ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

রমজান জুড়ে বইমেলা, কাঙ্ক্ষিত সুফল নিয়ে শঙ্কা



রমজান জুড়ে বইমেলা, কাঙ্ক্ষিত সুফল নিয়ে শঙ্কা
ছবি সংগৃহীত

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের সৃজনশীল প্রকাশনা শিল্পের প্রাণের মেলা। তবে ২০২৬ সালে মেলার সময়সূচি নির্ধারণ নিয়ে প্রকাশকসমাজের মধ্যে যৌক্তিক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত এই আয়োজনের পুরো অংশই পড়ছে পবিত্র রমজান মাসে- যা সৃজনশীল প্রকাশনা শিল্পের জন্য বাস্তবিক অর্থে কাঙ্ক্ষিত সুফল নাও বয়ে আনতে পারে।

রমজান মাস মূলত সংযম, ইবাদত আত্মশুদ্ধির সময়। এই সময়ে পাঠকসমাজের দৈনন্দিন রুটিনে স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তন আসে।

ইফতার, তারাবির নামাজ ধর্মীয় অনুশীলনের কারণে সন্ধ্যা রাতের সময়টাই সবচেয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠে-যে সময়টি সাধারণত বইমেলার প্রধান ক্রয়-বিক্রয়ের সময়।

ফলে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়া এবং বই বিক্রির হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।

অবস্থায় পুরো রমজানজুড়ে বইমেলা আয়োজন অনেকটাই আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকার ঝুঁকি তৈরি করছে।

প্রকাশকদের দীর্ঘ প্রস্তুতি, বিনিয়োগ শ্রমের তুলনায় প্রত্যাশিত বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জন কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

বিশেষ করে ছোট মাঝারি প্রকাশকদের জন্য এই পরিস্থিতি আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়বে, কারণ বইমেলার বিক্রির ওপরই তাদের বছরের বড় একটি অংশের হিসাব নির্ভর করে।

তাই সময়সূচি নির্ধারণের ক্ষেত্রে শুধু ক্যালেন্ডারের হিসাব নয়, পাঠক প্রকাশনা শিল্পের বাস্তবতা, ধর্মীয় আবহ এবং বাজারের গতিশীলতাও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন।

অমর একুশে বইমেলা কেবল একটি আনুষ্ঠানিক আয়োজন নয়-এটি ভাষা, সাহিত্য প্রকাশনা শিল্পের জীবন্ত উৎসব। সেই উৎসব যেন সত্যিকার অর্থেই প্রাণবন্ত ফলপ্রসূ হয়, সেটিই সৃজনশীল প্রকাশকসমাজের প্রত্যাশা।

লেখক: ইকবাল হোসেন সানু, সভাপতি বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি

 

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫


রমজান জুড়ে বইমেলা, কাঙ্ক্ষিত সুফল নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশের তারিখ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

featured Image

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের সৃজনশীল প্রকাশনা শিল্পের প্রাণের মেলা। তবে ২০২৬ সালে মেলার সময়সূচি নির্ধারণ নিয়ে প্রকাশকসমাজের মধ্যে যৌক্তিক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত এই আয়োজনের পুরো অংশই পড়ছে পবিত্র রমজান মাসে- যা সৃজনশীল প্রকাশনা শিল্পের জন্য বাস্তবিক অর্থে কাঙ্ক্ষিত সুফল নাও বয়ে আনতে পারে।

রমজান মাস মূলত সংযম, ইবাদত আত্মশুদ্ধির সময়। এই সময়ে পাঠকসমাজের দৈনন্দিন রুটিনে স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তন আসে।

ইফতার, তারাবির নামাজ ধর্মীয় অনুশীলনের কারণে সন্ধ্যা রাতের সময়টাই সবচেয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠে-যে সময়টি সাধারণত বইমেলার প্রধান ক্রয়-বিক্রয়ের সময়।

ফলে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়া এবং বই বিক্রির হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।

অবস্থায় পুরো রমজানজুড়ে বইমেলা আয়োজন অনেকটাই আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকার ঝুঁকি তৈরি করছে।

প্রকাশকদের দীর্ঘ প্রস্তুতি, বিনিয়োগ শ্রমের তুলনায় প্রত্যাশিত বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জন কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

বিশেষ করে ছোট মাঝারি প্রকাশকদের জন্য এই পরিস্থিতি আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়বে, কারণ বইমেলার বিক্রির ওপরই তাদের বছরের বড় একটি অংশের হিসাব নির্ভর করে।

তাই সময়সূচি নির্ধারণের ক্ষেত্রে শুধু ক্যালেন্ডারের হিসাব নয়, পাঠক প্রকাশনা শিল্পের বাস্তবতা, ধর্মীয় আবহ এবং বাজারের গতিশীলতাও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন।

অমর একুশে বইমেলা কেবল একটি আনুষ্ঠানিক আয়োজন নয়-এটি ভাষা, সাহিত্য প্রকাশনা শিল্পের জীবন্ত উৎসব। সেই উৎসব যেন সত্যিকার অর্থেই প্রাণবন্ত ফলপ্রসূ হয়, সেটিই সৃজনশীল প্রকাশকসমাজের প্রত্যাশা।

লেখক: ইকবাল হোসেন সানু, সভাপতি বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি

 


ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত