ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

শীতে হাতের চামড়া রক্ষায় যা করবেন


প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ | প্রিন্ট সংস্করণ | ফটো কার্ড

শীতে হাতের চামড়া রক্ষায় যা করবেন
ছবি : সংগৃহীত

শীতে মাথার ত্বক থেকে শুরু করে ঠোঁট, কনুই, হাত, পা, পায়ের আঙুল পর্যন্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। কারও কারও হাতের তালুও শুষ্ক হয়ে ওঠে। ছাল উঠতে শুরু করে, ফাটল ধরে যায়, খসখসে হয়ে যায় হাত।

সময় বারবার হাত ধুলে ত্বকের আবরণ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি শুষ্কতার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তবে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার জন্য হাত ধোয়া বন্ধ করা সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগতে থাকলে হাত জ্বালা, লালচে ভাব, অস্বস্তি ইত্যাদি হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফাটল দিয়ে ব্যাক্টেরিয়ার প্রবেশ ঘটে সংক্রমণও হয়ে যেতে পারে।

হাতের ত্বকের একেবারে উপরের স্তরটি ত্বককে সুরক্ষা দেয়। ত্বকের ভেতরের পানি ধরে রাখে। শীতের শুষ্ক বাতাস এই আবরণকে ভেদ করতে সক্ষম হয়ে গেলেই ত্বক থেকে দ্রুত পানি বেরিয়ে আসে। উপরন্তু যদি বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে থাকেন, তা হলে ত্বকের ওই আবরণ আরও দুর্বল হয়ে ওঠে। ফলে হাত খসখসে, ত্বক ফেটে লালচে হতে শুরু করে, অনেক সময় চুলকানি বা ব্যথাও হতে পারে। তাই সঠিক উপায়ে হাতের সুরক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।

শীতে হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম

শীতে হাত ধোয়ার সময় গরম পানির বদলে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করুন। গরম পানি ত্বকের স্বাভাবিক তেল কমিয়ে দিতে পারে। হাত ধোয়ার জন্য এমন সাবান বেছে নিন, যা ক্রিম জাতীয়, মৃদু এবং গন্ধহীন। কঠিন, রসায়নিক সাবান ত্বককে আরও শুষ্ক করে ফেলে। ধোয়ার পরেই গ্লিসারিন, ময়েশ্চারাইজ়ার, শিয়া বাটার ইত্যাদি হাতে মেখে নিন। কাপড়ে ঘষে শুকোনোর বদলে হালকা চাপ দিয়ে নিন নরম কাপড়ে। নয়তো, অতিরিক্ত ঘর্ষণে ত্বকের আবরণ ছিঁড়ে যেতে পারে। সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে ক্রিম মাখতে থাকুন হাতে। রাতে ঘুমোনোর আগে ভারি ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নিন, যাতে সারা রাত ধরে আর্দ্রতা ত্বকের ভিতরে বিনা বাধায় প্রবেশ করতে পারে। সকালে উঠে হাত নরম হয়ে উঠবে।

শীতের সময়ে হাতকে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করবেন যেভাবে

. ঠান্ডার সময়ে বাইরে গেলে হাত গ্লাভস পরে রাখা ভাল, যাতে ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস বার বার হাতের সংস্পর্শে না আসে। ঘরের কাজ যেমনঃ বাসন মাজা, কাপড় কাচার সময়ে রাবারের গ্লাভস পরে রাখা উচিত। নয়তো, ত্বক সরাসরি রাসায়নিকের সংস্পর্শে এসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

. ঘরের ভেতর শুষ্কতা কমাতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।

. জামাকাপড় কাচার ডিটারজেন্ট এবং বাসন মাজার সাবান বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন। মৃদু এবং কম রাসায়নিক যুক্ত পণ্য ব্যবহার করলে হাত সুরক্ষিত থাকবে।

 

এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ

বিষয় : ত্বক শীতে চামড়া ত্বক খসখসে

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫


শীতে হাতের চামড়া রক্ষায় যা করবেন

প্রকাশের তারিখ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

featured Image

শীতে মাথার ত্বক থেকে শুরু করে ঠোঁট, কনুই, হাত, পা, পায়ের আঙুল পর্যন্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। কারও কারও হাতের তালুও শুষ্ক হয়ে ওঠে। ছাল উঠতে শুরু করে, ফাটল ধরে যায়, খসখসে হয়ে যায় হাত।

সময় বারবার হাত ধুলে ত্বকের আবরণ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি শুষ্কতার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তবে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার জন্য হাত ধোয়া বন্ধ করা সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগতে থাকলে হাত জ্বালা, লালচে ভাব, অস্বস্তি ইত্যাদি হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফাটল দিয়ে ব্যাক্টেরিয়ার প্রবেশ ঘটে সংক্রমণও হয়ে যেতে পারে।

হাতের ত্বকের একেবারে উপরের স্তরটি ত্বককে সুরক্ষা দেয়। ত্বকের ভেতরের পানি ধরে রাখে। শীতের শুষ্ক বাতাস এই আবরণকে ভেদ করতে সক্ষম হয়ে গেলেই ত্বক থেকে দ্রুত পানি বেরিয়ে আসে। উপরন্তু যদি বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে থাকেন, তা হলে ত্বকের ওই আবরণ আরও দুর্বল হয়ে ওঠে। ফলে হাত খসখসে, ত্বক ফেটে লালচে হতে শুরু করে, অনেক সময় চুলকানি বা ব্যথাও হতে পারে। তাই সঠিক উপায়ে হাতের সুরক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।

শীতে হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম

শীতে হাত ধোয়ার সময় গরম পানির বদলে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করুন। গরম পানি ত্বকের স্বাভাবিক তেল কমিয়ে দিতে পারে। হাত ধোয়ার জন্য এমন সাবান বেছে নিন, যা ক্রিম জাতীয়, মৃদু এবং গন্ধহীন। কঠিন, রসায়নিক সাবান ত্বককে আরও শুষ্ক করে ফেলে। ধোয়ার পরেই গ্লিসারিন, ময়েশ্চারাইজ়ার, শিয়া বাটার ইত্যাদি হাতে মেখে নিন। কাপড়ে ঘষে শুকোনোর বদলে হালকা চাপ দিয়ে নিন নরম কাপড়ে। নয়তো, অতিরিক্ত ঘর্ষণে ত্বকের আবরণ ছিঁড়ে যেতে পারে। সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে ক্রিম মাখতে থাকুন হাতে। রাতে ঘুমোনোর আগে ভারি ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নিন, যাতে সারা রাত ধরে আর্দ্রতা ত্বকের ভিতরে বিনা বাধায় প্রবেশ করতে পারে। সকালে উঠে হাত নরম হয়ে উঠবে।

শীতের সময়ে হাতকে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করবেন যেভাবে

. ঠান্ডার সময়ে বাইরে গেলে হাত গ্লাভস পরে রাখা ভাল, যাতে ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস বার বার হাতের সংস্পর্শে না আসে। ঘরের কাজ যেমনঃ বাসন মাজা, কাপড় কাচার সময়ে রাবারের গ্লাভস পরে রাখা উচিত। নয়তো, ত্বক সরাসরি রাসায়নিকের সংস্পর্শে এসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

. ঘরের ভেতর শুষ্কতা কমাতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।

. জামাকাপড় কাচার ডিটারজেন্ট এবং বাসন মাজার সাবান বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন। মৃদু এবং কম রাসায়নিক যুক্ত পণ্য ব্যবহার করলে হাত সুরক্ষিত থাকবে।

 

এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ


ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত