ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ ও বিজয়নগরের একাংশ) বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বহিষ্কার হয়েছেন দলটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। বহিষ্কারের পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেছেন, এই আপসহীনতা নেত্রীর কাছ থেকেই শিখেছি। তিনি জানান, বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়াটা এক ধরনের আপসহীনতার বহিঃপ্রকাশ। জোয়ারের বিপরীতে একা দাঁড়িয়ে যাওয়ার এই সাহস তিনি তার নেত্রীর কাছ থেকেই শিখেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।
রুমিন জানান, রাজনীতিতে আপস না করে একা দাঁড়িয়ে যাওয়ার শিক্ষা তিনি পেয়েছেন খালেদা জিয়ার কাছ থেকেই। যার আদর্শে তিনি রাজনীতি করেছেন এবং যার আশ্রয় ও স্নেহে রাজনৈতিকভাবে বেড়ে উঠেছেন, তার প্রয়াণের দিনেই নিজের বহিষ্কারকে তিনি নিছক কাকতালীয় বলে মনে করেন না।
এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু এবং নিজের দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনা একই দিনে ঘটাকে ‘সংকেতপূর্ণ’ হিসেবে দেখছেন সদ্য বহিষ্কৃত সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।
রুমিন ফারহারনা বলেছন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দিনেই দল থেকে বহিষ্কারের আদেশ পাওয়া তার রাজনৈতিক জীবনের এক অদ্ভুত ও বেদনাদায়ক অধ্যায়। এ সময় তিনি জানান, বহিষ্কার সত্ত্বেও তিনি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। খালেদা জিয়াকে একজন আপসহীন নেত্রী হিসেবে উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা আরও বলেন, তিনি তার রাজনৈতিক অভিভাবককে হারিয়েছেন। খালেদা জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি করেছেন এবং সেই আদর্শ মেনেই তিনি পথ চলেছেন বলে জানান। তার মৃত্যুতে দেশ ও দলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রুমিন ফারহানা আরও বলেন, খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। এর কয়েক দিন আগে, ২০ নভেম্বর, তিনি তার সঙ্গে কথা বলেছেন। সে সময় খালেদা জিয়া জানতে চেয়েছিলেন, তাকে কেন মনোনয়ন দেওয়া হয়নি; এটুকুই তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে মঙ্গলবার রুমিন ফারহানাসহ মোট নয়জন নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ ও বিজয়নগরের একাংশ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
প্রসঙ্গত, ওই আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খেজুর গাছ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ
বিষয় : রাজনীতি খালেদা জিয়া রুমিন ফারহানা
.png)
বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ ও বিজয়নগরের একাংশ) বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বহিষ্কার হয়েছেন দলটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। বহিষ্কারের পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেছেন, এই আপসহীনতা নেত্রীর কাছ থেকেই শিখেছি। তিনি জানান, বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়াটা এক ধরনের আপসহীনতার বহিঃপ্রকাশ। জোয়ারের বিপরীতে একা দাঁড়িয়ে যাওয়ার এই সাহস তিনি তার নেত্রীর কাছ থেকেই শিখেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।
রুমিন জানান, রাজনীতিতে আপস না করে একা দাঁড়িয়ে যাওয়ার শিক্ষা তিনি পেয়েছেন খালেদা জিয়ার কাছ থেকেই। যার আদর্শে তিনি রাজনীতি করেছেন এবং যার আশ্রয় ও স্নেহে রাজনৈতিকভাবে বেড়ে উঠেছেন, তার প্রয়াণের দিনেই নিজের বহিষ্কারকে তিনি নিছক কাকতালীয় বলে মনে করেন না।
এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু এবং নিজের দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনা একই দিনে ঘটাকে ‘সংকেতপূর্ণ’ হিসেবে দেখছেন সদ্য বহিষ্কৃত সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।
রুমিন ফারহারনা বলেছন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দিনেই দল থেকে বহিষ্কারের আদেশ পাওয়া তার রাজনৈতিক জীবনের এক অদ্ভুত ও বেদনাদায়ক অধ্যায়। এ সময় তিনি জানান, বহিষ্কার সত্ত্বেও তিনি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। খালেদা জিয়াকে একজন আপসহীন নেত্রী হিসেবে উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা আরও বলেন, তিনি তার রাজনৈতিক অভিভাবককে হারিয়েছেন। খালেদা জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি করেছেন এবং সেই আদর্শ মেনেই তিনি পথ চলেছেন বলে জানান। তার মৃত্যুতে দেশ ও দলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রুমিন ফারহানা আরও বলেন, খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। এর কয়েক দিন আগে, ২০ নভেম্বর, তিনি তার সঙ্গে কথা বলেছেন। সে সময় খালেদা জিয়া জানতে চেয়েছিলেন, তাকে কেন মনোনয়ন দেওয়া হয়নি; এটুকুই তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে মঙ্গলবার রুমিন ফারহানাসহ মোট নয়জন নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ ও বিজয়নগরের একাংশ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
প্রসঙ্গত, ওই আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খেজুর গাছ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন