গৃহিণীদের
দিনের অধিকাংশ সময় কাটে রান্নাঘরে। শহরাঞ্চলে যদিও গ্যাসে রান্না করা যায়, তবে
গ্রামে এখনো গ্যাসে রান্না এতটা জনপ্রিয় বা সহজলভ্য হয়নি। ফলে রান্না করতে হয় লাকড়ি
দিয়ে। আর গৃহিণীরা সকাল ওঠে নাস্তা তৈরি করতে রান্না ঘরে ঢোকেন।
এর
কিছুক্ষণ পর দুপুরের খাবার রান্না। এভাবে একটার পর একটা কাজে রান্না ঘরে থাকতেই
হয়।
গ্যাস
থাকলে ভালো। তবে গ্রামাঞ্চলে এখনো উনুনের আঁচে রান্না হয় বিধায় এর ফলও ভুগতে হয়।
আপাতদৃষ্টিতে
বিষয়টিতে কোনো কিছু ক্ষতিকারক না মনে হলেও, নীরবে ধ্বংস হচ্ছে আপনার ফুসফুস।
রান্নার ধোঁয়া বারোটা বাজাচ্ছে আপনার শ্বাসযন্ত্রের, যা সিগারেটের থেকেও বেশি
ক্ষতিকারক।
বিভিন্ন
গবেষণায় দেখা গেছে, বছরের বছর ধূমপানের ফলে কোনো ব্যক্তির ফুসফুসের যে অবস্থা হয়,
তার থেকেও খারাপ অবস্থা হতে পারে দীর্ঘ দিন ধরে রান্নার ধোঁয়ার সংস্পর্শে থাকলে।
নিয়মিত যারা দীর্ঘ সময়ে রান্নাঘরে কাটান তাদের মধ্যে ৮৪-৮৫ শতাংশ নারীর শ্বাসকষ্ট
জনিত সমস্যায় ভুগতে পারেন।
এমনকি
ফুসফুসের বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। রান্নার ধোঁয়া
কিভাবে আপনার ফুসফুসের ক্ষতি করে
রান্নার
ধোঁয়ায় থাকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা, যা পিএম২.৫ বা তার চেয়েও ছোট। এই কণা সরাসরি
শ্বাসনালি দিয়ে ফুসফুসে পৌঁছে যায়। রক্তে মিশে হার্ট ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে
পারে। ধোঁয়ায় থাকে কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস,
যা শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি সৃষ্টি করে।
চোখ ও চর্মরোগ
ধোঁয়ার
উত্তেজক কণা চোখ জ্বালা-সহ নানা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে। মুখ ও গলার টিস্যুতে
প্রদাহ হতে পারে।
দীর্ঘসময় ঘরে আটকে
থাকা ধোঁয়া
ধূমপান
সাধারণত খোলা জায়গায় হলেও রান্নার ধোঁয়া ঘোরাফেরা করে রান্নাঘরে বদ্ধ জায়গায়। সেই
ধোঁয়া রান্নাঘরে জমে থাকে। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই ধোঁয়ার সংস্পর্শে থাকলে
ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী।
শ্বাসকষ্ট ও দীর্ঘমেয়াদি
রোগের ঝুঁকি
নিয়মিত
রান্নার ধোঁয়া শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, এমনকি ফুসফুসের ক্যান্সারের
ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে। শিশুদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও দেখা
দিতে পারে।
যা করবেন
রান্নার
সময় মাস্ক ব্যবহার করুন। সামনে কোনো জানালা থাকলে তা খোলা রাখুন। খোলামেলা পরিবেশে
রান্না করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। নয়তো চিমনি বা ফ্যান ব্যবহার করুন, যাতে সেই ধোঁয়া
বাইরে বের করে দিতে পারে। এই ধোঁয়ার মধ্যে যত কম সময় কাটানো যায়, ততই মঙ্গল।
সূত্র : এই সময়
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৮ নভেম্বর ২০২৫
গৃহিণীদের
দিনের অধিকাংশ সময় কাটে রান্নাঘরে। শহরাঞ্চলে যদিও গ্যাসে রান্না করা যায়, তবে
গ্রামে এখনো গ্যাসে রান্না এতটা জনপ্রিয় বা সহজলভ্য হয়নি। ফলে রান্না করতে হয় লাকড়ি
দিয়ে। আর গৃহিণীরা সকাল ওঠে নাস্তা তৈরি করতে রান্না ঘরে ঢোকেন।
এর
কিছুক্ষণ পর দুপুরের খাবার রান্না। এভাবে একটার পর একটা কাজে রান্না ঘরে থাকতেই
হয়।
গ্যাস
থাকলে ভালো। তবে গ্রামাঞ্চলে এখনো উনুনের আঁচে রান্না হয় বিধায় এর ফলও ভুগতে হয়।
আপাতদৃষ্টিতে
বিষয়টিতে কোনো কিছু ক্ষতিকারক না মনে হলেও, নীরবে ধ্বংস হচ্ছে আপনার ফুসফুস।
রান্নার ধোঁয়া বারোটা বাজাচ্ছে আপনার শ্বাসযন্ত্রের, যা সিগারেটের থেকেও বেশি
ক্ষতিকারক।
বিভিন্ন
গবেষণায় দেখা গেছে, বছরের বছর ধূমপানের ফলে কোনো ব্যক্তির ফুসফুসের যে অবস্থা হয়,
তার থেকেও খারাপ অবস্থা হতে পারে দীর্ঘ দিন ধরে রান্নার ধোঁয়ার সংস্পর্শে থাকলে।
নিয়মিত যারা দীর্ঘ সময়ে রান্নাঘরে কাটান তাদের মধ্যে ৮৪-৮৫ শতাংশ নারীর শ্বাসকষ্ট
জনিত সমস্যায় ভুগতে পারেন।
এমনকি
ফুসফুসের বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। রান্নার ধোঁয়া
কিভাবে আপনার ফুসফুসের ক্ষতি করে
রান্নার
ধোঁয়ায় থাকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা, যা পিএম২.৫ বা তার চেয়েও ছোট। এই কণা সরাসরি
শ্বাসনালি দিয়ে ফুসফুসে পৌঁছে যায়। রক্তে মিশে হার্ট ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে
পারে। ধোঁয়ায় থাকে কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস,
যা শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি সৃষ্টি করে।
চোখ ও চর্মরোগ
ধোঁয়ার
উত্তেজক কণা চোখ জ্বালা-সহ নানা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে। মুখ ও গলার টিস্যুতে
প্রদাহ হতে পারে।
দীর্ঘসময় ঘরে আটকে
থাকা ধোঁয়া
ধূমপান
সাধারণত খোলা জায়গায় হলেও রান্নার ধোঁয়া ঘোরাফেরা করে রান্নাঘরে বদ্ধ জায়গায়। সেই
ধোঁয়া রান্নাঘরে জমে থাকে। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই ধোঁয়ার সংস্পর্শে থাকলে
ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী।
শ্বাসকষ্ট ও দীর্ঘমেয়াদি
রোগের ঝুঁকি
নিয়মিত
রান্নার ধোঁয়া শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, এমনকি ফুসফুসের ক্যান্সারের
ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে। শিশুদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও দেখা
দিতে পারে।
যা করবেন
রান্নার
সময় মাস্ক ব্যবহার করুন। সামনে কোনো জানালা থাকলে তা খোলা রাখুন। খোলামেলা পরিবেশে
রান্না করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। নয়তো চিমনি বা ফ্যান ব্যবহার করুন, যাতে সেই ধোঁয়া
বাইরে বের করে দিতে পারে। এই ধোঁয়ার মধ্যে যত কম সময় কাটানো যায়, ততই মঙ্গল।
সূত্র : এই সময়
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন