দিনের সবচেয়ে জরুরি
খাবার হলো সকালের নাস্তা। এটি শরীরের বিপাকক্রিয়া সচল করে এবং সারাদিন শক্তি
জোগায়। তবে নাস্তায় কিছু ভুল অভ্যাস আমাদের স্বাস্থ্য ও দিনের কার্যক্ষমতাকে নষ্ট
করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক নাস্তায় আমরা যে ৪টি সাধারণ ভুল করি—
১. দেরি করে নাস্তা
করা :
ঘুম থেকে
ওঠার দুই ঘণ্টার মধ্যে নাস্তা করা জরুরি—অর্থাৎ সকাল ৯টার আগে নাস্তা করতে হবে।
রাতভর খাওয়া না থাকায় শরীরের পানি ও পুষ্টির চাহিদা বেড়ে যায়। তাড়াতাড়ি
নাস্তা করলে শরীরের ওপর চাপ কম পড়ে; দেরিতে নাস্তা করলে সেই চাপ বাড়ে।
রাতের
খাবার ও নাস্তায় ১২ ঘণ্টার ব্যবধান থাকাই আদর্শ। যারা সকালে ব্যায়াম করেন, তারা
ব্যায়ামের ৩০ মিনিট আগে তরল খাদ্য বা সহজপাচ্য ফল—যেমন কলা বা আপেল—খেতে পারেন।
বিশেষ করে কলা দ্রুত শক্তি দেয় এবং পেশির খিঁচুনি কমায়।
২. নাস্তার পরই গোসল
করা :
অনেকেই
নাস্তা করার পর পরই গোসল করেন, যা হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। খাওয়ার পর গোসল
করলে হজমের তাপ বা শক্তি কমে যায়, ফলে হজম ধীর হয়ে বদহজম হতে পারে।
৩. সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া :
অনেকেই
সকালে ক্ষুধা না লাগায় নাস্তা এড়িয়ে যান। কিন্তু নাস্তা বাদ দিলে রক্তে শর্করার
মাত্রা কমে যায়, যা মেজাজ খারাপ, ক্লান্তি এবং শক্তি কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত নাস্তা না করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ,
হৃদরোগ ও স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ে। এটি শরীরের বিপাকক্রিয়াও ধীর করে দেয়।
৪. নাস্তা খুব কম খাওয়া :
অনেকেই
তাড়াহুড়োর কারণে নাস্তায় অল্প খান, ফলে শরীর দিনের জন্য দরকারি পুষ্টি পায় না।
নাস্তা উচিত দিনের সবচেয়ে সমৃদ্ধ খাবার—যেখানে থাকবে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং
বিভিন্ন মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট।
আমাদের
নাস্তায় সাধারণত কার্বোহাইড্রেট বেশি আর প্রোটিন কম থাকে—এটি ঠিক নয়। তাই
নাস্তায় দুধ, দই, বাদাম, বীজ ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার যুক্ত করা উচিত।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
বিষয় : জীবন যাপন অস্বাস্থ্যকর সকাল নাস্তা
.png)
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫
দিনের সবচেয়ে জরুরি
খাবার হলো সকালের নাস্তা। এটি শরীরের বিপাকক্রিয়া সচল করে এবং সারাদিন শক্তি
জোগায়। তবে নাস্তায় কিছু ভুল অভ্যাস আমাদের স্বাস্থ্য ও দিনের কার্যক্ষমতাকে নষ্ট
করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক নাস্তায় আমরা যে ৪টি সাধারণ ভুল করি—
১. দেরি করে নাস্তা
করা :
ঘুম থেকে
ওঠার দুই ঘণ্টার মধ্যে নাস্তা করা জরুরি—অর্থাৎ সকাল ৯টার আগে নাস্তা করতে হবে।
রাতভর খাওয়া না থাকায় শরীরের পানি ও পুষ্টির চাহিদা বেড়ে যায়। তাড়াতাড়ি
নাস্তা করলে শরীরের ওপর চাপ কম পড়ে; দেরিতে নাস্তা করলে সেই চাপ বাড়ে।
রাতের
খাবার ও নাস্তায় ১২ ঘণ্টার ব্যবধান থাকাই আদর্শ। যারা সকালে ব্যায়াম করেন, তারা
ব্যায়ামের ৩০ মিনিট আগে তরল খাদ্য বা সহজপাচ্য ফল—যেমন কলা বা আপেল—খেতে পারেন।
বিশেষ করে কলা দ্রুত শক্তি দেয় এবং পেশির খিঁচুনি কমায়।
২. নাস্তার পরই গোসল
করা :
অনেকেই
নাস্তা করার পর পরই গোসল করেন, যা হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। খাওয়ার পর গোসল
করলে হজমের তাপ বা শক্তি কমে যায়, ফলে হজম ধীর হয়ে বদহজম হতে পারে।
৩. সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া :
অনেকেই
সকালে ক্ষুধা না লাগায় নাস্তা এড়িয়ে যান। কিন্তু নাস্তা বাদ দিলে রক্তে শর্করার
মাত্রা কমে যায়, যা মেজাজ খারাপ, ক্লান্তি এবং শক্তি কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত নাস্তা না করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ,
হৃদরোগ ও স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ে। এটি শরীরের বিপাকক্রিয়াও ধীর করে দেয়।
৪. নাস্তা খুব কম খাওয়া :
অনেকেই
তাড়াহুড়োর কারণে নাস্তায় অল্প খান, ফলে শরীর দিনের জন্য দরকারি পুষ্টি পায় না।
নাস্তা উচিত দিনের সবচেয়ে সমৃদ্ধ খাবার—যেখানে থাকবে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং
বিভিন্ন মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট।
আমাদের
নাস্তায় সাধারণত কার্বোহাইড্রেট বেশি আর প্রোটিন কম থাকে—এটি ঠিক নয়। তাই
নাস্তায় দুধ, দই, বাদাম, বীজ ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার যুক্ত করা উচিত।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন