ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

কর্মবিরতি শেষে শিক্ষকদের স্কুলে প্রবেশে বাধা, পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা



কর্মবিরতি শেষে শিক্ষকদের স্কুলে প্রবেশে বাধা, পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা
ছবি: সংগৃহীত

কর্মবিরতি শেষে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে ঢুকতে চাওয়ায় অভিভাবকেরা তাদের ঢুকতে দেননি, সন্তানদের পরীক্ষা নিয়েছেন নিজেরাই।

আজ রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী মহানগরীর বহরমপুর ডিবি আনোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, পরে শিক্ষা কর্মকর্তা এলে তার মধ্যস্থতায় শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। এর আগেই পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। এ সময় উত্তেজিত অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ের দুটি ভবনে তালা ঝুলিয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিজেরাই হাতে নেন। সকাল থেকে তারা পরীক্ষাও নেন।

অভিভাবকদের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ ধরে বার্ষিক পরীক্ষা চললেও সহকারী শিক্ষকরা আসেননি। তিনটি বিষয়ে তারাই পরীক্ষা নিয়েছেন। শিক্ষকদের মনোযোগহীনতা এবং দফায় দফায় আন্দোলন শিক্ষার্থীদের শেখার মান কমিয়ে দিয়েছে। তাই কর্মবিরতি শেষে শিক্ষকরা এলে তারা তাদের প্রবেশ করতে দেননি।

জেসমিন আরা নামে এক অভিভাবক বলেন, সারা বছর ঠিকভাবে পড়ানো হয়নি, পরীক্ষা শুরুর পর আবার কর্মবিরতি। আমরা সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় আছি, তাই নিজেরাই পরীক্ষা নিয়েছি।

স্বপ্না বেগম নামে আরেক অভিভাবক বলেন, শিক্ষকরা হঠাৎ হাজির হয়ে পরীক্ষা নিতে চাইলে আমরা স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হই। সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছেন তারাই।

বিদ্যালয় চত্বরে তালা দেওয়ার সময় বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন সহকারী শিক্ষকরা। ঘটনাটি জানানো হলে একজন শিক্ষা কর্মকর্তা এসে শিক্ষক-অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনা চলাকালীন দ্বিতীয় শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা দিতে দেখা যায়।

সহকারী শিক্ষকরা দাবি করেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা কর্মবিরতি পালন করেছেন। কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর পরীক্ষায় অংশ নিতে এলেও অভিভাবকরা তাদের দায়িত্ব নিতে দেননি।

সহকারী শিক্ষক আসিফ সিদ্দিকী বলেন, আমরা কর্মসূচির কারণে দায়িত্ব পালন করতে পারিনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পরীক্ষা নিতে এসেছি, কিন্তু আমাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম বেগম বলেন, অভিভাবক ও শিক্ষক উভয়পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল। শিক্ষা অফিস থেকে একজন কর্মকর্তা আসার পর আমরা চেষ্টা করেছি আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছেন।

 

এনএম/ধ্রুবকন্ঠ

বিষয় : পরীক্ষা স্কুল কর্মবিরতি

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫


কর্মবিরতি শেষে শিক্ষকদের স্কুলে প্রবেশে বাধা, পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

প্রকাশের তারিখ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

featured Image

কর্মবিরতি শেষে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে ঢুকতে চাওয়ায় অভিভাবকেরা তাদের ঢুকতে দেননি, সন্তানদের পরীক্ষা নিয়েছেন নিজেরাই।

আজ রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী মহানগরীর বহরমপুর ডিবি আনোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, পরে শিক্ষা কর্মকর্তা এলে তার মধ্যস্থতায় শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। এর আগেই পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। এ সময় উত্তেজিত অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ের দুটি ভবনে তালা ঝুলিয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিজেরাই হাতে নেন। সকাল থেকে তারা পরীক্ষাও নেন।

অভিভাবকদের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ ধরে বার্ষিক পরীক্ষা চললেও সহকারী শিক্ষকরা আসেননি। তিনটি বিষয়ে তারাই পরীক্ষা নিয়েছেন। শিক্ষকদের মনোযোগহীনতা এবং দফায় দফায় আন্দোলন শিক্ষার্থীদের শেখার মান কমিয়ে দিয়েছে। তাই কর্মবিরতি শেষে শিক্ষকরা এলে তারা তাদের প্রবেশ করতে দেননি।

জেসমিন আরা নামে এক অভিভাবক বলেন, সারা বছর ঠিকভাবে পড়ানো হয়নি, পরীক্ষা শুরুর পর আবার কর্মবিরতি। আমরা সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় আছি, তাই নিজেরাই পরীক্ষা নিয়েছি।

স্বপ্না বেগম নামে আরেক অভিভাবক বলেন, শিক্ষকরা হঠাৎ হাজির হয়ে পরীক্ষা নিতে চাইলে আমরা স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হই। সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছেন তারাই।

বিদ্যালয় চত্বরে তালা দেওয়ার সময় বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন সহকারী শিক্ষকরা। ঘটনাটি জানানো হলে একজন শিক্ষা কর্মকর্তা এসে শিক্ষক-অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনা চলাকালীন দ্বিতীয় শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা দিতে দেখা যায়।

সহকারী শিক্ষকরা দাবি করেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা কর্মবিরতি পালন করেছেন। কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর পরীক্ষায় অংশ নিতে এলেও অভিভাবকরা তাদের দায়িত্ব নিতে দেননি।

সহকারী শিক্ষক আসিফ সিদ্দিকী বলেন, আমরা কর্মসূচির কারণে দায়িত্ব পালন করতে পারিনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পরীক্ষা নিতে এসেছি, কিন্তু আমাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম বেগম বলেন, অভিভাবক ও শিক্ষক উভয়পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল। শিক্ষা অফিস থেকে একজন কর্মকর্তা আসার পর আমরা চেষ্টা করেছি আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছেন।

 

এনএম/ধ্রুবকন্ঠ


ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত