টের
সুপারিশও সমন্বয় করা হবে।
অ্যালগরিদমের
মাধ্যমে কনটেন্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও ব্যবহারকারীদের চাপের মুখে রয়েছে।
সমালোচকদের মতে, এই ধরনের অ্যালগরিদম কখনো কখনো ‘ইকো চেম্বার’ তৈরি করে অথবা
ক্ষতিকর কনটেন্টকে উৎসাহিত করে।
তবে কম্পানিগুলোর
দৃষ্টিতে অ্যালগরিদমই তাদের প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীদের সম্পৃক্ত রাখার ‘গোপন
উপাদান’, যার কারণে তারা প্রায়ই অতিরিক্ত স্বচ্ছতার বিরোধিতা করে এসেছে।
মেটা
তাদের ব্লগে বলেছে, ‘ইনস্টাগ্রাম সব সময়ই এমন একটি জায়গা, যেখানে নিজের আগ্রহের
বিষয়ে গভীরে ডুব দেওয়া যায় এবং বন্ধুদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা যায়। সময়ের সঙ্গে
আপনার আগ্রহ বদলায়, তাই আপনি কী দেখবেন—তা নিয়ন্ত্রণের আরো অর্থবহ উপায় আমরা দিতে
চাই।’
এই
ফিচারে ব্যবহারকারীরা তাদের শীর্ষ আগ্রহগুলোর একটি সারসংক্ষেপ দেখতে পারবেন এবং
নির্দিষ্ট বিষয় টাইপ করে নিজেদের ফিড আরো সূক্ষ্মভাবে সাজাতে পারবেন।
ইনস্টাগ্রাম জানিয়েছে,
এ ধরনের স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা ‘পথ দেখাচ্ছে’ এবং ভবিষ্যতে
রিলসের বাইরে এক্সপ্লোরসহ অ্যাপটির অন্যান্য অংশেও এই ফিচার সম্প্রসারণের
পরিকল্পনা রয়েছে।
এই
টুলটি বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে চালু হয়েছে এবং শিগগিরই ইংরেজি ভাষায় বিশ্বব্যাপী এটি
চালু করা হবে বলে কম্পানিটি জানিয়েছে।
এই
উদ্যোগটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন অস্ট্রেলিয়া বিশ্বে প্রথমবারের মতো ১৬ বছরের কম
বয়সীদের জন্য ইনস্টাগ্রামসহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ
করেছে। দেশটির সরকার বলেছে, তারা প্রযুক্তি জায়ান্টদের কাছ থেকে ‘নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে
নিতে’ এবং শিশুদের ‘শিকারি অ্যালগরিদম’ থেকে সুরক্ষা দিতে চায়
এম.এইছ / ধ্রুব্কণ্ঠ
বিষয় : ইনস্টাগ্রাম
.png)
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
ইনস্টাগ্রাম বুধবার
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক একটি নতুন ফিচার উন্মোচন করেছে, যার মাধ্যমে
ব্যবহারকারীরা তাদের রিলস ফিডকে প্রভাবিত করা অ্যালগরিদম দেখতে ও সমন্বয় করতে
পারবেন। ব্যবহারকারীদের হাতে আরো নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এটিকে একটি অগ্রগামী
পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
মেটা
মালিকানাধীন এই অ্যাপে ‘ইওর অ্যালগরিদম’ নামের ফিচারটি চালু করা হয়েছে, যা
রিলস—অর্থাৎ ব্যবহারকারীর ভিডিও ফিডের—ওপরের ডান কোণে থাকা একটি আইকনের মাধ্যমে
পাওয়া যাবে। এতে ব্যবহারকারীর দেখার ইতিহাসের ভিত্তিতে ইনস্টাগ্রাম কোন কোন বিষয়ের
প্রতি তারা আগ্রহী বলে মনে করে, তার তালিকা দেখানো হবে।
এক পোস্টে মেটা
জানিয়েছে, এখন ব্যবহারকারীরা সরাসরি প্ল্যাটফর্মকে জানাতে পারবেন—তারা কোন কোন
বিষয় আরো দেখতে চান বা কম দেখতে চান। এসব পছন্দ অনুযায়ী রিয়েল টাইমে কনটেন্টের
সুপারিশও সমন্বয় করা হবে।
অ্যালগরিদমের
মাধ্যমে কনটেন্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও ব্যবহারকারীদের চাপের মুখে রয়েছে।
সমালোচকদের মতে, এই ধরনের অ্যালগরিদম কখনো কখনো ‘ইকো চেম্বার’ তৈরি করে অথবা
ক্ষতিকর কনটেন্টকে উৎসাহিত করে।
তবে কম্পানিগুলোর
দৃষ্টিতে অ্যালগরিদমই তাদের প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীদের সম্পৃক্ত রাখার ‘গোপন
উপাদান’, যার কারণে তারা প্রায়ই অতিরিক্ত স্বচ্ছতার বিরোধিতা করে এসেছে।
মেটা
তাদের ব্লগে বলেছে, ‘ইনস্টাগ্রাম সব সময়ই এমন একটি জায়গা, যেখানে নিজের আগ্রহের
বিষয়ে গভীরে ডুব দেওয়া যায় এবং বন্ধুদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা যায়। সময়ের সঙ্গে
আপনার আগ্রহ বদলায়, তাই আপনি কী দেখবেন—তা নিয়ন্ত্রণের আরো অর্থবহ উপায় আমরা দিতে
চাই।’
এই
ফিচারে ব্যবহারকারীরা তাদের শীর্ষ আগ্রহগুলোর একটি সারসংক্ষেপ দেখতে পারবেন এবং
নির্দিষ্ট বিষয় টাইপ করে নিজেদের ফিড আরো সূক্ষ্মভাবে সাজাতে পারবেন।
ইনস্টাগ্রাম জানিয়েছে,
এ ধরনের স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা ‘পথ দেখাচ্ছে’ এবং ভবিষ্যতে
রিলসের বাইরে এক্সপ্লোরসহ অ্যাপটির অন্যান্য অংশেও এই ফিচার সম্প্রসারণের
পরিকল্পনা রয়েছে।
এই
টুলটি বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে চালু হয়েছে এবং শিগগিরই ইংরেজি ভাষায় বিশ্বব্যাপী এটি
চালু করা হবে বলে কম্পানিটি জানিয়েছে।
এই
উদ্যোগটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন অস্ট্রেলিয়া বিশ্বে প্রথমবারের মতো ১৬ বছরের কম
বয়সীদের জন্য ইনস্টাগ্রামসহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ
করেছে। দেশটির সরকার বলেছে, তারা প্রযুক্তি জায়ান্টদের কাছ থেকে ‘নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে
নিতে’ এবং শিশুদের ‘শিকারি অ্যালগরিদম’ থেকে সুরক্ষা দিতে চায়
এম.এইছ / ধ্রুব্কণ্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন