ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

দীর্ঘ অপেক্ষার পর আক্কেলপুরে চিলাহাটি এক্সপ্রেসের যাতাবিরতি শুরু

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর রেলস্টেশন একেবারেই সাধারণ একটি আঞ্চলিক স্টেশন। কিন্তু আজ সোমবারের সকালটি ছিল ব্যতিক্রম। বহুদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় ছোট্ট স্টেশনটি পরিণত হয় উৎসবস্থলে। ঠিক সকাল ৯টা ৪৮ মিনিটে বহু প্রতীক্ষিত ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ যখন প্রথমবারের মতো স্টেশনে এসে থামে, তখন উল্লাসে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।ট্রেন থামার সঙ্গে সঙ্গেই চালক, গার্ড ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন । স্টেশন এলাকাজুড়ে তৈরি হয় উচ্ছ্বাস–উদ্দীপনার পরিবেশ। এমন অভ্যর্থনা পেয়ে চালক ও যাত্রীরা বিস্ময় লুকাতে পারেননি। তারা বলেন, এর আগে কোথাও এভাবে সংবর্ধনা পাননি।চিলাহাটি–ঢাকা রুটের অন্যতম ব্যস্ত ট্রেন এই ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’। কিন্তু আক্কেলপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে এতদিন এর যাত্রাবিরতি ছিল না। এতে আশপাশের এলাকার মানুষ নিয়মিত ভোগান্তির শিকার হতেন। এ সমস্যার সমাধানে আক্কেলপুরবাসী ৭ জুন ২০২৩ থেকে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ, স্মারকলিপি, গণস্বাক্ষর কর্মসূচিসহ ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন।অবশেষে দীর্ঘ চাপের মুখে রেলপথ মন্ত্রণালয় ৩০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে তিন মাসের জন্য আক্কেলপুর স্টেশনে চিলাহাটি এক্সপ্রেসের সাময়িক যাত্রাবিরতি অনুমোদন দেয়। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে আজ ১ ডিসেম্বর। আর এ কারণেই আজকের আগমনকে ঘিরে স্টেশনে ছিল স্থানীয়দের স্বতঃস্ফূর্ত উৎসবের আবহ।ট্রেন থামার পর স্টেশনে অনুষ্ঠিত হয় এক সংক্ষিপ্ত আনন্দ সমাবেশ। বক্তব্য দেন সাবেক পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী বাদশা, সাবেক প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম চপল, আব্দুর রউফ, তরিকুল ইসলাম তুহিন, কামরুজ্জামান মিলনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।চিলাহাটি ট্রেন যাত্রাবিরতি আন্দোলন কমিটির অন্যতম সদস্য কামরুজ্জামান মিলন বলেন, এই এলাকার মানুষসহ আশপাশের উপজেলাগুলোর যাতায়াতের প্রধান ভরসা এই স্টেশন। ট্রেনগুলো না থামায় দীর্ঘদিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আমরা আন্দোলন চালিয়ে গেছি। বিএনপির জয়পুরহাট–২ আসনের প্রার্থী আব্দুর বারীর সহযোগিতায় রেল মন্ত্রণালয় অবশেষে যাত্রাবিরতির অনুমতি দেয়। আজকের দিনটা তাই আমাদের জন্য আনন্দের।যাত্রী ইউসুফ আলী বলেন, আক্কেলপুরে ট্রেন থামছে এ দৃশ্যটা সত্যিই আনন্দের। আগে সান্তাহার বা জয়পুরহাট যেতে হতো। এখন এখান থেকেই উঠতে পারবো। এতে সময় ও খরচ দুটোই কমবে।আক্কেলপুর স্টেশন মাস্টার হাসিবুল হাসান জানান, তিন মাসের জন্য যাত্রাবিরতির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে স্টেশন লাভজনক হলে স্থায়ী যাত্রাবিরতি দেওয়া হতে পারে। প্রথম দিন সফলভাবে ট্রেন থামা ও ছাড়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়েই ট্রেন এখানে থামবে বলে জানান তিনি।  এনএম/ধ্রুবকন্ঠ

দীর্ঘ অপেক্ষার পর আক্কেলপুরে চিলাহাটি এক্সপ্রেসের যাতাবিরতি শুরু