শীত এলেই অনেক মানুষের গায়ের
চামড়া উঠে। যা শীতে ফোসকা কারণে হয়ে থাকে। এটি অনেকেরই একটি প্রধান
শীতকালীন সমস্যা। ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে হাতের ত্বকে খসখসে, রুক্ষ ও সাদা দাগ দেখা
দিতে পারে। ঘন
ঘন হাত ধোয়া, সাবানের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং ঠাণ্ডা পানির সংস্পর্শে আসার ফলে
প্রায়শই এই সমস্যাটি আরো বেড়ে যায়। অনেকের জ্বালাপোড়া এবং হালকা চুলকানিও হয়।
কেন এই সমস্যা দেখা দেয় এবং এর থেকে বাঁচার উপায় কী, তা চলুন আজকের প্রতিবেদণে
জানা যাক—
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে
হাতের তালুর ত্বকের ওপরের স্তরটি প্রায়ই মৃত কোষ হিসেবে খোসা ছাড়তে শুরু করে। এটি সাধারণত ত্বকের আর্দ্রতা হ্রাস বা
ত্বকে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা স্পর্শ, অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার বা হালকা একজিমার কারণে
ঘটে। এই সমস্যা এড়াতে হাতকে ময়েশ্চারাইজ করা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, যদি সময়মতো যত্ন না নেওয়া
হয়, তাহলে এই খসখসে শুষ্কতা ছোট ছোট ফাটলে পরিণত হতে পারে, যা সংক্রমণের ঝুঁকিও
বাড়ায়। তাই এই ঋতুতে ত্বকের অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন, যার জন্য সকালে গোসলের পর
এবং রাতে ঘুমানোর আগে হাতে ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত। যদি সম্ভব হয় তাহলে
গ্লাভস পরা খুবই উপকারী।
হাতের ফোসকা প্রতিরোধে
ঘরোয়া প্রতিকারের সম্পর্কে বলতে গিয়ে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা নারকেল তেল লাগানোর কথা
বলেন। কারণ, এটি ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। এর ছত্রাক-বিরোধী ও
ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্যও উপকারে আসে। গ্লিসারিন লাগালে ত্বকের আর্দ্রতা আটকে
থাকে এবং হাত দীর্ঘ সময় ধরে নরম থাকে।
এর পাশাপাশি, হালকা গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবু
ও মধু মিশিয়ে হাত ধোয়ার মাধ্যমেও আরাম পাওয়া যায়। হাতের তালুতে ত্বকের সংক্রমণ
প্রতিরোধের জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। তার জন্য যেমন শীতকালে ঠাণ্ডা পানি
দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া এড়িয়ে চলা এবং সাবানের পরিবর্তে হালকা হাত ধোয়ার
প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করা। এটি শীতকালে ত্বকের সংক্রমণ এবং ত্বকের খোসা ছাড়ানোর
সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে।
সূত্র : নিউজ ১৮
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শীত এলেই অনেক মানুষের গায়ের
চামড়া উঠে। যা শীতে ফোসকা কারণে হয়ে থাকে। এটি অনেকেরই একটি প্রধান
শীতকালীন সমস্যা। ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে হাতের ত্বকে খসখসে, রুক্ষ ও সাদা দাগ দেখা
দিতে পারে। ঘন
ঘন হাত ধোয়া, সাবানের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং ঠাণ্ডা পানির সংস্পর্শে আসার ফলে
প্রায়শই এই সমস্যাটি আরো বেড়ে যায়। অনেকের জ্বালাপোড়া এবং হালকা চুলকানিও হয়।
কেন এই সমস্যা দেখা দেয় এবং এর থেকে বাঁচার উপায় কী, তা চলুন আজকের প্রতিবেদণে
জানা যাক—
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে
হাতের তালুর ত্বকের ওপরের স্তরটি প্রায়ই মৃত কোষ হিসেবে খোসা ছাড়তে শুরু করে। এটি সাধারণত ত্বকের আর্দ্রতা হ্রাস বা
ত্বকে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা স্পর্শ, অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার বা হালকা একজিমার কারণে
ঘটে। এই সমস্যা এড়াতে হাতকে ময়েশ্চারাইজ করা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, যদি সময়মতো যত্ন না নেওয়া
হয়, তাহলে এই খসখসে শুষ্কতা ছোট ছোট ফাটলে পরিণত হতে পারে, যা সংক্রমণের ঝুঁকিও
বাড়ায়। তাই এই ঋতুতে ত্বকের অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন, যার জন্য সকালে গোসলের পর
এবং রাতে ঘুমানোর আগে হাতে ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত। যদি সম্ভব হয় তাহলে
গ্লাভস পরা খুবই উপকারী।
হাতের ফোসকা প্রতিরোধে
ঘরোয়া প্রতিকারের সম্পর্কে বলতে গিয়ে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা নারকেল তেল লাগানোর কথা
বলেন। কারণ, এটি ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। এর ছত্রাক-বিরোধী ও
ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্যও উপকারে আসে। গ্লিসারিন লাগালে ত্বকের আর্দ্রতা আটকে
থাকে এবং হাত দীর্ঘ সময় ধরে নরম থাকে।
এর পাশাপাশি, হালকা গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবু
ও মধু মিশিয়ে হাত ধোয়ার মাধ্যমেও আরাম পাওয়া যায়। হাতের তালুতে ত্বকের সংক্রমণ
প্রতিরোধের জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। তার জন্য যেমন শীতকালে ঠাণ্ডা পানি
দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া এড়িয়ে চলা এবং সাবানের পরিবর্তে হালকা হাত ধোয়ার
প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করা। এটি শীতকালে ত্বকের সংক্রমণ এবং ত্বকের খোসা ছাড়ানোর
সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে।
সূত্র : নিউজ ১৮
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন