বিনোদন

বেস্টফ্রেন্ড থেকে শত্রু, যে কারণে ভেঙে যায় রানি-ঐশ্বর্যর সম্পর্ক

বলিউড মানেই রঙের খেলা। এই রঙিন জগৎটিতে নাকি বন্ধুত্ব আর প্রতারণা একই সঙ্গে চলে। তারই একটা বড় উদাহরণ বলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায় ও ঐশ্বরিয়া রাই। একটা সময় তারা নাকি ছিলেন বেস্টফ্রেন্ড। প্রকাশ্যে তেমনই দাবি করতেন দুজনে।

কিন্তু বিপত্তিটা বাঁধে নাকি অভিষেক বচ্চনকে নিয়ে। অভিষেকের সঙ্গে এক সময় নাকি প্রেম ছিল রানির। সে সব নিয়ে মিডিয়ার সামনে মুখও খুলেছিলেন রানি।

তবে অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া রাই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়াতেই নাকি মন ভেঙেছিল বাঙালি মেয়ে রানি মুখোপাধ্যায়ের। অনেকেরই ধারণা, বচ্চন পরিবারের বৌমা হওয়ার বেজায় শখ ছিল রানির। তা না হতে পারাতেই সম্পর্ক ক্রমশ আলগা হয়।

রানি ও ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে বহুদিন ধরেই। সালটা ২০০২। সে সময় মুক্তি পেয়েছিল ‘চালতে চালতে’। ছবিতে ছিলেন শাহরুখ খান ও রানি। তবে রানি কিন্তু পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন না। ভাবা হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকেই। সেই মতো শুরু হয়ে যায় শুটিংও। তবে কিছুদিন শুটিং করার পর সরে আসেন ঐশ্বরিয়া।

শোনা যায়, শাহরুখের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার রসায়ন নাকি ভালোভাবে নেননি তার সেই সময়ের প্রেমিক সালমান খান। সেটে গিয়ে শাহরুখ ও পুরো টিমের সঙ্গে ব্যাপক ঝামেলা হয়েছিল সালমানের। এতটাই বাড়াবাড়ি হয় যে সেই ছবি থেকে সরে আসতে বাধ্য হন ঐশ্বরিয়া; তার জায়গায় নেওয়া হয় রানিকে।

রানি ও ঐশ্বরিয়া ছিলেন বন্ধু। তার ছেড়ে যাওয়া ছবি রানি করছেন জেনেই নাকি মন খারাপ হয় অভিনেত্রীর। রানির সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন তিনি। সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সূত্রপাত সেখানেই। এখানেই শেষ নয়, পরবর্তীতে যখন ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক বিয়ে করেন তখন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রানিকে।

বেশ কিছু বছর আগে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন রানি। বলেছিলেন, ‘আমার কিন্তু ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সমস্যা নেই। ওর থাকতে পারে। সে নিজেই আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে আশা রাখছি সামনাসামনি দেখা হলে সব মিটে যাবে।’

এরপর বহুবার সামনাসামনি দেখা হয়েছে তাদের। তবে সমস্যা মেটেনি। আজও দূরত্ব বজায় রেখে চলেন বলিউডের এই দুই সুন্দরী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button