ইনকিলাব
মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো.
আব্দুল হান্নানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলম শুনানি শেষে এ
আদেশ দেন। শুনানি চলাকালে আসামি স্বীকার করেছেন বাইকটি তার। তবে তিনি বাইকটি
শোরুমে বিক্রি করেছিলেন। শুনানি চলাকালে হান্নান কথা বলতে আদালতের অনুমতি
চান।
তখন
আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, ‘আমি এ হুন্ডাটি মিরপুর মাজার রোড থেকে কিনেছিলাম। তবে
হাতে সমস্যা হওয়ায় পরিবার থেকে বাইক চালাতে নিষেধ করেছিল। এ জন্য বাসায় বাইকটি
পড়েছিল। পড়ে থাকলে বাইকটি নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে একটি শোরুমে বিক্রি করি এবং
আমি নাম চেঞ্জ করে দিব বলেছিলাম। কিন্তু তারা দুই মাস আগে কল দিয়েছিল, কিন্তু
অসুস্থ থাকায় মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য যেতে পারিনি। আমাকে গ্রেপ্তার করার পর র্যাবকে
বলেছিলাম, শোরুমে নিয়ে চলেন তাহলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। কিন্তু তারা নিয়ে যায়নি।
থানায় এসেও বলেছিলাম, শোরুমে নিয়ে যেতে। তদন্ত করেন, সব বেরিয়ে যাবে।’ তখন বিচারক
বলেন, তদন্তে সহযোগিতা করবেন। এরপর তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তবে
শুনানিতে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। এদিন ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪
ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে পল্টন থানার উপ-পুলিশ
পরিদর্শক সামিম হাসান তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। পরবর্তীতে আরেকটি
আবেদনে চারটি কারণ উল্লেখ করে তার সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে
প্রার্থনা করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ঘটনার আসামিদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও
মোটরসাইকেল উদ্ধার; জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহসহ অবস্থান ও
গ্রেপ্তার; মূল রহস্য উদঘাটন ও তথ্য সম্পর্ক প্রবাহ, অর্থ সম্পর্ক প্রবাহ নির্ণয়
করার জন্য এবং কোন স্থান থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে তার উৎস জানা প্রয়োজন।
ওই সব
আবেদনে বলা হয়, আসামি হান্নানকে র্যাব-২ আটক করে পল্টন মডেল থানায় সোপর্দ করেন।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে পল্টন মডেল থানাধীন বক্স কালভার্ট এলাকায়
ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্রী প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান
হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তিনি বর্তমানে মুমূর্ষ অবস্থায় এভারকেয়ার
হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসাধীন আছেন।
পরবর্তীতে
ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, শরিফ ওসমান হাদি ও
তার সঙ্গীয় ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যোগে যাওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা দুই
সন্ত্রাসী একটি মোটরসাইকেলে এসে ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার
উদ্দেশ্যে গুলি করে। গুলিতে হাদি গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। সিসি ক্যামেরার ভিডিও
ফুটেজে র্যাব-২ জানতে পারে, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন
নম্বর-ঢাকা মেট্রো ল-৫৪-৬৩৭৫। পরবর্তীতে র্যাব-২ বিআরটিএ কর্তৃক মালিকানা যাচাই
করে মোটরসাইকেলের মালিক মো. আব্দুল হান্নানকে চিহ্নিত করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের
প্রক্রিয়াধীন। এই আসামি উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত থাকায় সন্দেহে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪
ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
বিষয় : ওসমান হাদি হত্যা মোটরসাইকেল মালিক
.png)
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব
মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো.
আব্দুল হান্নানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলম শুনানি শেষে এ
আদেশ দেন। শুনানি চলাকালে আসামি স্বীকার করেছেন বাইকটি তার। তবে তিনি বাইকটি
শোরুমে বিক্রি করেছিলেন। শুনানি চলাকালে হান্নান কথা বলতে আদালতের অনুমতি
চান।
তখন
আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, ‘আমি এ হুন্ডাটি মিরপুর মাজার রোড থেকে কিনেছিলাম। তবে
হাতে সমস্যা হওয়ায় পরিবার থেকে বাইক চালাতে নিষেধ করেছিল। এ জন্য বাসায় বাইকটি
পড়েছিল। পড়ে থাকলে বাইকটি নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে একটি শোরুমে বিক্রি করি এবং
আমি নাম চেঞ্জ করে দিব বলেছিলাম। কিন্তু তারা দুই মাস আগে কল দিয়েছিল, কিন্তু
অসুস্থ থাকায় মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য যেতে পারিনি। আমাকে গ্রেপ্তার করার পর র্যাবকে
বলেছিলাম, শোরুমে নিয়ে চলেন তাহলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। কিন্তু তারা নিয়ে যায়নি।
থানায় এসেও বলেছিলাম, শোরুমে নিয়ে যেতে। তদন্ত করেন, সব বেরিয়ে যাবে।’ তখন বিচারক
বলেন, তদন্তে সহযোগিতা করবেন। এরপর তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তবে
শুনানিতে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। এদিন ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪
ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে পল্টন থানার উপ-পুলিশ
পরিদর্শক সামিম হাসান তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। পরবর্তীতে আরেকটি
আবেদনে চারটি কারণ উল্লেখ করে তার সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে
প্রার্থনা করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ঘটনার আসামিদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও
মোটরসাইকেল উদ্ধার; জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহসহ অবস্থান ও
গ্রেপ্তার; মূল রহস্য উদঘাটন ও তথ্য সম্পর্ক প্রবাহ, অর্থ সম্পর্ক প্রবাহ নির্ণয়
করার জন্য এবং কোন স্থান থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে তার উৎস জানা প্রয়োজন।
ওই সব
আবেদনে বলা হয়, আসামি হান্নানকে র্যাব-২ আটক করে পল্টন মডেল থানায় সোপর্দ করেন।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে পল্টন মডেল থানাধীন বক্স কালভার্ট এলাকায়
ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্রী প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান
হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তিনি বর্তমানে মুমূর্ষ অবস্থায় এভারকেয়ার
হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসাধীন আছেন।
পরবর্তীতে
ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, শরিফ ওসমান হাদি ও
তার সঙ্গীয় ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যোগে যাওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা দুই
সন্ত্রাসী একটি মোটরসাইকেলে এসে ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার
উদ্দেশ্যে গুলি করে। গুলিতে হাদি গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। সিসি ক্যামেরার ভিডিও
ফুটেজে র্যাব-২ জানতে পারে, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন
নম্বর-ঢাকা মেট্রো ল-৫৪-৬৩৭৫। পরবর্তীতে র্যাব-২ বিআরটিএ কর্তৃক মালিকানা যাচাই
করে মোটরসাইকেলের মালিক মো. আব্দুল হান্নানকে চিহ্নিত করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের
প্রক্রিয়াধীন। এই আসামি উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত থাকায় সন্দেহে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪
ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন