শীতের সময় প্রকৃতি যেমন আরামদায়ক হয়ে ওঠে, ঠিক তেমনই অনেকের জন্য
এটি স্বাস্থ্যের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের
ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
তাপমাত্রা
কমে গেলে শরীর নিজেকে উষ্ণ রাখতে রক্তনালিকে সংকুচিত করে। এতে রক্ত সঞ্চালনের পথ
সরু হয়ে যায় এবং হৃদপিণ্ডকে অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করে রক্ত পাম্প করতে হয়। ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়।
রক্তচাপ সাধারণত ১২০/৮০
মিমি এইচজি এর মধ্যে স্বাভাবিক থাকে। এর বেশি হলে তা চিকিৎসাজনিত দিক থেকে
উদ্বেগের বিষয়। দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা, স্ট্রোক ও চোখের
জটিলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
তাই শীতের শুরু থেকেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার
ওপর গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। শীতে কোন কোন খাবার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে :
আখরোট
ওমেগা–৩ ফ্যাটি এসিডে সমৃদ্ধ আখরোট হৃৎপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি প্রদাহ
কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। নাশতায় বা খালি পেটে খাওয়া ভালো।
বাদাম
ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ই-এর দারুণ উৎস। এগুলো রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক
রাখে এবং স্নায়ুর চাপ কমায়। সকালে ভিজিয়ে রাখা বাদাম খেলে উপকার বেশি।
কাজু
কাজুতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও খনিজ উপাদান
হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ কমায়। তবে ক্যালরি বেশি হওয়ায় নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়া উচিত,
নয়তো ওজন বাড়তে পারে।
খেজুর
খেজুরে থাকা পটাশিয়াম শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে রক্তচাপ ভারসাম্যে রাখে। শীতে
২-৩টি খেজুর খেলে শক্তি বৃদ্ধি ও রক্তপ্রবাহ উন্নত হয়।
শীতকালে যেসব জীবনধারা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে :
ü নিয়মিত হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম রক্তনালিকে নমনীয়
রাখে।
ü পর্যাপ্ত পানি পান পানিশূন্যতা কমিয়ে রক্ত ঘন
হওয়া রোধ করে।
ü মানসিক চাপ কমানো—ধ্যান বা রিলাক্সেশন চর্চা।
ü লবণ, অতিরিক্ত চা-কফি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম
খাওয়া।
ü পর্যাপ্ত ঘুম এবং শরীর গরম রাখতে প্রয়োজনীয়
পোশাক ব্যবহার।
শীতে রক্তচাপ স্বাভাবিকের
চেয়ে কিছুটা বেড়ে যাওয়া সাধারণ ব্যাপার, তবে অসচেতনতা সেটিকে গুরুতর অসুস্থতায় রূপ
দিতে পারে। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, সঠিক জীবনযাপন এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে
শীতকালেও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা একেবারেই সম্ভব।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
শীতের সময় প্রকৃতি যেমন আরামদায়ক হয়ে ওঠে, ঠিক তেমনই অনেকের জন্য
এটি স্বাস্থ্যের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের
ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
তাপমাত্রা
কমে গেলে শরীর নিজেকে উষ্ণ রাখতে রক্তনালিকে সংকুচিত করে। এতে রক্ত সঞ্চালনের পথ
সরু হয়ে যায় এবং হৃদপিণ্ডকে অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করে রক্ত পাম্প করতে হয়। ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়।
রক্তচাপ সাধারণত ১২০/৮০
মিমি এইচজি এর মধ্যে স্বাভাবিক থাকে। এর বেশি হলে তা চিকিৎসাজনিত দিক থেকে
উদ্বেগের বিষয়। দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা, স্ট্রোক ও চোখের
জটিলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
তাই শীতের শুরু থেকেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার
ওপর গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। শীতে কোন কোন খাবার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে :
আখরোট
ওমেগা–৩ ফ্যাটি এসিডে সমৃদ্ধ আখরোট হৃৎপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি প্রদাহ
কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। নাশতায় বা খালি পেটে খাওয়া ভালো।
বাদাম
ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ই-এর দারুণ উৎস। এগুলো রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক
রাখে এবং স্নায়ুর চাপ কমায়। সকালে ভিজিয়ে রাখা বাদাম খেলে উপকার বেশি।
কাজু
কাজুতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও খনিজ উপাদান
হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ কমায়। তবে ক্যালরি বেশি হওয়ায় নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়া উচিত,
নয়তো ওজন বাড়তে পারে।
খেজুর
খেজুরে থাকা পটাশিয়াম শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে রক্তচাপ ভারসাম্যে রাখে। শীতে
২-৩টি খেজুর খেলে শক্তি বৃদ্ধি ও রক্তপ্রবাহ উন্নত হয়।
শীতকালে যেসব জীবনধারা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে :
ü নিয়মিত হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম রক্তনালিকে নমনীয়
রাখে।
ü পর্যাপ্ত পানি পান পানিশূন্যতা কমিয়ে রক্ত ঘন
হওয়া রোধ করে।
ü মানসিক চাপ কমানো—ধ্যান বা রিলাক্সেশন চর্চা।
ü লবণ, অতিরিক্ত চা-কফি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম
খাওয়া।
ü পর্যাপ্ত ঘুম এবং শরীর গরম রাখতে প্রয়োজনীয়
পোশাক ব্যবহার।
শীতে রক্তচাপ স্বাভাবিকের
চেয়ে কিছুটা বেড়ে যাওয়া সাধারণ ব্যাপার, তবে অসচেতনতা সেটিকে গুরুতর অসুস্থতায় রূপ
দিতে পারে। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, সঠিক জীবনযাপন এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে
শীতকালেও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা একেবারেই সম্ভব।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন