কৃষিশিক্ষা

নোবিপ্রবিতে ‘বাংলাদেশের কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় উদীয়মান চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ‘বাংলাদেশের কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় উদীয়মান চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (১০ নভেম্বর ২০২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

সোমনারে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও ফেলোদের জন্য গবেষণাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা এবং একাডেমিক এক্সিলেন্সের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক। শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ তারেক মুক্তারের সঞ্চালনায় সেমিনারে কী-নোট স্পীকার হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের প্রফেসরিয়াল ফেলো, ইমেরিটাস প্রফেসর এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক এম. এ. সাত্তার, পিএইচডি। আলোচক হিসেবে ছিলেন জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রধান নির্বাহী মোঃ সাইফুল ইসলাম, নোয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ড. মীরা রাণী দাস।

সেমিনারে কী-নোট স্পিকার অধ্যাপক এম. এ. সাত্তার, পিএইচডি বলেন, বাংলাদেশ এখন বাণিজ্যিক কৃষির যুগে পদার্পণ করেছে। আগেরকার সময় এদেশের মানুষ নিজেদের প্রতিদিনের খাবারের প্রয়োজনে কৃষিপণ্য উৎপাদন করেছে। কিন্তু বর্তমানে মানুষ নিজের জন্য ছাড়াও বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে কৃষিকাজে বেশি মনোযোগী হয়েছে।

আরও পড়ুন: নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক রেজুয়ানুল হক

তিনি আরও বলেন, এখন যার জমি তিনি চাষ না করলেও বর্গা দিচ্ছেন। বর্গাচাষীরা জমিচাষ ও ফসল উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাণিজ্যিক কৃষির সম্প্রসারণ করছে।
উক্ত সেমিনারে নোবিপ্রবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অংশীজনবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button