ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

ভাজাপোড়ার সাথে যে কারণে চা-কফি খাওয়া অস্বাস্থ্যকর



ভাজাপোড়ার সাথে যে কারণে চা-কফি খাওয়া অস্বাস্থ্যকর
ছবি: সংগৃহীত

শীতে তাপমাত্রা কমতেই চা-কফি খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। শীতের সন্ধ্যায় এক কাপ উষ্ণ কফি, পুরো শরীরে আরাম এনে দেয়। যদিও কারো কারো দিনই শুরু হয় কফি দিয়ে। সারা বছরই তাদের সাথে থাকে এই পানীয়। কিন্তু খালি পেটে কফি খাওয়া উচিত নয়। একইভাবে, কফির সঙ্গে এমন কোনো খাবার খাওয়া যাবে না, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এতে বদহজমসহ শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

কফির সঙ্গে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন

ভাজাপোড়া

ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস আর ক্যাপুচিনো একসঙ্গে খাওয়া যায় না। চা-কফির সঙ্গে কোনো ভাজাপোড়া খাবারই খাওয়া ঠিক হবে না। ভাজাপোড়া খাবারে উচ্চমাত্রায় ফ্যাট, সোডিয়াম থাকে। চা-কফির সঙ্গে এই ধরনের খাবার খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। 

সাইট্রাস ফল

কমলালেবু, পাতিলেবু, মুসাম্বি লেবুর মতো সাইট্রাস ফল কফির সঙ্গে খাওয়া অনুচিত।

লেবুতে এসিড থাকে। এটি চা-কফির সঙ্গে খেলে বদহজম হতে পারে। অনেক সময়ে এসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা দেখা দেয়। বমি, গ্যাস, বুক জ্বালার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

ফার্মেন্টেড ফুড

কিমচি, দই, আচার, ইডলি, ধোসার মতো ফার্মেন্টেড খাবার কফির সঙ্গে এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু চা-কফির সঙ্গে ফার্মেন্টেড খাবার খেলে পেটের সমস্যায় ভুগতে পারেন। পেট খারাপ বা বদহজম হতে পারে। ফার্মেন্টেড খাবার খেলেও তা চা-কফি খাওয়ার ১-২ ঘণ্টা আগে বা পরে খান।

দুধ বা ক্রিম

মিল্ক কফি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই।

এমনকি ক্যাপাচিনো, কোল্ড কফিতেও দুধ, আইসক্রিম, ক্রিমের ব্যবহার হয়। কিন্তু এটা না করাই ভালো। চেষ্টা করুন সব সময়ে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার। দুধ কফি খেলে এটি শরীরকে ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা দেয়। এর ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অনেক সময় কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

সূত্র : এই সময়

 

এমএম/ধ্রুবকন্ঠ

বিষয় : চা-কফি ভাজাপোড়া অস্বাস্থ্যকর যে কারণে

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫


ভাজাপোড়ার সাথে যে কারণে চা-কফি খাওয়া অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশের তারিখ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫

featured Image

শীতে তাপমাত্রা কমতেই চা-কফি খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। শীতের সন্ধ্যায় এক কাপ উষ্ণ কফি, পুরো শরীরে আরাম এনে দেয়। যদিও কারো কারো দিনই শুরু হয় কফি দিয়ে। সারা বছরই তাদের সাথে থাকে এই পানীয়। কিন্তু খালি পেটে কফি খাওয়া উচিত নয়। একইভাবে, কফির সঙ্গে এমন কোনো খাবার খাওয়া যাবে না, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এতে বদহজমসহ শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

কফির সঙ্গে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন

ভাজাপোড়া

ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস আর ক্যাপুচিনো একসঙ্গে খাওয়া যায় না। চা-কফির সঙ্গে কোনো ভাজাপোড়া খাবারই খাওয়া ঠিক হবে না। ভাজাপোড়া খাবারে উচ্চমাত্রায় ফ্যাট, সোডিয়াম থাকে। চা-কফির সঙ্গে এই ধরনের খাবার খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। 

সাইট্রাস ফল

কমলালেবু, পাতিলেবু, মুসাম্বি লেবুর মতো সাইট্রাস ফল কফির সঙ্গে খাওয়া অনুচিত।

লেবুতে এসিড থাকে। এটি চা-কফির সঙ্গে খেলে বদহজম হতে পারে। অনেক সময়ে এসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা দেখা দেয়। বমি, গ্যাস, বুক জ্বালার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

ফার্মেন্টেড ফুড

কিমচি, দই, আচার, ইডলি, ধোসার মতো ফার্মেন্টেড খাবার কফির সঙ্গে এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু চা-কফির সঙ্গে ফার্মেন্টেড খাবার খেলে পেটের সমস্যায় ভুগতে পারেন। পেট খারাপ বা বদহজম হতে পারে। ফার্মেন্টেড খাবার খেলেও তা চা-কফি খাওয়ার ১-২ ঘণ্টা আগে বা পরে খান।

দুধ বা ক্রিম

মিল্ক কফি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই।

এমনকি ক্যাপাচিনো, কোল্ড কফিতেও দুধ, আইসক্রিম, ক্রিমের ব্যবহার হয়। কিন্তু এটা না করাই ভালো। চেষ্টা করুন সব সময়ে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার। দুধ কফি খেলে এটি শরীরকে ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা দেয়। এর ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অনেক সময় কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

সূত্র : এই সময়

 

এমএম/ধ্রুবকন্ঠ


ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত