অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ সোমবার
(২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপিতে যোগদান করেছেন। কেন তিনি এনসিপিতে যোগ দিলেন সংবাদ সম্মেলনে সে বিষয়টি পরিষ্কার করেন তিনি নিজেই।
তিনি বলেন,
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের ১৪শ’
সহযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি সহযোদ্ধা। বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে এই গণঅভ্যুত্থান। এর মধ্য দিয়ে একটা দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়েছে।’
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন,
‘এছাড়া কয়েকদিন আগে আমাদের আরও একজন সহযোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং শহীদ হয়েছেন।’
তিনি বলেন,
‘আমি মনে করি,
এই সময়ে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং ঐক্যবদ্ধ রাখা অত্যন্ত জরুরি। একইসঙ্গে এই গণঅভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, শহীদদের ও শহীদদের পরিবারের এবং বাংলাদেশের লক্ষ কোটি মানুষ যারা গণঅভ্যুত্থানে যোগ দিয়েছিলেন, তাদের যে আকাঙ্ক্ষা; সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারও সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার,
সেই জায়গা থেকে আজ আমি জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগদান করছি।’
সাবেক উপদেষ্টা আরও বলেন,
‘আমি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। আমি মনে করি,
আমি একজনের সংসদে যাওয়ার চেয়ে আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আরও অসংখ্য সহযোদ্ধার সংসদে যাওয়ার বিষয়ে যদি অবদান রাখতে পারি,
আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি,
তাহলে এর থেকে বড় সাফল্য আর কিছুতেই হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আজ মনোনয়নপত্র জামার শেষ দিন। আমরা আশা করি, কোনো হানাহানি ছাড়া এই গণতান্ত্রিক যাত্রার পথ অতিক্রম করতে পারবে দেশ। এই গণতান্ত্রিক উত্তোরণের পক্ষে আমি কাজ করে যাবো। এই নির্বাচনে দুটি ব্যালট থাকবে। আপনারা যদি গণভোটে হ্যাঁ ভোটকে জয়যুক্ত করেন, তবে বাংলাদেশ একশ’ বছর এগিয়ে যাবো। আমাদের সহযোদ্ধাদের নির্বাচিত করার জন্য আমি চেষ্টা করবো এবং গণভোটের পক্ষে হ্যাঁ ভোটকে জয়যুক্ত করার জন্য কাজ করে যাবো।’
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
বিষয় : এনসিপি আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা
.png)
বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ সোমবার
(২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপিতে যোগদান করেছেন। কেন তিনি এনসিপিতে যোগ দিলেন সংবাদ সম্মেলনে সে বিষয়টি পরিষ্কার করেন তিনি নিজেই।
তিনি বলেন,
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের ১৪শ’
সহযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি সহযোদ্ধা। বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে এই গণঅভ্যুত্থান। এর মধ্য দিয়ে একটা দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়েছে।’
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন,
‘এছাড়া কয়েকদিন আগে আমাদের আরও একজন সহযোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং শহীদ হয়েছেন।’
তিনি বলেন,
‘আমি মনে করি,
এই সময়ে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং ঐক্যবদ্ধ রাখা অত্যন্ত জরুরি। একইসঙ্গে এই গণঅভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, শহীদদের ও শহীদদের পরিবারের এবং বাংলাদেশের লক্ষ কোটি মানুষ যারা গণঅভ্যুত্থানে যোগ দিয়েছিলেন, তাদের যে আকাঙ্ক্ষা; সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারও সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার,
সেই জায়গা থেকে আজ আমি জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগদান করছি।’
সাবেক উপদেষ্টা আরও বলেন,
‘আমি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। আমি মনে করি,
আমি একজনের সংসদে যাওয়ার চেয়ে আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আরও অসংখ্য সহযোদ্ধার সংসদে যাওয়ার বিষয়ে যদি অবদান রাখতে পারি,
আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি,
তাহলে এর থেকে বড় সাফল্য আর কিছুতেই হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আজ মনোনয়নপত্র জামার শেষ দিন। আমরা আশা করি, কোনো হানাহানি ছাড়া এই গণতান্ত্রিক যাত্রার পথ অতিক্রম করতে পারবে দেশ। এই গণতান্ত্রিক উত্তোরণের পক্ষে আমি কাজ করে যাবো। এই নির্বাচনে দুটি ব্যালট থাকবে। আপনারা যদি গণভোটে হ্যাঁ ভোটকে জয়যুক্ত করেন, তবে বাংলাদেশ একশ’ বছর এগিয়ে যাবো। আমাদের সহযোদ্ধাদের নির্বাচিত করার জন্য আমি চেষ্টা করবো এবং গণভোটের পক্ষে হ্যাঁ ভোটকে জয়যুক্ত করার জন্য কাজ করে যাবো।’
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন