ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

হাসিনার সাথে যোগাযোগ আছে কি না, যা বললেন পান্না



হাসিনার সাথে যোগাযোগ আছে কি না, যা বললেন পান্না
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এইচ এ এম জহিরুল ইসলাম খান (পান্না)। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান গুমের অভিযোগে দুটি মামলায় এবার তিনি স্টেট ডিফেন্স হিসেবে মামলা পরিচালনা করবেন। 

গত রবিবার (২৩ নভেম্বর) ডিফেন্স কাউন্সেল সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর ১২ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারা অনুসারে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এই উপধারায় বলা হয়, যেখানে একজন অভিযুক্তকে কোনো আইনজীবী যদি প্রতিনিধিত্ব না করেন, ট্রাইব্যুনাল মামলার যেকোনো পর্যায়ে সরকারি খরচে সেই অভিযুক্তের পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারবেন।

নিয়োগ পাওয়ার পর আইনজীবী জেড আই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি একজন ফ্রিডম ফাইটার। একাত্তরে আমি যুদ্ধ করেছি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, তার আহ্বানে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। তার কন্যা (শেখ হাসিনা) উইদাউট প্রপার ডিফেন্স, আগেও প্রপার ডিফেন্স ছিল। আমি কাউকে ছোট করতেছি না। আমার কাছে মনে হয়েছে তাকে আরো প্রপার ওয়েতে ডিফেন্স দেওয়ার দরকার। দ্যাটস হোয়াই আমি স্টেট ডিফেন্স।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রথমে বলেছি অন বিহাফ অব শেখ হাসিনা। তো (আদালত) বলছেন যে এটা তো আপনি পারেন না।

বিকজ শি ইজ ফিউজিটিভ। আমি তখন বলেছি, ওকে। প্রসিকিউশন বললেন, স্টেট ডিফেন্স। আমি বললাম, আমার কোনো আপত্তি নেই। দ্যাটস অল। শেখ হাসিনার একটি মামলায় সাজা হয়ে গেছে—এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটা তো আমি কিছু করতে পারব না, এখন আপাতত।’ 

এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্নে করেন—আপনার সাথে কি যোগাযোগ হয়েছে? জবাবে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘কার?’ তখন ওই সাংবাদিক বলেন, ‘শেখ হাসিনার’। জবাবে তিনি বলেন, ‘ডোন্ট আস্ক অব দিজ টাইপ অব কোয়েশ্চেন’।

এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক থাকায় আইনের বিধান অনুসারে তাদের পক্ষে ২৪ জুন স্টেট ডিফেন্স (রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী) নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই মামলায় ইতোমধ্যে আসামিদের দণ্ড হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর সাবেক বিশেষ পিপি ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী আমির হোসেনকে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

 

এমএম/ধ্রুবকন্ঠ

বিষয় : হাসিনা আইন পান্না

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫


হাসিনার সাথে যোগাযোগ আছে কি না, যা বললেন পান্না

প্রকাশের তারিখ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫

featured Image

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এইচ এ এম জহিরুল ইসলাম খান (পান্না)। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান গুমের অভিযোগে দুটি মামলায় এবার তিনি স্টেট ডিফেন্স হিসেবে মামলা পরিচালনা করবেন। 

গত রবিবার (২৩ নভেম্বর) ডিফেন্স কাউন্সেল সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর ১২ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারা অনুসারে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এই উপধারায় বলা হয়, যেখানে একজন অভিযুক্তকে কোনো আইনজীবী যদি প্রতিনিধিত্ব না করেন, ট্রাইব্যুনাল মামলার যেকোনো পর্যায়ে সরকারি খরচে সেই অভিযুক্তের পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারবেন।

নিয়োগ পাওয়ার পর আইনজীবী জেড আই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি একজন ফ্রিডম ফাইটার। একাত্তরে আমি যুদ্ধ করেছি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, তার আহ্বানে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। তার কন্যা (শেখ হাসিনা) উইদাউট প্রপার ডিফেন্স, আগেও প্রপার ডিফেন্স ছিল। আমি কাউকে ছোট করতেছি না। আমার কাছে মনে হয়েছে তাকে আরো প্রপার ওয়েতে ডিফেন্স দেওয়ার দরকার। দ্যাটস হোয়াই আমি স্টেট ডিফেন্স।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রথমে বলেছি অন বিহাফ অব শেখ হাসিনা। তো (আদালত) বলছেন যে এটা তো আপনি পারেন না।

বিকজ শি ইজ ফিউজিটিভ। আমি তখন বলেছি, ওকে। প্রসিকিউশন বললেন, স্টেট ডিফেন্স। আমি বললাম, আমার কোনো আপত্তি নেই। দ্যাটস অল। শেখ হাসিনার একটি মামলায় সাজা হয়ে গেছে—এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটা তো আমি কিছু করতে পারব না, এখন আপাতত।’ 

এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্নে করেন—আপনার সাথে কি যোগাযোগ হয়েছে? জবাবে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘কার?’ তখন ওই সাংবাদিক বলেন, ‘শেখ হাসিনার’। জবাবে তিনি বলেন, ‘ডোন্ট আস্ক অব দিজ টাইপ অব কোয়েশ্চেন’।

এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক থাকায় আইনের বিধান অনুসারে তাদের পক্ষে ২৪ জুন স্টেট ডিফেন্স (রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী) নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই মামলায় ইতোমধ্যে আসামিদের দণ্ড হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর সাবেক বিশেষ পিপি ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী আমির হোসেনকে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

 

এমএম/ধ্রুবকন্ঠ


ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত