প্রাথমিক মনোনয়ন মানেই চূড়ান্ত বিজয় নয় : মোবাশ্বের
দলের
প্রাথমিক মনোনয়ন মানেই চূড়ান্ত বিজয় নয়। ২০০৮ সালে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিল
এরপর দীর্ঘ ১৭ বছর আমার জীবন যৌবন কেটেছে কারাগারে থেকে। দলের প্রয়োজনে এবং
কুমিল্লা-১০ আসনের উন্নয়নে সব সময় পাশে ছিলাম। আগামীতেও থাকব বলে জানিয়েছেন বিএনপির
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কুমিল্লা-১০
আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া।আজ বুধবার (১৭
ডিসেম্বর) বিকেলে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে সামনে রেখে কুমিল্লার
নাঙ্গলকোট হাছান মেমোরিয়াল সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালিপূর্ব
এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন,
‘কুমিল্লার-১০ আসনে মনোনয়ন নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হয়েছে, এটা শুধু কুমিল্লা নয়,
সারা দেশের মানুষ জানে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরে মীরজাফর আলী খানও কিন্তু নবাব হয়েছে।
তাকে কখনো কেউ নবাব বলে না। তেমনি মনোনয়নবঞ্চিত
মানে পরাজয় নয়। আর এই আসনে যাকে দল থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তিনি
যে বিজয়ী হয়েছেন সেটাও কিন্তু না।’মনোনয়নপ্রাপ্ত
আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার সমালোচনা করে মোবাশ্বের
বলেন, ‘মুবাশ্বর আলমের সাথে প্রতিটা ইউনিয়নের ১০-১৫ জন নেশাখোর ছাড়া আর নাকি কেউ
নেই। আজকের এই বিজয় র্যালিতে ৫০ হাজারেরও বেশি লোক উপস্থিত রয়েছে। এতে প্রমাণ হয় নাঙ্গলকোটে তার অস্তিত্ব নেই। তবে আমিও
বলি আমরা নেশা করি। সেই নেশার নাম হচ্ছে ধানের শীষ, সে নেশার নাম বিএনপি।’সমাবেশ
শেষে নাঙ্গলকোট উপজেলা সদরে এক বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি করেন দলের নেতাকর্মীরা। ওই
র্যালিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।এ সময় সবার হাতে হাতে দলের ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন দেখা যায়।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ