বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুদ্ধে মানুষ মারার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক
হত্যায়ও এগিয়ে ইসরায়েল। তথ্য বলছে, ২০২৫ সালে বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায়
বেশি সাংবাদিক হত্যা করেছে দেশটির নেতানিয়াহু সরকার।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) বার্ষিক প্রতিবেদনে
জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী এ বছর ২৯ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে হত্যার জন্য দায়ী।
এর মাধ্যমে টানা তৃতীয় বছরের মতো সাংবাদিক হত্যায় শীর্ষে রয়েছে দেশটি।
তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে বিশ্বজুড়ে ৬৭ জন সাংবাদিককে হত্যার ঘটনা
ঘটেছে, যা বিগত ২০২৪ সালের চেয়ে একজন বেশি।
আরএসএফের মহাপরিচালক থিবো ব্রুটিন বলেন, সাংবাদিকদের প্রতি ঘৃণার
বহিঃপ্রকাশ এটাই। এই সাংবাদিকরা কোনো দুর্ঘটনায় মারা যাননি। তাদের হত্যা করা
হয়েছে, সাংবাদিকতার জন্যই তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতির জন্য ব্রুটিন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে দায়ী করেছেন।
তার মতে, সাংবাদিক হত্যা বন্ধে সংস্থাগুলো 'ব্যর্থ'। সশস্ত্র সংঘাতে সাংবাদিকদের
সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়াই হত্যার সংখ্যা বাড়ার অন্যতম কারণ। যা বিশ্বজুড়ে
সরকারগুলোর সাহসের ঘাটতির প্রতিফলনও দেখাচ্ছে।
সাংবাদিক হত্যার পরিসংখ্যানে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। এক
বছরে ৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে দেশটিতে। এ ছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ৩ জন ও
সুদানে ৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
সাংবাদিক কারাবন্দীর সংখ্যাও জানিয়েছে আরএসএফ। তারা বলছে, বিশ্বের
সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক বন্দী করেছে চীন। দেশটিতে বর্তমানে ১২১ জন সাংবাদিক
কারাবন্দী রয়েছেন। এরপরই রয়েছে রাশিয়া ৪৮ ও মিয়ানমার ৪৭।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৭টি
দেশে ৫০৩ জন সাংবাদিক গ্রেপ্তার রয়েছেন।
.png)
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুদ্ধে মানুষ মারার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক
হত্যায়ও এগিয়ে ইসরায়েল। তথ্য বলছে, ২০২৫ সালে বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায়
বেশি সাংবাদিক হত্যা করেছে দেশটির নেতানিয়াহু সরকার।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) বার্ষিক প্রতিবেদনে
জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী এ বছর ২৯ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে হত্যার জন্য দায়ী।
এর মাধ্যমে টানা তৃতীয় বছরের মতো সাংবাদিক হত্যায় শীর্ষে রয়েছে দেশটি।
তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে বিশ্বজুড়ে ৬৭ জন সাংবাদিককে হত্যার ঘটনা
ঘটেছে, যা বিগত ২০২৪ সালের চেয়ে একজন বেশি।
আরএসএফের মহাপরিচালক থিবো ব্রুটিন বলেন, সাংবাদিকদের প্রতি ঘৃণার
বহিঃপ্রকাশ এটাই। এই সাংবাদিকরা কোনো দুর্ঘটনায় মারা যাননি। তাদের হত্যা করা
হয়েছে, সাংবাদিকতার জন্যই তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতির জন্য ব্রুটিন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে দায়ী করেছেন।
তার মতে, সাংবাদিক হত্যা বন্ধে সংস্থাগুলো 'ব্যর্থ'। সশস্ত্র সংঘাতে সাংবাদিকদের
সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়াই হত্যার সংখ্যা বাড়ার অন্যতম কারণ। যা বিশ্বজুড়ে
সরকারগুলোর সাহসের ঘাটতির প্রতিফলনও দেখাচ্ছে।
সাংবাদিক হত্যার পরিসংখ্যানে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। এক
বছরে ৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে দেশটিতে। এ ছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ৩ জন ও
সুদানে ৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
সাংবাদিক কারাবন্দীর সংখ্যাও জানিয়েছে আরএসএফ। তারা বলছে, বিশ্বের
সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক বন্দী করেছে চীন। দেশটিতে বর্তমানে ১২১ জন সাংবাদিক
কারাবন্দী রয়েছেন। এরপরই রয়েছে রাশিয়া ৪৮ ও মিয়ানমার ৪৭।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৭টি
দেশে ৫০৩ জন সাংবাদিক গ্রেপ্তার রয়েছেন।
.png)
আপনার মতামত লিখুন