সকালের নানা ব্যস্ততা
বা দেরি করে ঘুম ভাঙার কারণে সকালের নাস্তা না খাওয়া অনেকেরই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
কেউ কেউ দেরিতে ঘুমাতে যাওয়ার কারণে নাস্তা বাদ দেন, আবার কেউ কেউ কাজে, বাচ্চাদের
বা ঘরের কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে খিদে না লাগা পর্যন্ত খাবার খান না।
কিন্তু
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হয় এবং ধীরে
ধীরে অনেক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে অতিরিক্ত খাওয়া, ওজন বৃদ্ধি এবং বিপাকীয়
ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
চলুন,
জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে কতগুলো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সকালের নাস্তা বাদ দিলে কী ক্ষতি
বিশেষজ্ঞদের
মতে, সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া মানে শরীরের সমগ্র গঠনকে ব্যাহত করা। সকালের খাবার না
খেলে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়, যার ফলে বিকেলের দিকে প্রচণ্ড
খিদা লাগে। এই খিদা পরবর্তীকালে বেশি পরিমাণে খাবার খেতে এবং উচ্চ-ক্যালরিযুক্ত
খাবার বেছে নেওয়ার দিকে পরিচালিত করে, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায় এবং পেটের চর্বি
বৃদ্ধি পায়।
সকালের নাস্তা বাদ দিলে
খিদার হরমোন ঘ্রেলিন বৃদ্ধি পায়, যা মিষ্টি ও চর্বিযুক্ত খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা
বাড়ায়। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতাও হ্রাস করে, যার ফলে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ
খারাপ হয়। অতিরিক্ত খাবার ওজন বৃদ্ধির প্রধান কারণ হয়ে ওঠে।
গবেষণায়
দেখা গেছে, যারা সকালের নাস্তা বাদ দেন তাদের মধ্যে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি
থাকে।
এই কোলেস্টেরল হৃদরোগ ও হার্ট
ব্লকেজের একটি প্রধান কারণ। সকালের খাবার না খেলে শরীরে বিপাকীয় চাপও বৃদ্ধি
পায়, যা দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগের ক্ষতি করে।
সকালের নাস্তা বাদ দেওয়ার অভ্যাস ধীরে
ধীরে মেটাবলিক সিনড্রোমের দিকে পরিচালিত করে, যেখানে পেটের চর্বি, উচ্চ রক্তচাপ,
হাই সুগার ও খারাপ কোলেস্টেরল একই সঙ্গে বৃদ্ধি পায়। এই ধরনটি পরবর্তীতে টাইপ-২
ডায়াবেটিসের জন্য একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যারা প্রতিদিন
ব্রেকফাস্ট খান না তাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি বলে দেখা গেছে।
তা ছাড়া সকালে
পুষ্টিকর খাবার না খেলে শরীর পর্যাপ্ত শক্তি থেকে বঞ্চিত হয়। এই ধরনের ব্যক্তিরা
দ্রুত ক্লান্ত বোধ করেন, খিটখিটে হয়ে ওঠেন এবং মনোযোগ দিতে অসুবিধা বোধ করেন।
মানসিক কর্মক্ষমতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এদিকে
যখন সকাল ও বিকেলের মধ্যে দীর্ঘ ব্যবধান থাকে, তখন শরীর দ্রুত শক্তির জন্য
চিনিযুক্ত, ভাজা ও উচ্চ-ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে আগ্রহী হয়। এটি খাদ্যের মান নষ্ট
করে এবং দীর্ঘমেয়াদে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
সূত্র
: এবিপি লাইভ
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৮ নভেম্বর ২০২৫
সকালের নানা ব্যস্ততা
বা দেরি করে ঘুম ভাঙার কারণে সকালের নাস্তা না খাওয়া অনেকেরই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
কেউ কেউ দেরিতে ঘুমাতে যাওয়ার কারণে নাস্তা বাদ দেন, আবার কেউ কেউ কাজে, বাচ্চাদের
বা ঘরের কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে খিদে না লাগা পর্যন্ত খাবার খান না।
কিন্তু
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হয় এবং ধীরে
ধীরে অনেক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে অতিরিক্ত খাওয়া, ওজন বৃদ্ধি এবং বিপাকীয়
ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
চলুন,
জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে কতগুলো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সকালের নাস্তা বাদ দিলে কী ক্ষতি
বিশেষজ্ঞদের
মতে, সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া মানে শরীরের সমগ্র গঠনকে ব্যাহত করা। সকালের খাবার না
খেলে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়, যার ফলে বিকেলের দিকে প্রচণ্ড
খিদা লাগে। এই খিদা পরবর্তীকালে বেশি পরিমাণে খাবার খেতে এবং উচ্চ-ক্যালরিযুক্ত
খাবার বেছে নেওয়ার দিকে পরিচালিত করে, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায় এবং পেটের চর্বি
বৃদ্ধি পায়।
সকালের নাস্তা বাদ দিলে
খিদার হরমোন ঘ্রেলিন বৃদ্ধি পায়, যা মিষ্টি ও চর্বিযুক্ত খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা
বাড়ায়। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতাও হ্রাস করে, যার ফলে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ
খারাপ হয়। অতিরিক্ত খাবার ওজন বৃদ্ধির প্রধান কারণ হয়ে ওঠে।
গবেষণায়
দেখা গেছে, যারা সকালের নাস্তা বাদ দেন তাদের মধ্যে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি
থাকে।
এই কোলেস্টেরল হৃদরোগ ও হার্ট
ব্লকেজের একটি প্রধান কারণ। সকালের খাবার না খেলে শরীরে বিপাকীয় চাপও বৃদ্ধি
পায়, যা দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগের ক্ষতি করে।
সকালের নাস্তা বাদ দেওয়ার অভ্যাস ধীরে
ধীরে মেটাবলিক সিনড্রোমের দিকে পরিচালিত করে, যেখানে পেটের চর্বি, উচ্চ রক্তচাপ,
হাই সুগার ও খারাপ কোলেস্টেরল একই সঙ্গে বৃদ্ধি পায়। এই ধরনটি পরবর্তীতে টাইপ-২
ডায়াবেটিসের জন্য একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যারা প্রতিদিন
ব্রেকফাস্ট খান না তাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি বলে দেখা গেছে।
তা ছাড়া সকালে
পুষ্টিকর খাবার না খেলে শরীর পর্যাপ্ত শক্তি থেকে বঞ্চিত হয়। এই ধরনের ব্যক্তিরা
দ্রুত ক্লান্ত বোধ করেন, খিটখিটে হয়ে ওঠেন এবং মনোযোগ দিতে অসুবিধা বোধ করেন।
মানসিক কর্মক্ষমতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এদিকে
যখন সকাল ও বিকেলের মধ্যে দীর্ঘ ব্যবধান থাকে, তখন শরীর দ্রুত শক্তির জন্য
চিনিযুক্ত, ভাজা ও উচ্চ-ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে আগ্রহী হয়। এটি খাদ্যের মান নষ্ট
করে এবং দীর্ঘমেয়াদে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
সূত্র
: এবিপি লাইভ
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন