যে ৫ খাবার বছরের পর বছর মেয়াদ থাকে
প্রায়
সব খাদ্যবস্তু-ই পচনশীল। একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। সেই মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে এসব
খাবার আর খাওয়া যায় না।আবার
কাঁচা সবজি, ফল দেখলেই বোঝা যায় যে তাতে পচন ধরেছে কি না। কিন্তু কিছু খাবার
রয়েছে, যেগুলোর মেয়াদ কখনোই শেষ হয় না। এমনকি পুষ্টিগুণেরও হেরফের হয় না। সেই
খাবার বছরের পর বছর ধরে আপনি খেতে পারেন। কী সেসব খাবার, চলুন জেনে নেওয়া যাক—লবণ :লবণ ছাড়া কোনো
খাবারেরই স্বাদ পাওয়া যায় না। আর লবণের কখনোই মেয়াদ শেষ হয় না। সাধারণ লবণ হোক বা
হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট, যেকোনো লবণ বছরের পর বছর ধরে খেতে পারেন। তবে লবণ সব সময়ে
এয়ার টাইট কৌটাতে রাখবেন। তা না হলে লবণ গলে পানি হয়ে যেতে পারে।মধু :মধুর
কোনো এক্সপায়ারি ডেট নেই। বছরের যেকোনো সময়ে,
যেকোনো খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন। শুধু খেয়াল রাখতে হবে যে, মধু যেন খাঁটি হয়। তার
মধ্যে যেন পানি বা অন্য কোনো খাবারের টুকরা না থাকে। এই কারণে মধু নিতে গেলে সব
সময়ে পরিষ্কার চামচ ব্যবহার করা উচিত।কফি :৩
বছর আগে কেনা কফি এখনো খেতে পারেন। কিন্তু কফিতে প্রিজারভেটিভ বা রাসায়নিক মেশানো
থাকলে চলবে না। পাশাপাশি কফি রাখতে হবে এয়ার টাইট কৌটাতে। সাধারণত এক্সপায়ারি ডেট
পার হওয়ার পরেও কফি খাওয়া যায়। তবে সেটা ভালো মানের কফি হওয়া চাই। যদি প্যাকেটের
গায়ে এক্সপায়ারি ডেট লেখা থাকে, তখন সেই কফি এড়িয়ে চলাই ভালো।চিনি :লবণের
মতো চিনিরও মেয়াদ শেষ হওয়ার নয়। চিনিতে চট করে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটে না। কিন্তু
চিনি সংরক্ষণ করতে হবে ঠিক করে। চিনির মধ্যে যদি পিঁপড়ার আনাগোনা বাড়ে, কিংবা চিনি
যদি গলতে শুরু করে, তখন সেটা আর খাওয়ার যোগ্য থাকে না। ডাল :যেকোনো
ধরনের ডাল বা কলাই আপনি বছরের পর মজুত করে রাখতে পারেন। প্রয়োজনে তাতে শুকনা
নিমপাতা দিয়েও রাখতে পারেন। এতে পোকা ধরার আশঙ্কাও কমে যাবে। ডালের কোনোদিন মেয়াদ
শেষ হয় না। সূত্র
: এই সময়
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ