জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার কারণ জানালো হত্যাকারী
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত
টেটসুয়া ইয়ামাগামি আদালতে প্রথমবারের মতো ক্ষমা চাইলেন। বৃহস্পতিবার নারা জেলা
আদালতের শুনানিতে তিনি বলেন, আবের স্ত্রী আকিয়ে, পরিবারের অন্য সদস্যরা যে তিন বছর
ধরে কষ্টের মধ্যে আছেন, তার দায় তাঁরই।ইয়ামাগামি ২০২২ সালের জুলাইয়ে নারা শহরে নির্বাচনী প্রচারের সময়
ঘরোয়া অস্ত্র দিয়ে গুলি করে আবেকে হত্যা করেন। কঠোর অস্ত্র আইন এবং কম অপরাধের
দেশে এই হত্যাকাণ্ড জাপানজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করে।তিনি আদালতে বলেন, তাঁর ব্যক্তিগতভাবে আবে’র প্রতি কোনো বিদ্বেষ
ছিল না। বরং ইউনিফিকেশন চার্চের প্রতি ক্ষোভ থেকেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর
দাবি, চার্চে তাঁর মা বিপুল অর্থ দান করায় পরিবার দেউলিয়া হয়ে পড়ে। তাই সংগঠনের
সবচেয়ে পরিচিত সমর্থক হিসেবে আবেকে লক্ষ্য করা হয়।আগে থেকেই হত্যার দায় স্বীকার করা ইয়ামাগামি বলেন, “আসলে যা করেছি,
তা ঠিকই করেছি। কিন্তু আবে পরিবারের প্রতি কষ্ট দেওয়ার কোনো অজুহাত নেই।” শুনানির
সময় তাঁর আইনজীবীরা বলেন, যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে হত্যাকান্ডে, তা স্থানীয়
আইনে সংজ্ঞায়িত হ্যান্ডগানের পর্যায়ে পড়ে না, তাই তাঁর শাস্তি কিছুটা কমানো উচিত।ইউনিফিকেশন চার্চকে ঘিরে জাপানে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সমালোচকেরা দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠনটির আর্থিক কার্যক্রম, সদস্য নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক
প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন। আদালত ইতোমধ্যে চার্চ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে,
যদিও সংগঠনটি আপিলের ঘোষণা দিয়েছে। এর আগের দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন শিনজো আবের
স্ত্রী আকিয়ে। তিনি দ্বিতীয় সারিতে বসে নীরবে সব কিছুই শুনেছিলেন, তবে ক্ষমা
চাওয়ার দিন তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।
এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ