ঢাকার
জিগাতলায় একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে এনসিপি নেত্রী জান্নাতারা
রুমীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ‘রাজনৈতিক হুমকি ও পারিবারিক জটিলতা’—এই
দুটি বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে
নানা সময়ে হুমকি পেতেন রুমী সে কথা তিনি বরাবর বলছিলেন। সম্প্রতি প্রয়াত এনসপি নেত্রী জান্নাতারা রুমীর পুরনো একটি সাক্ষাৎকার
সামনে এসেছে। যেখানে তিনি বারবার বলেছেন তাকে ক্রমাগত মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
সাক্ষাৎকারে তিনি বিদেশি অনেকগুলো নম্বরও দেখিয়েছিলেন। যেসব ফোন নম্বর থেকে তাকে হত্যার
হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। রুমী সে সময় বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো এত বড়
একটা সংগঠন আমার মতো একজন ছোট মানুষকে হুমকি দেয়, এটা লজ্জার। আমার সামনে যদি গোটা
আওয়ামী লীগ আসে আমি বসে কথা বলব। আমাকে তারা বারবার হুমকি দিচ্ছে, দূর থেকে তারা ফোন
করে হুমকি দিচ্ছে...’ এই সাক্ষাৎকারটি
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
রুমী
জাতীয় নাগরিক পার্টি, এনসিপির ধানমণ্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে নিশ্চিত
করেছেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব।
তিনি
বলেন, ‘প্রায় দুই মাস ধরে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন রুমী। তিনি হত্যা ও
ধর্ষণের হুমকিও পেয়ে আসছিলেন।
এসব
কারণে গত কিছুদিন ধরে ট্রমাটাইজড ছিলেন। দলের কর্মসূচিতে এলেও বিমর্ষ থাকতেন
রুমী।’
গত ১৪ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ চলাকালে ধানমণ্ডি ৩২
নম্বরে মধ্য বয়সী এক নারী মারধরের শিকার হন।
সেই মারধরে জড়িত থাকার ঘটনায় আলোচনায় আসেন জান্নাতারা
রুমী। রুমীর বর্তমান ঠিকানা,
পারিবারিক পরিচয়, গ্রামের ঠিকানা সবই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানান
এনসিপি নেতা আরিফুল ইসলাম আদীব।
তিনি
বলেন, ‘রুমীর পরিবারের সদস্যরাও একই রকম হুমকি-ধমকির মুখে পড়ায়, সেটি পারিবারিক
জটিলতা বা চাপের কারণ হয়ে থাকতে পারে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা পুলিশ তদন্ত করে
দেখবে। কিন্তু যদি আত্মহত্যাও হয় এর পেছনে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের
কর্মীদের ক্রমাগত হুমকি-ধমকি দায়ী বলে আমি মনে করি।’
ভোরে উদ্ধারের পর
সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও পুলিশ সম্ভাব্য সব বিষয়
আমলে নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানান হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে জান্নাতারা রুমী হুমকি ও হয়রানির
শিকার হচ্ছিলেন বলে তার দলের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। একই
সাথে পারিবারিক ও ব্যক্তিজীবনেও তিনি কিছু জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।’
.png)
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ঢাকার
জিগাতলায় একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে এনসিপি নেত্রী জান্নাতারা
রুমীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ‘রাজনৈতিক হুমকি ও পারিবারিক জটিলতা’—এই
দুটি বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে
নানা সময়ে হুমকি পেতেন রুমী সে কথা তিনি বরাবর বলছিলেন। সম্প্রতি প্রয়াত এনসপি নেত্রী জান্নাতারা রুমীর পুরনো একটি সাক্ষাৎকার
সামনে এসেছে। যেখানে তিনি বারবার বলেছেন তাকে ক্রমাগত মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
সাক্ষাৎকারে তিনি বিদেশি অনেকগুলো নম্বরও দেখিয়েছিলেন। যেসব ফোন নম্বর থেকে তাকে হত্যার
হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। রুমী সে সময় বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো এত বড়
একটা সংগঠন আমার মতো একজন ছোট মানুষকে হুমকি দেয়, এটা লজ্জার। আমার সামনে যদি গোটা
আওয়ামী লীগ আসে আমি বসে কথা বলব। আমাকে তারা বারবার হুমকি দিচ্ছে, দূর থেকে তারা ফোন
করে হুমকি দিচ্ছে...’ এই সাক্ষাৎকারটি
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
রুমী
জাতীয় নাগরিক পার্টি, এনসিপির ধানমণ্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে নিশ্চিত
করেছেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব।
তিনি
বলেন, ‘প্রায় দুই মাস ধরে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন রুমী। তিনি হত্যা ও
ধর্ষণের হুমকিও পেয়ে আসছিলেন।
এসব
কারণে গত কিছুদিন ধরে ট্রমাটাইজড ছিলেন। দলের কর্মসূচিতে এলেও বিমর্ষ থাকতেন
রুমী।’
গত ১৪ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ চলাকালে ধানমণ্ডি ৩২
নম্বরে মধ্য বয়সী এক নারী মারধরের শিকার হন।
সেই মারধরে জড়িত থাকার ঘটনায় আলোচনায় আসেন জান্নাতারা
রুমী। রুমীর বর্তমান ঠিকানা,
পারিবারিক পরিচয়, গ্রামের ঠিকানা সবই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানান
এনসিপি নেতা আরিফুল ইসলাম আদীব।
তিনি
বলেন, ‘রুমীর পরিবারের সদস্যরাও একই রকম হুমকি-ধমকির মুখে পড়ায়, সেটি পারিবারিক
জটিলতা বা চাপের কারণ হয়ে থাকতে পারে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা পুলিশ তদন্ত করে
দেখবে। কিন্তু যদি আত্মহত্যাও হয় এর পেছনে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের
কর্মীদের ক্রমাগত হুমকি-ধমকি দায়ী বলে আমি মনে করি।’
ভোরে উদ্ধারের পর
সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও পুলিশ সম্ভাব্য সব বিষয়
আমলে নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানান হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে জান্নাতারা রুমী হুমকি ও হয়রানির
শিকার হচ্ছিলেন বলে তার দলের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। একই
সাথে পারিবারিক ও ব্যক্তিজীবনেও তিনি কিছু জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।’
.png)
আপনার মতামত লিখুন