নীলফামারীর
কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আগাম আলু উৎপাদনে নতুন আলু তোলা শুরু করেছেন কৃষকরা। এবার অনুকূল
আবহাওয়ায় দিগন্তজোড়া আলুখেতে সবুজের ঢেউ যেন বাম্পার ফলনের হাতছানি দিচ্ছে। তবে
বিগত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক দরে বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু। আর্থিক লাভ-ক্ষতি যাই হোক না কেন, কৃষকরা এখন আলু তোলার উৎসবে
মেতেছেন। চলতি মৌসুমে আগাম আলু চাষিরা ইতোমধ্যে জমি থেকে নতুন আলু উত্তোলন শুরু করেছেন।
বর্তমানে
প্রতি কেজি নতুন আলু পাইকারদের কাছে ৫১ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি করছেন। রোপণের ৫৫ থেকে
৬০ দিনের মাথায় তারা আলু তোলা শুরু করেছেন।
বাহাগিলী
ইউনিয়নের কৃষক এজাবুল হক লাল বাবু তার ৪ বিঘা জমির ৫৮ দিন বয়সি আগাম আলু ৫২ টাকা
কেজি দরে মাঠে স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন।
তিনি
বলেন, "গত বছর এ জমি আগাম আলু ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। এবার তেমন একটা
লাভ হবে না।
আরেক
কৃষক শমসের হাজি জানান, ভালো দামের আশায় ৫৪ দিন বয়সি আলু আগেভাগে তুললেও লাভ সীমিত।
অন্যদিকে,
উত্তর দুরাকুটি পশ্চিমপাড়া গ্রামের কৃষক অহেদুল, তরিকুল, মিনারুলসহ অনেকে জমিতে দাম
কম পাওয়ায় বেশি দামের আশায় আলু সরাসরি ঢাকার কারওয়ানবাজার, শ্যামবাজার নিয়ে যাওয়ার
প্রস্তুতি নিচ্ছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম জানান, চলতি মৌসুমে এই
উপজেলায় ৪ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়
এবার আলুর ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে।
তিনি
আরও বলেন, পুরোনো আলুর দাম কম হলেও ভোক্তাদের কাছে এর চাহিদা ও কদর নেই। নতুন আলুর
বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। চলতি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলন ও ভালো বাজার মূল্য
পেয়ে কৃষকেরা লাভবান হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
বিষয় : কৃষক কৃষি সংবাদ আগাম আলু বিক্রি
.png)
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৬ নভেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর
কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আগাম আলু উৎপাদনে নতুন আলু তোলা শুরু করেছেন কৃষকরা। এবার অনুকূল
আবহাওয়ায় দিগন্তজোড়া আলুখেতে সবুজের ঢেউ যেন বাম্পার ফলনের হাতছানি দিচ্ছে। তবে
বিগত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক দরে বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু। আর্থিক লাভ-ক্ষতি যাই হোক না কেন, কৃষকরা এখন আলু তোলার উৎসবে
মেতেছেন। চলতি মৌসুমে আগাম আলু চাষিরা ইতোমধ্যে জমি থেকে নতুন আলু উত্তোলন শুরু করেছেন।
বর্তমানে
প্রতি কেজি নতুন আলু পাইকারদের কাছে ৫১ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি করছেন। রোপণের ৫৫ থেকে
৬০ দিনের মাথায় তারা আলু তোলা শুরু করেছেন।
বাহাগিলী
ইউনিয়নের কৃষক এজাবুল হক লাল বাবু তার ৪ বিঘা জমির ৫৮ দিন বয়সি আগাম আলু ৫২ টাকা
কেজি দরে মাঠে স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন।
তিনি
বলেন, "গত বছর এ জমি আগাম আলু ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। এবার তেমন একটা
লাভ হবে না।
আরেক
কৃষক শমসের হাজি জানান, ভালো দামের আশায় ৫৪ দিন বয়সি আলু আগেভাগে তুললেও লাভ সীমিত।
অন্যদিকে,
উত্তর দুরাকুটি পশ্চিমপাড়া গ্রামের কৃষক অহেদুল, তরিকুল, মিনারুলসহ অনেকে জমিতে দাম
কম পাওয়ায় বেশি দামের আশায় আলু সরাসরি ঢাকার কারওয়ানবাজার, শ্যামবাজার নিয়ে যাওয়ার
প্রস্তুতি নিচ্ছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম জানান, চলতি মৌসুমে এই
উপজেলায় ৪ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়
এবার আলুর ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে।
তিনি
আরও বলেন, পুরোনো আলুর দাম কম হলেও ভোক্তাদের কাছে এর চাহিদা ও কদর নেই। নতুন আলুর
বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। চলতি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলন ও ভালো বাজার মূল্য
পেয়ে কৃষকেরা লাভবান হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন