জাতি হারিয়েছে একজন অভিভাবক: হানিফ সংকেত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেত। তার ইন্তেকালে শোক ও সমবেদনা জানিয়ে হানিফ সংকেত লেখেন,
‘সর্বজন শ্রদ্ধেয়, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ছয়টায় আমাদের ছেড়ে চির বিদায় নিয়েছেন
(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।’আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার অবদান তুলে ধরে হানিফ সংকেত লেখেন,
‘তার এই মৃত্যুতে জাতি হারিয়েছে একজন অভিভাবক। দেশ ও জাতির কল্যাণে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে এই উপস্থাপক আরও লেখেন,
‘তার এই মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন। তার শোকাবহ পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।’আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন বেগম খালেদা জিয়া।সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গত ২৩ নভেম্বর বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৭ নভেম্বর তার ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিলে কেবিন থেকে
‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে’
স্থানান্তর করা হয়।৮০ বছর বয়সি বেগম খালেদা জিয়া বিভিন্ন জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে রয়েছে লিভার সংক্রান্ত জটিলতা,
কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা,
হৃদরোগ,
উচ্চ রক্তচাপ,
ডায়াবেটিস, আথ্রাইটিস ও ইনফেকশনজনিত সমস্যা।বেগম খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা ইস্কান্দার মজুমদারের বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরামের শ্রীপুর গ্রামে। মা তৈয়বা বেগমের জন্ম পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ীতে। তাদের তিন মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে খালেদা জিয়া তৃতীয়।
তিনি ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় এবং ২০০১ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া ১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ