ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

ঘুমের মধ্যে হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠার যেসব কারণ



ঘুমের মধ্যে হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠার যেসব কারণ
ছবি: সংগৃহীত

প্রায় সবাই জীবনের কোনো না কোনো সময় এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়, যখন ঘুম আসতে শুরু করলে হঠাৎ মনে হয় কোনো উঁচু স্থান থেকে পড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে শরীরে আকস্মিক ঝাঁকুনি লাগে। চিকিৎসাবিদ্যা এই ঘটনা ‘হিপনিক জার্ক’ বা ‘স্লিপ স্টার্ট’ নামে চিহ্নিত করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একদম স্বাভাবিক এবং ঘুমের অংশ। যখন আমরা তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় গভীর ঘুমের দিকে যাই, তখন আমাদের পেশি দ্রুত শিথিল হয়। মস্তিষ্ক কখনো কখনো এটি ভুলভাবে বোঝে যে শরীর সত্যিই নিচে পড়ছে। তখন পেশিতে একটি দ্রুত সংকোচন ঘটে, যা আমরা ঝাঁকুনি হিসেবে অনুভব করি।

কিছু গবেষক মনে করেন, হিপনিক জার্ক আমাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষদের সময়ের একটি বিবর্তনগত প্রতিক্রিয়া। তখন মানুষ গাছে ঘুমাত, তাই শরীর নিরাপদ আছে কি না তা মস্তিষ্ক পরীক্ষা করত।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ হিপনিক জার্ক অনুভব করেন। তবে কিছু কারণে ঝাঁকুনির সম্ভাবনা বেড়ে যায়, যেমন:

·         উদ্বেগ বা মানসিক চাপ

·         ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত কফি বা অন্যান্য উদ্দীপক

·         অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচি

·         ঘুমের আগে ভারী ব্যায়াম

বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করেছেন, হিপনিক জার্ক কোনো গুরুতর সমস্যা নয়। এটি সাধারণত নিরীহ এবং স্বাভাবিক। তবে যদি প্রতিদিন ঘটে বা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

হিপনিক জার্ক কমানোর জন্য কয়েকটি পরামর্শ:

·         রাতে ভালো ঘুমের জন্য ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় এড়ানো

·         প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো

·         ঘুমানোর আগে অন্তত এক ঘণ্টা মোবাইল বা টিভি ব্যবহার না করা

 

এনএম/ধ্রুবকন্ঠ

বিষয় : জীবন যাপন ঘুমে হঠাৎ ঝাঁকুনি যেসব কারণ হিপনিক জার্ক

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫


ঘুমের মধ্যে হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠার যেসব কারণ

প্রকাশের তারিখ : ২৩ নভেম্বর ২০২৫

featured Image

প্রায় সবাই জীবনের কোনো না কোনো সময় এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়, যখন ঘুম আসতে শুরু করলে হঠাৎ মনে হয় কোনো উঁচু স্থান থেকে পড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে শরীরে আকস্মিক ঝাঁকুনি লাগে। চিকিৎসাবিদ্যা এই ঘটনা ‘হিপনিক জার্ক’ বা ‘স্লিপ স্টার্ট’ নামে চিহ্নিত করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একদম স্বাভাবিক এবং ঘুমের অংশ। যখন আমরা তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় গভীর ঘুমের দিকে যাই, তখন আমাদের পেশি দ্রুত শিথিল হয়। মস্তিষ্ক কখনো কখনো এটি ভুলভাবে বোঝে যে শরীর সত্যিই নিচে পড়ছে। তখন পেশিতে একটি দ্রুত সংকোচন ঘটে, যা আমরা ঝাঁকুনি হিসেবে অনুভব করি।

কিছু গবেষক মনে করেন, হিপনিক জার্ক আমাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষদের সময়ের একটি বিবর্তনগত প্রতিক্রিয়া। তখন মানুষ গাছে ঘুমাত, তাই শরীর নিরাপদ আছে কি না তা মস্তিষ্ক পরীক্ষা করত।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ হিপনিক জার্ক অনুভব করেন। তবে কিছু কারণে ঝাঁকুনির সম্ভাবনা বেড়ে যায়, যেমন:

·         উদ্বেগ বা মানসিক চাপ

·         ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত কফি বা অন্যান্য উদ্দীপক

·         অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচি

·         ঘুমের আগে ভারী ব্যায়াম

বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করেছেন, হিপনিক জার্ক কোনো গুরুতর সমস্যা নয়। এটি সাধারণত নিরীহ এবং স্বাভাবিক। তবে যদি প্রতিদিন ঘটে বা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

হিপনিক জার্ক কমানোর জন্য কয়েকটি পরামর্শ:

·         রাতে ভালো ঘুমের জন্য ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় এড়ানো

·         প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো

·         ঘুমানোর আগে অন্তত এক ঘণ্টা মোবাইল বা টিভি ব্যবহার না করা

 

এনএম/ধ্রুবকন্ঠ


ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত