ইনকিলাব
মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টায়
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা পড়ান তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। তার
জানাজায় লাখো মানুষ অংশ নেন।
জানাজার
আগে তিনি এক আবগঘন বক্তৃতা দেন। সেখানে তিনি জাতির কাছে একটা
প্রশ্ন রাখেন।
আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ওসমান হাদির সন্তানের এখন
৮ মাস বয়স। সন্তান হওয়ার পর সে আমাকে বলে, ভাই আমার সন্তানের জন্য একটা নাম নির্বাচন
করেন, যেই নামের মধ্যে বিপ্লবী চেতনা থাকবে। যে নাম সাহসিকতার পরিচয় বহন করবে।
ওর সন্তানের নাম দিয়েছেলাম ফিরনাস অর্থাৎ বিপ্লবী
এবং সাহসী। আজ ওর সন্তানের দিকে তাকানো যায় না। আমার মা প্রায় পাগল হয়ে যাচ্ছেন। জ্ঞান
হারিয়ে ফেলছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ছয় ভাই বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট
ছিল শরীফ ওসমান বিন হাদি। আজকে তার লাশ আমার কাঁধে বহন করতে হচ্ছে। আজ আপনাদের কাছে
আমার কোনো দাবি নেই, শুধু একটিই দাবি ৭ থেকে ৮ দিন হয়ে গেল, প্রকাশ্য দিবালোকে রাজধানী
ঢাকায় খুনি প্রকাশ্যে গুলি করে যদি পার পেয়ে যায় এর থেকে লজ্জার আমাদের কাছে আর কিছুই
নেই। যদি বর্ডার ক্রস হয়ে যায়, ৫-৭ ঘণ্টা সময় তারা কেমন করে গেল এই প্রশ্ন জাতির কাছে
রেখে গেলাম।’
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স
কালভার্ট রোডে আততায়ীর গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন শরীফ ওসমান বিন হাদি।
সেখান
থেকে গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ারে
চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার
অ্যাম্বুল্যান্সযোগে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টায় মারা যান হাদি। পরদিন ১৯ ডিসেম্বর
সন্ধ্যায় তার মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছলে বিমানবন্দরে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি
হয়। সিঙ্গাপুর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তার কফিন দেশে আনা
হয়। সেখান থেকে মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হিমঘরে নেওয়া
হয়।
এদিকে
হাদির মৃতুতে আজ শনিবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হচ্ছে। দেশের সব সরকারি,
আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও
বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে।
বিষয় : শরিফ ওসমান বিন হাদি জানাজা
.png)
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব
মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টায়
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা পড়ান তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। তার
জানাজায় লাখো মানুষ অংশ নেন।
জানাজার
আগে তিনি এক আবগঘন বক্তৃতা দেন। সেখানে তিনি জাতির কাছে একটা
প্রশ্ন রাখেন।
আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ওসমান হাদির সন্তানের এখন
৮ মাস বয়স। সন্তান হওয়ার পর সে আমাকে বলে, ভাই আমার সন্তানের জন্য একটা নাম নির্বাচন
করেন, যেই নামের মধ্যে বিপ্লবী চেতনা থাকবে। যে নাম সাহসিকতার পরিচয় বহন করবে।
ওর সন্তানের নাম দিয়েছেলাম ফিরনাস অর্থাৎ বিপ্লবী
এবং সাহসী। আজ ওর সন্তানের দিকে তাকানো যায় না। আমার মা প্রায় পাগল হয়ে যাচ্ছেন। জ্ঞান
হারিয়ে ফেলছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ছয় ভাই বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট
ছিল শরীফ ওসমান বিন হাদি। আজকে তার লাশ আমার কাঁধে বহন করতে হচ্ছে। আজ আপনাদের কাছে
আমার কোনো দাবি নেই, শুধু একটিই দাবি ৭ থেকে ৮ দিন হয়ে গেল, প্রকাশ্য দিবালোকে রাজধানী
ঢাকায় খুনি প্রকাশ্যে গুলি করে যদি পার পেয়ে যায় এর থেকে লজ্জার আমাদের কাছে আর কিছুই
নেই। যদি বর্ডার ক্রস হয়ে যায়, ৫-৭ ঘণ্টা সময় তারা কেমন করে গেল এই প্রশ্ন জাতির কাছে
রেখে গেলাম।’
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স
কালভার্ট রোডে আততায়ীর গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন শরীফ ওসমান বিন হাদি।
সেখান
থেকে গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ারে
চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার
অ্যাম্বুল্যান্সযোগে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টায় মারা যান হাদি। পরদিন ১৯ ডিসেম্বর
সন্ধ্যায় তার মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছলে বিমানবন্দরে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি
হয়। সিঙ্গাপুর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তার কফিন দেশে আনা
হয়। সেখান থেকে মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হিমঘরে নেওয়া
হয়।
এদিকে
হাদির মৃতুতে আজ শনিবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হচ্ছে। দেশের সব সরকারি,
আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও
বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে।
.png)
আপনার মতামত লিখুন