ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

অনন্ত যাত্রায় খালেদা জিয়ার সঙ্গী লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসা



 অনন্ত যাত্রায় খালেদা জিয়ার সঙ্গী লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসা
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এর আশপাশ। যতদূর চোখ যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ। লাখ লাখ মানুষ এসেছেন আপসহীন নেত্রীকে শেষ বিদায় দিতে।যেখান থেকে আর কখনও ফেরা হবে না। অনন্ত যাত্রায় খালেদা জিয়ার সঙ্গী লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা চোখের পানি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জানাজাস্থলে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ঢুকরে কাঁদছেন। অনেকেই আবেগ সংবরণ করতে পারছেন না। হাউ মাউ করে কেঁদে উঠছেন। কে কাকে স্বান্তনা দেবে!  

সারা জীবন দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে জীবনের শেষ মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হয়ে ওঠা খালেদা জিয়া যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপাসনের পরিচয় ছাপিয়ে গেছেন, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে মানুষের এই জনস্রোত।

সারাদেশ থেকে ছুটে এসেছে মানুষ। বাংলাদেশের নেতা খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে। স্বয়ং প্রকৃতিও খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাচ্ছে। গেলো কয়েকদিনের কনকনে ঠান্ডা দূর করে মিষ্টি রোদ উঠেছে নগরীতে, তাতে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে আগত জনতা। দুপুর দেড়টার দিকে দেখা গেছে, সংসদ ভবন এলাকা, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এবং আশপাশের সড়কজুড়ে মানুষের ঢল। এই স্রোত পৌঁছে গেছে ফার্মগেটেও।

কঠোর নিরাপত্তায় সকাল ১১টা ৪৮ মিনিটের দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পৌঁছে বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ। রাষ্ট্রীয় প্রোটকলে লাল-সবুজ রঙের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো ফ্রিজার ভ্যানে করে তার মরদেহ আনা হয়।এর আগে, বেলা ১১টার দিকে গুলশানে তারেক রহমানের বাসা থেকে খালেদা জিয়ার মরদেহ বহনকারী ফ্রিজার ভ্যানটি যাত্রা শুরু করে। তার আগে সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানে নেওয়া হয় খালেদা জিয়ার মরদেহ।

দীর্ঘদিন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার ভোর ৬টায় অসীম অনন্তলোকে পাড়ি জমান খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সে প্রয়াণ ঘটে দেশের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত এই রাজনীতিকের।

 

এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ

বিষয় : বেগম খালেদা জিয়া ব্রেকিং নিউজ

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫


অনন্ত যাত্রায় খালেদা জিয়ার সঙ্গী লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসা

প্রকাশের তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

featured Image

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এর আশপাশ। যতদূর চোখ যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ। লাখ লাখ মানুষ এসেছেন আপসহীন নেত্রীকে শেষ বিদায় দিতে।যেখান থেকে আর কখনও ফেরা হবে না। অনন্ত যাত্রায় খালেদা জিয়ার সঙ্গী লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা চোখের পানি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জানাজাস্থলে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ঢুকরে কাঁদছেন। অনেকেই আবেগ সংবরণ করতে পারছেন না। হাউ মাউ করে কেঁদে উঠছেন। কে কাকে স্বান্তনা দেবে!  

সারা জীবন দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে জীবনের শেষ মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হয়ে ওঠা খালেদা জিয়া যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপাসনের পরিচয় ছাপিয়ে গেছেন, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে মানুষের এই জনস্রোত।

সারাদেশ থেকে ছুটে এসেছে মানুষ। বাংলাদেশের নেতা খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে। স্বয়ং প্রকৃতিও খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাচ্ছে। গেলো কয়েকদিনের কনকনে ঠান্ডা দূর করে মিষ্টি রোদ উঠেছে নগরীতে, তাতে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে আগত জনতা। দুপুর দেড়টার দিকে দেখা গেছে, সংসদ ভবন এলাকা, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এবং আশপাশের সড়কজুড়ে মানুষের ঢল। এই স্রোত পৌঁছে গেছে ফার্মগেটেও।

কঠোর নিরাপত্তায় সকাল ১১টা ৪৮ মিনিটের দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পৌঁছে বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ। রাষ্ট্রীয় প্রোটকলে লাল-সবুজ রঙের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো ফ্রিজার ভ্যানে করে তার মরদেহ আনা হয়।এর আগে, বেলা ১১টার দিকে গুলশানে তারেক রহমানের বাসা থেকে খালেদা জিয়ার মরদেহ বহনকারী ফ্রিজার ভ্যানটি যাত্রা শুরু করে। তার আগে সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানে নেওয়া হয় খালেদা জিয়ার মরদেহ।

দীর্ঘদিন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার ভোর ৬টায় অসীম অনন্তলোকে পাড়ি জমান খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সে প্রয়াণ ঘটে দেশের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত এই রাজনীতিকের।

 

এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ


ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত