ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হয়ে উঠলেন নোয়াখালীর মোঃ জাহিদুল ইসলাম



সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হয়ে উঠলেন নোয়াখালীর মোঃ জাহিদুল ইসলাম
ছবি: মোঃ জাহিদুল ইসলাম

ডিজিটাল যুগ যত এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে অনলাইন ঝুঁকি—হ্যাকিং, ডিজেবল হওয়া, লগইন সমস্যা, ভেরিফিকেশন ইস্যু, সিকিউরিটি ব্রিচসহ আরও অসংখ্য চ্যালেঞ্জ। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, ইউটিউব কিংবা গুগল—প্রতিটি প্ল্যাটফর্মেই ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। আর ঠিক সেই সমস্যাগুলোর দ্রুত, নিরাপদ ও কার্যকর সমাধান দিয়ে নোয়াখালীর তরুণ মোঃ জাহিদুল ইসলাম আজ দেশের অসংখ্য মানুষের নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে উঠেছেন।

মোঃ জাহিদুল ইসলাম একজন দক্ষ আইটি ও সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ। তিনি কয়েক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়া সিকিউরিটি, হ্যাকড আইডি রিকভারি, ডিজেবল একাউন্ট পুনরুদ্ধার, সিকিউরিটি চেক সমস্যা, টেকনিক্যাল ত্রুটি—এ ধরনের জটিল ইস্যু সমাধান করে আসছেন তার অভিজ্ঞ টিম নিয়ে। তার প্রচেষ্টার ফলে হাজারো মানুষ তাদের হারানো বা ব্লকড একাউন্ট আবার ফিরে পেয়েছেন।

শুধু নোয়াখালীর মানুষ নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশে থাকা অনেক বাংলাদেশীও জাহিদুল ইসলামের সার্ভিসের ওপর নির্ভর করছেন। তিনি শুধু সমস্যা সমাধানই করেন না—তরুণদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের পরামর্শ, ডিজিটাল সচেতনতা এবং সাইবার সেফটির গুরুত্বও তুলে ধরে থাকেন। ফলে তার টিম আজ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কাছে এক বিশ্বাসযোগ্য সাপোর্ট সিস্টেম।

তার মতে, “প্রযুক্তি যেমন আমাদের জীবনকে সহজ করছে, তেমনি বাড়ছে ঝুঁকি। মানুষ যাতে নিরাপদে অনলাইন ব্যবহার করতে পারে, সেটাই আমার মূল লক্ষ্য।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে—আরও বড় পরিসরে কাজ করা, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তরুণদের সাইবার সিকিউরিটি প্রশিক্ষণ দেওয়া।

২০২৩ সালে সাইবার জগতে প্রথম যাত্রা শুরু করেন তিনি। শুরুতে নানা বাধা-বিপত্তি, সমালোচনা, উৎসাহহীনতার মুখে পড়লেও নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যাননি। কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাস তাকে আজ সাইবার জগতের এক উজ্জ্বল অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন "ডি-সাইন সাইবার ইনটেলিজেন্স লিমিটেড" নামের একটি আইটি প্রতিষ্ঠান, যা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। পাশাপাশি গ্রাফিক্স ও ইউআই-ইউএক্স ডিজাইনেও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

বর্তমানে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইটি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছেন। ২০২৪ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জাহিদুল ইসলাম। তার নেতৃত্বে শতাধিক তরুণ আইটি বিশেষজ্ঞ সাইবার নিরাপত্তা খাতে কাজ করছে।

নোয়াখালীর এই তরুণ প্রমাণ করেছেন—

দক্ষতা, নিবেদন আর ইতিবাচক মানসিকতা থাকলে যে কেউ নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।

মোঃ জাহিদুল ইসলাম এখন শুধু একজন আইটি এক্সপার্ট নন—তরুণদের জন্য এক অনুপ্রেরণার নাম।

 

এনএম/ধ্রুবকন্ঠ

বিষয় : সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট জাহিদুল ইসলাম

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫


সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হয়ে উঠলেন নোয়াখালীর মোঃ জাহিদুল ইসলাম

প্রকাশের তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

featured Image

ডিজিটাল যুগ যত এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে অনলাইন ঝুঁকি—হ্যাকিং, ডিজেবল হওয়া, লগইন সমস্যা, ভেরিফিকেশন ইস্যু, সিকিউরিটি ব্রিচসহ আরও অসংখ্য চ্যালেঞ্জ। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, ইউটিউব কিংবা গুগল—প্রতিটি প্ল্যাটফর্মেই ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। আর ঠিক সেই সমস্যাগুলোর দ্রুত, নিরাপদ ও কার্যকর সমাধান দিয়ে নোয়াখালীর তরুণ মোঃ জাহিদুল ইসলাম আজ দেশের অসংখ্য মানুষের নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে উঠেছেন।

মোঃ জাহিদুল ইসলাম একজন দক্ষ আইটি ও সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ। তিনি কয়েক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়া সিকিউরিটি, হ্যাকড আইডি রিকভারি, ডিজেবল একাউন্ট পুনরুদ্ধার, সিকিউরিটি চেক সমস্যা, টেকনিক্যাল ত্রুটি—এ ধরনের জটিল ইস্যু সমাধান করে আসছেন তার অভিজ্ঞ টিম নিয়ে। তার প্রচেষ্টার ফলে হাজারো মানুষ তাদের হারানো বা ব্লকড একাউন্ট আবার ফিরে পেয়েছেন।

শুধু নোয়াখালীর মানুষ নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশে থাকা অনেক বাংলাদেশীও জাহিদুল ইসলামের সার্ভিসের ওপর নির্ভর করছেন। তিনি শুধু সমস্যা সমাধানই করেন না—তরুণদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের পরামর্শ, ডিজিটাল সচেতনতা এবং সাইবার সেফটির গুরুত্বও তুলে ধরে থাকেন। ফলে তার টিম আজ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কাছে এক বিশ্বাসযোগ্য সাপোর্ট সিস্টেম।

তার মতে, “প্রযুক্তি যেমন আমাদের জীবনকে সহজ করছে, তেমনি বাড়ছে ঝুঁকি। মানুষ যাতে নিরাপদে অনলাইন ব্যবহার করতে পারে, সেটাই আমার মূল লক্ষ্য।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে—আরও বড় পরিসরে কাজ করা, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তরুণদের সাইবার সিকিউরিটি প্রশিক্ষণ দেওয়া।

২০২৩ সালে সাইবার জগতে প্রথম যাত্রা শুরু করেন তিনি। শুরুতে নানা বাধা-বিপত্তি, সমালোচনা, উৎসাহহীনতার মুখে পড়লেও নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যাননি। কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাস তাকে আজ সাইবার জগতের এক উজ্জ্বল অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন "ডি-সাইন সাইবার ইনটেলিজেন্স লিমিটেড" নামের একটি আইটি প্রতিষ্ঠান, যা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। পাশাপাশি গ্রাফিক্স ও ইউআই-ইউএক্স ডিজাইনেও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

বর্তমানে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইটি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছেন। ২০২৪ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জাহিদুল ইসলাম। তার নেতৃত্বে শতাধিক তরুণ আইটি বিশেষজ্ঞ সাইবার নিরাপত্তা খাতে কাজ করছে।

নোয়াখালীর এই তরুণ প্রমাণ করেছেন—

দক্ষতা, নিবেদন আর ইতিবাচক মানসিকতা থাকলে যে কেউ নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।

মোঃ জাহিদুল ইসলাম এখন শুধু একজন আইটি এক্সপার্ট নন—তরুণদের জন্য এক অনুপ্রেরণার নাম।

 

এনএম/ধ্রুবকন্ঠ


ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত