বিচার
বিভাগের স্বাধীনতার প্রসঙ্গ টেনে ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, সম্প্রতি বিচার বিভাগকে
স্বাধীন বা পৃথকীকরণের যে অধ্যাদেশ হয়েছে তাতে পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয়
নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিল। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কতটুকু দেওয়া হয়েছে তা গভীরভাবে
পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাবে বিষয়টি নতুন সরকারের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। কারণ,
এখন ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতিদিনের সিদ্ধান্ত—জামিন, রিমান্ড বা দণ্ড কোনোটিই আর আইন
মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই। নতুন সরকার অবশ্যই বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করবে।
চলমান অস্থিরতা ও
দাবিদাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের হাতে সময় খুবই কম। অথচ এই সময়ে প্রাইমারি ও
সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষকরা ধর্মঘটে যাচ্ছেন, যখন কি না সামনেই পরীক্ষা। সবার
মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে যে, এটাই শেষ সুযোগ, এখনই যা পারো আদায় করো।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেলে আর কিছু করা যাবে না—এমন ভাবনা থেকে দুদিনের
আলটিমেটাম দেওয়া হচ্ছে। এটি আমার কাছে অদ্ভূত লাগে।
সর্বস্তরে
স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, আমরা কি খুব
অস্থির হয়ে গেছি? এখনই না পেলে আর কখনো পাবো না, এমন মনে হয় কেন? এই অস্থিরতা থেকে
সমাজ, রাজনীতি, শিক্ষক ও ছাত্র সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।
উপদেষ্টা
বলেন, ‘দেশ ভালো হোক তা সবাই চায়। কিন্তু তার জন্য একটি সুস্থির পরিবেশ
দরকার—যেখানে ছাত্ররা পড়বেন, গবেষকরা গবেষণা করবেন এবং পরিকল্পনাবিদরা পরিকল্পনা
করবেন। দেশের সব সমস্যার দায় মাথায় নিয়ে কেউ টিকতে পারে না। নিজের জায়গায় দায়িত্ব
পালন করলেই দেশ এগিয়ে যাবে।’
আপনার মতামত লিখুন