ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

দিরাইয়ে সরকারি রাস্তা বন্ধ করে চলছে অবৈধ বালি ভরাট



দিরাইয়ে সরকারি রাস্তা বন্ধ করে চলছে অবৈধ বালি ভরাট
ছবি নাইম তালুকদার

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের পৌর সদরে  রাস্তা বন্ধ করে চলছে অবৈধ ভিটে বালি দিয়ে বিভিন্ন মালিকানাধীন জায়গা ভরাট।

দিরাই উপজেলার প্রাণকেন্দ্র খাদ্য গোদামস্থ পুরাতন বাগবাড়ী মডেল মজিদের পাশেই প্রতিনিয়ত এ বালি ভরাটের কারণে পৌরবাসীসহ, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও  সাধারণ মানুষের চলা ফেরা  করতে  দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে।

শুধু সরকারি রাস্তা বন্ধ করে  নয়, এ ড্রেজার মিশিনের বিকট শদ্বে পার্শ্ববর্তী খাদ্যে-গোদাম , উপজেলা জনকল্যাণ অফিস,সমাজ সেবা অফিস, ও দিরাইয়ের মডেল মসজিদের মুসল্লীদের ও নানা সমস্যা হয়।

দিরাই হাসপাতালের রোগীদের আসার একমাত্র সংক্ষিপ্ত রাস্তা হলো এটি, কিন্তু ডেজারের পাইপ লাইনের কারণে এদিকে রোগী আসতে অনেক কষ্ট  হয়। এ রাস্তার চারপাশে রয়েছে দিরাই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস,  স্কুল, মাদরাসা  সহ বিভিন্ন  প্রতিষ্ঠান। খোজঁ নিয়ে জানা যায়, দিরাইয়ের পৌর শহরে জায়গা ভরাটের নামে চলছে অবৈধ ভূমি ব্যবসা , কতিপয় কিছু ভূমি কারবারিগণ মিলে মিশে কোথা থেকে অবৈধ বালি এনে  সরকারী ও সাধারণ জনতার রাস্তা বন্ধ করে প্রতিনিয়ত জায়গা ভরাট করে আসছেন। বিগত তিন বৎসর আগে এই অবৈধ বালি ভরাট করতে গিয়ে রাস্তায় বালির  টিকাদারগণ বাদ দিয়েছিলেন। দিরাই উপজেলার একজন মোটরসাইকেল চালক তাদের পাইপের সাথে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, কোথা থেকে রফিক, ও রুবেল বালু ব্যবসায়ী স্থানীয় বিএনপি ও বিভিন্ন  অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের খুটির জোরে অবৈধ ভিটে বালি এনে সরকারী রাস্তা বন্ধ করে দিনের পর দিন ভোলাগঞ্জ কোয়ারীর ন্যায়  আমাদের শান্তি প্রিয় এলাকাকে মেশিনের  শদ্ব দিয়ে এক অশান্ত পরিবেশ গড়ে তুলছেন।

সরকারী রাস্তা বন্ধ করে তারা থেমে নয়, এ ডেজার মিশনের শব্দে কুমলমতি শিশু সহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা করতে কষ্ট হয়। এ মহল্লার এক নবজাতকের মা জানিয়েছেন রাতে অথবা দিনে এই বালুর  নাইয়্যা বেটারা যখন ঠাস ঠাস শব্দ দিয়ে মেশিন চালায় আমার বাচ্চাটা খাইপা, খাইপা উঠে। এ তান্ডব থেকে আমরা মুক্তি চাই। এলাকাবাসী আরো জানান, রাস্তা বন্ধ  ও বিকট  শব্দে এক অস্থিতিশীল পরিবেশ লাগতেছে আমাদের এলাকা, এভাবে যদি প্রতিনিয়ত রাস্তা বন্ধ করে বালু উত্তোলন করা হয়৷ যে কোন সময় ঘঠতে পারে প্রাণহানির মতো  বড় দুর্ঘটনা।

বিগত তিন  বছর আগে এই জায়গায় একজন মোটরসাইকেল চালক মারা যান। আমরা প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন করছি, আমাদের এলাকায়  এইসমস্ত ডেজার মিশন সরিয়ে নেওয়া হোক, এবং সরকারি রাস্তার উপর থেকে তাদের সরনঞ্জামাদী তুলে নেওয়া হোক। এলাকার সচেতন মহলের দাবী ভিটে বালি রাতের আধারে নিয়ে আসেন রফিক,ও রুবেল। কি? নিশ্চয়তা আছে যে তারা অত্র এলাকা থেকে বালি উত্তোলন করেন? কি?  না। প্রশাসন তা খতিয়ে দেখার আহবান জানান এলাকাবাসী ।

যদি আমাদের এলাকার কোন নদী থেকে তা উত্তোলন করা হয়। এতে আমাদের  পরিবেশ হুমকির মুখে পরবে, আমাদের এদিকে নদী  ভাঙ্গন দেখা দিবে। তাদের রয়েলিটি যাচাই করা আমাদের প্রশাসনের একান্ত প্রয়োজন।

ভিটে বালি ব্যবসায়ী রুবেল ও রফিকে একাধিক মুঠোফোন এ যোগাযোগ করলে তারা কল রিসিভ করেন নি।

এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা  প্রশাসক  মোহাম্মদ ড. ইলিয়াস মিয়া বলেন, বিষয়টি আমাদের দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে জানান,

দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজীব সরকার বলেন, আমরা পৌরসভা থেকে লোক পাঠিয়ে তাদেরকে নিষেদ দিয়েছি। তারা তাদের সরঞ্জামাদি নিয়ে চলে যাবে। 

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫


দিরাইয়ে সরকারি রাস্তা বন্ধ করে চলছে অবৈধ বালি ভরাট

প্রকাশের তারিখ : ০৩ নভেম্বর ২০২৫

featured Image

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের পৌর সদরে  রাস্তা বন্ধ করে চলছে অবৈধ ভিটে বালি দিয়ে বিভিন্ন মালিকানাধীন জায়গা ভরাট।

দিরাই উপজেলার প্রাণকেন্দ্র খাদ্য গোদামস্থ পুরাতন বাগবাড়ী মডেল মজিদের পাশেই প্রতিনিয়ত এ বালি ভরাটের কারণে পৌরবাসীসহ, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও  সাধারণ মানুষের চলা ফেরা  করতে  দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে।

শুধু সরকারি রাস্তা বন্ধ করে  নয়, এ ড্রেজার মিশিনের বিকট শদ্বে পার্শ্ববর্তী খাদ্যে-গোদাম , উপজেলা জনকল্যাণ অফিস,সমাজ সেবা অফিস, ও দিরাইয়ের মডেল মসজিদের মুসল্লীদের ও নানা সমস্যা হয়।

দিরাই হাসপাতালের রোগীদের আসার একমাত্র সংক্ষিপ্ত রাস্তা হলো এটি, কিন্তু ডেজারের পাইপ লাইনের কারণে এদিকে রোগী আসতে অনেক কষ্ট  হয়। এ রাস্তার চারপাশে রয়েছে দিরাই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস,  স্কুল, মাদরাসা  সহ বিভিন্ন  প্রতিষ্ঠান। খোজঁ নিয়ে জানা যায়, দিরাইয়ের পৌর শহরে জায়গা ভরাটের নামে চলছে অবৈধ ভূমি ব্যবসা , কতিপয় কিছু ভূমি কারবারিগণ মিলে মিশে কোথা থেকে অবৈধ বালি এনে  সরকারী ও সাধারণ জনতার রাস্তা বন্ধ করে প্রতিনিয়ত জায়গা ভরাট করে আসছেন। বিগত তিন বৎসর আগে এই অবৈধ বালি ভরাট করতে গিয়ে রাস্তায় বালির  টিকাদারগণ বাদ দিয়েছিলেন। দিরাই উপজেলার একজন মোটরসাইকেল চালক তাদের পাইপের সাথে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, কোথা থেকে রফিক, ও রুবেল বালু ব্যবসায়ী স্থানীয় বিএনপি ও বিভিন্ন  অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের খুটির জোরে অবৈধ ভিটে বালি এনে সরকারী রাস্তা বন্ধ করে দিনের পর দিন ভোলাগঞ্জ কোয়ারীর ন্যায়  আমাদের শান্তি প্রিয় এলাকাকে মেশিনের  শদ্ব দিয়ে এক অশান্ত পরিবেশ গড়ে তুলছেন।

সরকারী রাস্তা বন্ধ করে তারা থেমে নয়, এ ডেজার মিশনের শব্দে কুমলমতি শিশু সহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা করতে কষ্ট হয়। এ মহল্লার এক নবজাতকের মা জানিয়েছেন রাতে অথবা দিনে এই বালুর  নাইয়্যা বেটারা যখন ঠাস ঠাস শব্দ দিয়ে মেশিন চালায় আমার বাচ্চাটা খাইপা, খাইপা উঠে। এ তান্ডব থেকে আমরা মুক্তি চাই। এলাকাবাসী আরো জানান, রাস্তা বন্ধ  ও বিকট  শব্দে এক অস্থিতিশীল পরিবেশ লাগতেছে আমাদের এলাকা, এভাবে যদি প্রতিনিয়ত রাস্তা বন্ধ করে বালু উত্তোলন করা হয়৷ যে কোন সময় ঘঠতে পারে প্রাণহানির মতো  বড় দুর্ঘটনা।

বিগত তিন  বছর আগে এই জায়গায় একজন মোটরসাইকেল চালক মারা যান। আমরা প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন করছি, আমাদের এলাকায়  এইসমস্ত ডেজার মিশন সরিয়ে নেওয়া হোক, এবং সরকারি রাস্তার উপর থেকে তাদের সরনঞ্জামাদী তুলে নেওয়া হোক। এলাকার সচেতন মহলের দাবী ভিটে বালি রাতের আধারে নিয়ে আসেন রফিক,ও রুবেল। কি? নিশ্চয়তা আছে যে তারা অত্র এলাকা থেকে বালি উত্তোলন করেন? কি?  না। প্রশাসন তা খতিয়ে দেখার আহবান জানান এলাকাবাসী ।

যদি আমাদের এলাকার কোন নদী থেকে তা উত্তোলন করা হয়। এতে আমাদের  পরিবেশ হুমকির মুখে পরবে, আমাদের এদিকে নদী  ভাঙ্গন দেখা দিবে। তাদের রয়েলিটি যাচাই করা আমাদের প্রশাসনের একান্ত প্রয়োজন।

ভিটে বালি ব্যবসায়ী রুবেল ও রফিকে একাধিক মুঠোফোন এ যোগাযোগ করলে তারা কল রিসিভ করেন নি।

এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা  প্রশাসক  মোহাম্মদ ড. ইলিয়াস মিয়া বলেন, বিষয়টি আমাদের দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে জানান,

দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজীব সরকার বলেন, আমরা পৌরসভা থেকে লোক পাঠিয়ে তাদেরকে নিষেদ দিয়েছি। তারা তাদের সরঞ্জামাদি নিয়ে চলে যাবে। 


ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত