ডাকাতির খবর দেওয়া সন্দেহে হামলার শিকার শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতা
ডাকাতির খবর দেওয়া সন্দেহে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রহমত আলী বয়স (২২)।
ভুক্তভোগী রহমত আলী ২০নং আন্ডারচর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব মাইচড়ার বাসিন্দা মফিজ উল্যার ছেলে।ভুক্তভোগীর এক আত্মীয় অভিযোগ করে বলেন, রবিবার (১০ নভেম্বর) রাত ৮টার সময় বাংলা বাজার মাদ্রাসা গলি থেকে রহমত আলীকে ৫জন সন্ত্রাসী বোমা পাটিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারধর করে উঠিয়ে নিয়ে বাগানবাড়িতে আটকে রাখে। গুম করে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ভিকটিমকে মারধর করে উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করে মিথ্যে জবানবন্দি নেওয়া হয়। এলাকাবাসী খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে।
তিনি আরো বলেন, বাংলা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সেক্রেটারি ডাক্তার আলী আহমেদ আসামিদেরকে শায়েস্তা না করে উল্টো ভিকটিম থেকে জোর করে সাদা স্ট্যাম্পে সই নেয় এই ঘটনার যেন কোন মামলা করা না হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৯ আগস্ট ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। ১০-১৫ জনের ডাকাত দল ডাকাতি করার সময় এলাকাবাসী হাতে তিনজন ধরা পড়ে বাকিরা পালিয়ে যায়।এলাকাবাসী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দেয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দেশীয় অস্ত্র চাইনিজ কুড়াল সহ গ্রেফতার করে আসামিকে থানায় নিয়ে আসে। ওখান থেকে তিনজন দুই মাস জেল খাটে। রাসেল, নুরুদ্দিন এবং তারেক ডাকাত। জেল থেকে জামিন পাওয়ার পর তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। ডাকাতির খবর দেওয়ায় সন্দেহে ভিকটিম রহমত আলীসহ ৪জনকে টার্গেট করে হুমকি দিতে থাকে সন্ত্রাসীরা।
আরও পড়ুনঃ আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে গণঅধিকার পরিষদ: নুর
অভিযুক্তরা হলেন- রাসেল, নুরুদ্দিন, তারেক, জহির এবং শামসুদ্দিন।স্থানীয়রা বলেন, এই সন্ত্রাসীরা অপরাধ করে বারবার পার পেয়ে যায়। এর আগেও তারা ডাকাতি করার সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে ছাড়া পেয়ে গেছে। এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের হাতে জিম্মি। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানান এবং এই ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের বিচার করা হোক।যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি রুবেল বলেন, অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আমরা সেনাবাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমরা খুব শিগগিরই মামলা করবো।