মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক কঠোর পদক্ষেপে বিশ্ব তেলের বাজারে নতুন করে অস্থিরতা ও
অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ভেনেজুয়েলার তেলবাহী সব ট্যাঙ্কারের ওপর সম্পূর্ণ
নৌ-অবরোধের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘোষণার পরপরই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ২
শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজ
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্সের দাম ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল
প্রতি ৬০ দশমিক ৩৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস
ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম ২ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারেল প্রতি
৫৬ দশমিক ৬৯ ডলারে পৌঁছেছে।
ট্রাম্প
প্রশাসন ভেনেজুয়েলার শাসকদের ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করার
পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত সব তেলবাহী ট্যাঙ্কারের প্রবেশ ও প্রস্থান নিষিদ্ধ
করেছে। এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার প্রভাবে তেলের দাম কিছুটা কমলেও
ট্রাম্পের এই নতুন সিদ্ধান্তে বাজারে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে।
বিশ্লেষকরা
বলছেন, ‘ভেনেজুয়েলার তেল উৎপাদন বৈশ্বিক উৎপাদনের মাত্র ১ শতাংশ হলেও এর সরবরাহ
ব্যবস্থা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। বিশেষ করে চীন ভেনেজুয়েলার তেলের বড় আমদানিকারক।
ফলে এই অবরোধ কার্যকর হলে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে বড় ধরণের প্রভাব পড়বে। এছাড়া গত
সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে তেলের মজুত ৯ দশমিক ৩ মিলিয়ন ব্যারেল কমে যাওয়াও দাম বাড়ার পেছনে
ভূমিকা রেখেছে।‘
যদিও যুক্তরাষ্ট্র ওই
অঞ্চলে ইতোমধ্যে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে, তবে এই অবরোধ কীভাবে কার্যকর করা হবে
এবং শেভরনের মতো অনুমোদিত কোম্পানিগুলোর ওপর এর প্রভাব কী হবে, তা নিয়ে এখনও
অস্পষ্টতা রয়েছে।
সূত্র:
রয়টার্স
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
বিষয় : বিশ্ববাজার তেলের দাম ট্রাম্প
.png)
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক কঠোর পদক্ষেপে বিশ্ব তেলের বাজারে নতুন করে অস্থিরতা ও
অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ভেনেজুয়েলার তেলবাহী সব ট্যাঙ্কারের ওপর সম্পূর্ণ
নৌ-অবরোধের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘোষণার পরপরই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ২
শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজ
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্সের দাম ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল
প্রতি ৬০ দশমিক ৩৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস
ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম ২ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারেল প্রতি
৫৬ দশমিক ৬৯ ডলারে পৌঁছেছে।
ট্রাম্প
প্রশাসন ভেনেজুয়েলার শাসকদের ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করার
পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত সব তেলবাহী ট্যাঙ্কারের প্রবেশ ও প্রস্থান নিষিদ্ধ
করেছে। এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার প্রভাবে তেলের দাম কিছুটা কমলেও
ট্রাম্পের এই নতুন সিদ্ধান্তে বাজারে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে।
বিশ্লেষকরা
বলছেন, ‘ভেনেজুয়েলার তেল উৎপাদন বৈশ্বিক উৎপাদনের মাত্র ১ শতাংশ হলেও এর সরবরাহ
ব্যবস্থা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। বিশেষ করে চীন ভেনেজুয়েলার তেলের বড় আমদানিকারক।
ফলে এই অবরোধ কার্যকর হলে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে বড় ধরণের প্রভাব পড়বে। এছাড়া গত
সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে তেলের মজুত ৯ দশমিক ৩ মিলিয়ন ব্যারেল কমে যাওয়াও দাম বাড়ার পেছনে
ভূমিকা রেখেছে।‘
যদিও যুক্তরাষ্ট্র ওই
অঞ্চলে ইতোমধ্যে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে, তবে এই অবরোধ কীভাবে কার্যকর করা হবে
এবং শেভরনের মতো অনুমোদিত কোম্পানিগুলোর ওপর এর প্রভাব কী হবে, তা নিয়ে এখনও
অস্পষ্টতা রয়েছে।
সূত্র:
রয়টার্স
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন