বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ১৮ কোটি মানুষের বিজয় নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, আমরা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, ন্যায় বিচার, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং তাঁবেদারি নয়—একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যেতে চাই।
তিনি
বলেন, ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনিক ক্যু করার
চেষ্টা করছে। আগামী নির্বাচনে ছলে-বলে কৌশলে ক্ষমতায় যেতে কেউ কেউ ষড়যন্ত্রের
জাল বিচ্ছাচ্ছে।
তরুণদের
ভোটাধিকার হরণের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন এবং আগামীতে ইসলামী দলগুলোর হাতে দেশ
তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির।
সোমবার
০১ ডিসেম্বার ২০২৫ দুপুরে খুলনার ঐতিহাসিক বাবরী চত্বরে (শিববাড়ী মোড়) আট
দলেরবিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি,
অন্যায় আর তাবেদারিমুক্ত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার
নিয়ে এ বিভাগীয় সমাবেশ করেছে আন্দোলনরত আটটি ইসলামী ও সমমনা রাজনৈতিক দল।
অনুষ্ঠিত সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির
পীরসাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিমে।
সভাপতির
বক্তব্যে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গুণ্ডামি করে, সেন্টার দখল করে, সন্ত্রাসী
চালিয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসবেন, সেদিন ভুলে যান। সেই সুযোগ আর আপনারা পাবেন না। তিনি
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তার দল প্রস্তুত বলে ঘোষণা দেন।
একটি
রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম বলেন, নির্বাচনকে পেছানোর
জন্য আপনারাই এখন ষড়যন্ত্র করছেন।
সমাবেশে
বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেন,
নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে ইন্টেরিম সরকারকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। কলঙ্ক নিয়ে
আপনাদেরও বিদায় নিতে হবে। তিনি জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের
দাবি জানান।
এর আগে দুপুর ১২টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতি মুসা বিন ইজহারসহ জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
নেতারা ঘোষণা করেন, ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে এবং এই ঐক্য ভবিষ্যতে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ১৮ কোটি মানুষের বিজয় নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, আমরা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, ন্যায় বিচার, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং তাঁবেদারি নয়—একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যেতে চাই।
তিনি
বলেন, ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনিক ক্যু করার
চেষ্টা করছে। আগামী নির্বাচনে ছলে-বলে কৌশলে ক্ষমতায় যেতে কেউ কেউ ষড়যন্ত্রের
জাল বিচ্ছাচ্ছে।
তরুণদের
ভোটাধিকার হরণের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন এবং আগামীতে ইসলামী দলগুলোর হাতে দেশ
তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির।
সোমবার
০১ ডিসেম্বার ২০২৫ দুপুরে খুলনার ঐতিহাসিক বাবরী চত্বরে (শিববাড়ী মোড়) আট
দলেরবিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি,
অন্যায় আর তাবেদারিমুক্ত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার
নিয়ে এ বিভাগীয় সমাবেশ করেছে আন্দোলনরত আটটি ইসলামী ও সমমনা রাজনৈতিক দল।
অনুষ্ঠিত সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির
পীরসাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিমে।
সভাপতির
বক্তব্যে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গুণ্ডামি করে, সেন্টার দখল করে, সন্ত্রাসী
চালিয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসবেন, সেদিন ভুলে যান। সেই সুযোগ আর আপনারা পাবেন না। তিনি
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তার দল প্রস্তুত বলে ঘোষণা দেন।
একটি
রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম বলেন, নির্বাচনকে পেছানোর
জন্য আপনারাই এখন ষড়যন্ত্র করছেন।
সমাবেশে
বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেন,
নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে ইন্টেরিম সরকারকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। কলঙ্ক নিয়ে
আপনাদেরও বিদায় নিতে হবে। তিনি জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের
দাবি জানান।
এর আগে দুপুর ১২টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতি মুসা বিন ইজহারসহ জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
নেতারা ঘোষণা করেন, ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে এবং এই ঐক্য ভবিষ্যতে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন