ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

ধানমণ্ডিতে বিজয় মেলা: দুই দিনব্যাপী চলছে বিজয় উৎসব

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ধানমণ্ডি সোসাইটির উদ্যোগে ধানমণ্ডিতে দুই দিনব্যাপী ‘বিজয় মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৫’ আয়োজন করা হয়েছে।গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় ধানমণ্ডি ৪ নম্বর মাঠে ‘সমৃদ্ধি, শান্তি, ভালোবাসা’ স্লোগান নিয়ে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর প্রথম দিন বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও মনোজ্ঞ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) উৎসবের দ্বিতীয় দিনেও দিনভর আয়োজন চলে, যা রাত ১১টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে যা থাকবে:উৎসবের দ্বিতীয় দিনে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। দিনভর চিত্রকলা প্রদর্শনী, শিশুদের খেলার আয়োজন এবং ঐতিহ্যবাহী বায়োস্কোপ, সাপের খেলা, লাটিম খেলা, বাঁদর নাচ, মার্বেল খেলা, ভাগ্য গণনা, বিস্কুট দৌড়, হাঁড়ি ভাঙা ও রণপার মতো গ্রামীণ খেলাধুলা দর্শনার্থীদের বিশেষ আকর্ষণ হয়ে ওঠে।সকাল ১১টার দিকে শফিউদ্দিন শিল্পালয়ের আয়োজনে শিশুদের ছাপচিত্র কর্মশালা এবং চারুকুঠি স্কুলের শিশুদের নৃত্য পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে নাটক ‘মাটির মহাজন’ (আরণ্যক), কবিতা আবৃত্তি ও স্বল্পদৈর্ঘ্য নাটিকা (ড্যানডেলায়ন্স) এবং সুরভি স্কুলের নৃত্য পরিবেশনা দর্শকরা করতালির মাধ্যমে উপভোগ করেন।সন্ধ্যায় সোসাইটির সভাপতির বক্তব্যে ধানমণ্ডি সোসাইটির সভাপতি ডা. মোসাদ্দেক হাবিব মিতু বলেন, ‘এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রত্যেক জাতিরই একটা বিশেষ দিন, ক্ষণ, মুহূর্ত ও মাস থাকে, যা গৌরবজনক। আমাদের সবচাইতে গৌরবজনক দিন হলো ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস।’তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাসের রক্তঝরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এটা আমরা যারা প্রত্যক্ষ করেছি, সেটা ৫৪ বছর আগের কথা।বর্তমান প্রজন্ম সেই ইতিহাস সম্পর্কে ততটা জানে না। আমরা প্রতিবছর এই দিবসে দেশাত্মবোধক গান, গুণীজন সংবর্ধনাসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে এই প্রজন্মকে অর্জিত বিজয়ের সঙ্গে সেতুবন্ধন করার চেষ্টা করছি, যাতে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হয় এবং তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বজায় থাকে।’ সন্ধ্যার আয়োজনে যা থাকবে:সন্ধ্যার পর প্রামাণ্যচিত্র ও থিম সং পরিবেশন, গুণী ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদান, সোসাইটির নিরাপত্তাকর্মীদের উপহার বিতরণ এবং স্পনসরদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। রাতে ম্যাজিক শো, ব্যান্ড শো (প্যান্ডোরা ও অবসকিউর), র‍্যাফেল ড্র এবং আতশবাজির মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।ধানমণ্ডি সোসাইটির কালচারাল সেক্রেটারি বুশরা ফারুক বলেন, ‘ধানমণ্ডির সব বয়সী মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই এই দুই দিনব্যাপী বিজয় মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।আমরা গত চার বছর ধরে এই আয়োজন করে আসছি, যাতে ধানমণ্ডির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি আগামী প্রজন্ম জানতে পারে।’তিনি আরো বলেন, ‘বিজয় দিবসের চেতনা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এবং প্রতিবেশীদের একত্রিত করতেই এই আয়োজন। সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে একসঙ্গে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।’মেলায় গোল্ড’স জিমস্বাস্থ্য সচেতনতা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে ধানমণ্ডির বিজয় মেলায় স্টল নিয়েছে গোল্ড’স জিম। এই স্টলের মাধ্যমে গোল্ড’স জিম বাংলাদেশ তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দর্শনার্থী ও সম্ভাব্য গ্রাহকদের জানাচ্ছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করাই তাদের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।গোল্ড’স জিমের হেড ট্রেনার নাজিম শেখ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিষয়ে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি এবং একটি স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় কৌশলগত বিষয়গুলো আমরা সবার কাছে পৌঁছে দিতে চাই।’তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো—সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করা এবং জিম করার উপকারিতা তুলে ধরা। সুস্থ থাকার জন্য কিভাবে নিয়মিত ফিটনেস চর্চা করা যায়, সে বিষয়গুলোই আমরা সবাইকে বোঝাতে চাই।’নাজিম শেখ জানান, আমাদের জিমে যে সুযোগ-সুবিধাগুলো রয়েছে, সেগুলোর অনেকগুলো শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও খুব কম জায়গায় পাওয়া যায়। বিশেষ করে আমাদের স্পা ফ্যাসিলিটিজ বিশ্বব্যাপী খুবই রেয়ার।তিনি বলেন, বিজয় মেলার উপলক্ষে আমরা বিশেষ ডিসকাউন্ট দিচ্ছি, যাতে আরো বেশি মানুষ আমাদের সেবার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। আমরা চাই সবাই স্বাস্থ্য সচেতন হোক, ফিটনেস নিয়ে কাজ করুক। এই যাত্রায় গোল্ড’স জিম সব সময় পাশে আছে।  এনএম/ধ্রুবকন্ঠ 

ধানমণ্ডিতে বিজয় মেলা: দুই দিনব্যাপী চলছে বিজয় উৎসব