সিএন্ডএফ নির্বাচনে বিতর্কিত তফশীল ঘোষণার প্রতিবাদে বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের সমাবেশ
সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের নির্বাচন কমিশন ভেঙ্গে নতুন তফশীল ঘোষণা করতে হবে
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন পলাতক নির্বাচন কমিশনার নুর মোহাম্মদ কর্তৃক তফশীল ঘোষণার প্রতিবাদে বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) বিকেলে নগরীর আগ্রাবাদ জীবন বীমা ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম।
এসময় তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের কমিশনার নূর মোহাম্মদ কয়েকমাস ধরে পলাতক। এই পলাতক নির্বাচন কমিশনারের নামে মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা করা হয়েছে। এই তফশীল ঘোষণার পর সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। এই তফসিলে ৩০-৪০ বছরের রীতিনীতি ভঙ্গ করে প্রার্থীর পক্ষে প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়ন সংগ্রহ এবং জমা প্রদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যা অনৈতিক এবং আগে কখনো ছিল না। এটা ফ্যাসিবাদের দোসরদের সুযোগ দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ। নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে অনেক ব্যবসায়ীর আপত্তি আছে। এই কমিশনের অধিনে যদি নির্বাচন হয় সেটি হবে প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের অযাচিত কর্মকান্ডের কারণে এসোসিয়েশনের সদস্যদের তাদের প্রতি কোন আস্থা নেই। তাই পলাতক নির্বাচন কমিশনারের ঘোষিত এই তফশীল বাতিল করতে হবে। বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন ভেঙ্গে দিয়ে নতুন তফশীল ঘোষণা করতে হবে।
তিনি সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের নির্বাচনে ফ্যাসিবাদের দোসরদের প্রত্যাখ্যান করে ব্যবসায়ীদের বৃহত্তর ঐক্যের আহ্বান জানান।
এতে বক্তব্য রাখেন সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী শওকত আলী, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এ এস এম ইসমাইল খান, হাসান মানিক, জামাল উদ্দিন বাবলু, শাহনেওয়াজ রুমি, তাজুল ইসলাম, এস এম ফরিদুল আলম, আলমগীর সরকার, এস এম খায়রুল আমান, আবদুল গফুর, মো. সালাউদ্দীন, মোরশেদুল আলম, মো. আলমগীর প্রমূখ।