রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত তিন দিনের শিক্ষামূলক ভ্রমণ আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর হয়ে ওঠে। প্রথম দিনে ভ্রমণকারীরা পৌঁছান সিলেটের মনোমুগ্ধকর জাফলং এলাকায়। ডাউকি নদীর স্বচ্ছ পানি, সীমান্তঘেঁষা পাহাড় আর পাথরের রাজ্যের সৌন্দর্য উপভোগ করে শিক্ষার্থীরা কাটান দারুণ সময়।
দ্বিতীয় দিনে দলটি সফর করে যায় সাদা পাথর এলাকায়। পাহাড়ি ঝরনা, নীল পানির ধারা আর সাদা পাথরের শোভা তাদের ভ্রমণে যোগ করে নতুন মাত্রা।
দ্বিতীয় দিনগত রাতে শিক্ষার্থীরা পৌঁছান শ্রীমঙ্গলে।রাতের পর্বে অনুষ্ঠিত হয় মজার লটারি খেলা এবং আনন্দঘন বার্বিকিউ নাইট। হাসি-আনন্দে সেদিনটি স্মরণীয় হয়ে ওঠে সবার কাছে।
তৃতীয় দিনে চা–কন্যা শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য উপভোগ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা চাঁন্দের গাড়িতে করে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেন, যা ভ্রমণে যোগ করে ভিন্ন রোমাঞ্চ।সবুজে ঘেরা চা-বাগান আর শান্ত পরিবেশে দিনটি কাটে প্রশান্তিতে। শিক্ষার্থীরা জানান তৃতীয় দিনের আনন্দের মাত্রা ছিল একটু বেশিই।
রসায়ন বিভাগের ২য় বর্ষের ১ম সেমিস্টারের ছাত্র তৌফিক হোসেন সিফাত বলেন "ট্যুরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটা মুহুর্ত ছিল আনন্দের। আর ট্যুরের প্রত্যেকটা স্পটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমরা বিমহিত হয়েছি। সাথে আমাদের সকল সিনিয়র ভাই ও আপুরা এবং জুনিয়ররা ছিল যাদের সাথে বন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে ।আমরা চাই রসায়ন বিভাগে এমন ট্যুর আরও আয়োজন করা হোক"
৩য় বর্ষের ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মেহবুবা খান জানান "গত ৩ দিন ২ রাতের সিলেট ট্যুর—জাফলং, সাদা পাথর আর শ্রীমঙ্গল আমার জন্য সত্যিই স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে রইলো। টিচার, ব্যাচমেট, সিনিয়র-জুনিয়র সবার একসাথে সময় কাটানো আমাকে ভীষণ আনন্দ দিয়েছে। পথের প্রতিটি মুহূর্ত, হাসি–মজা আর একে অপরের সহযোগিতা ট্যুরটাকে আরও বিশেষ করে তুলেছে।আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে চাঁদের গাড়িতে করে শ্রীমঙ্গল ঘোরা। অন্যরকম সে অভিজ্ঞতা আমাকে দারুণ উচ্ছ্বসিত করেছে।ভবিষ্যতে আরও এমন আনন্দঘন মুহূর্ত একসাথে কাটানোর সুযোগ আসুক এই কামনা করি।"
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, তিন দিনের এই ট্যুর তাদের জন্য ছিল অত্যন্ত উপভোগ্য—যেখানে আনন্দের সঙ্গে প্রকৃতির অসাধারণ সৌন্দর্যকে কাছ থেকে উপভোগ করার সুযোগ মিলেছে। তিন দিনের এই সফর বিভাগের সবার মনে গেঁথে থাকবে দীর্ঘদিন।
.png)
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত তিন দিনের শিক্ষামূলক ভ্রমণ আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর হয়ে ওঠে। প্রথম দিনে ভ্রমণকারীরা পৌঁছান সিলেটের মনোমুগ্ধকর জাফলং এলাকায়। ডাউকি নদীর স্বচ্ছ পানি, সীমান্তঘেঁষা পাহাড় আর পাথরের রাজ্যের সৌন্দর্য উপভোগ করে শিক্ষার্থীরা কাটান দারুণ সময়।
দ্বিতীয় দিনে দলটি সফর করে যায় সাদা পাথর এলাকায়। পাহাড়ি ঝরনা, নীল পানির ধারা আর সাদা পাথরের শোভা তাদের ভ্রমণে যোগ করে নতুন মাত্রা।
দ্বিতীয় দিনগত রাতে শিক্ষার্থীরা পৌঁছান শ্রীমঙ্গলে।রাতের পর্বে অনুষ্ঠিত হয় মজার লটারি খেলা এবং আনন্দঘন বার্বিকিউ নাইট। হাসি-আনন্দে সেদিনটি স্মরণীয় হয়ে ওঠে সবার কাছে।
তৃতীয় দিনে চা–কন্যা শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য উপভোগ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা চাঁন্দের গাড়িতে করে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেন, যা ভ্রমণে যোগ করে ভিন্ন রোমাঞ্চ।সবুজে ঘেরা চা-বাগান আর শান্ত পরিবেশে দিনটি কাটে প্রশান্তিতে। শিক্ষার্থীরা জানান তৃতীয় দিনের আনন্দের মাত্রা ছিল একটু বেশিই।
রসায়ন বিভাগের ২য় বর্ষের ১ম সেমিস্টারের ছাত্র তৌফিক হোসেন সিফাত বলেন "ট্যুরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটা মুহুর্ত ছিল আনন্দের। আর ট্যুরের প্রত্যেকটা স্পটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমরা বিমহিত হয়েছি। সাথে আমাদের সকল সিনিয়র ভাই ও আপুরা এবং জুনিয়ররা ছিল যাদের সাথে বন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে ।আমরা চাই রসায়ন বিভাগে এমন ট্যুর আরও আয়োজন করা হোক"
৩য় বর্ষের ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মেহবুবা খান জানান "গত ৩ দিন ২ রাতের সিলেট ট্যুর—জাফলং, সাদা পাথর আর শ্রীমঙ্গল আমার জন্য সত্যিই স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে রইলো। টিচার, ব্যাচমেট, সিনিয়র-জুনিয়র সবার একসাথে সময় কাটানো আমাকে ভীষণ আনন্দ দিয়েছে। পথের প্রতিটি মুহূর্ত, হাসি–মজা আর একে অপরের সহযোগিতা ট্যুরটাকে আরও বিশেষ করে তুলেছে।আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে চাঁদের গাড়িতে করে শ্রীমঙ্গল ঘোরা। অন্যরকম সে অভিজ্ঞতা আমাকে দারুণ উচ্ছ্বসিত করেছে।ভবিষ্যতে আরও এমন আনন্দঘন মুহূর্ত একসাথে কাটানোর সুযোগ আসুক এই কামনা করি।"
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, তিন দিনের এই ট্যুর তাদের জন্য ছিল অত্যন্ত উপভোগ্য—যেখানে আনন্দের সঙ্গে প্রকৃতির অসাধারণ সৌন্দর্যকে কাছ থেকে উপভোগ করার সুযোগ মিলেছে। তিন দিনের এই সফর বিভাগের সবার মনে গেঁথে থাকবে দীর্ঘদিন।
.png)
আপনার মতামত লিখুন