মাত্র ৭০ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করেছে আট বছর বয়সী মো. মারুফ হাসান। এ ছাড়া নয় বছরের আব্দুর রহমান মাত্র ১৪০ দিনে পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা হিফজ সম্পন্ন করেছে। তারা দুজনই নাটোরের নূরে মদিনা মডেল মাদরাসার শিক্ষার্থী।
রোববার (২৩ নভেম্বর) দুই শিশুর কোরআন মুখস্থ করার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
একই মাদরাসা থেকে দুই শিশুর এমন বিস্ময়কর অর্জনে মাদরাসা, পরিবার ও স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
মাদরাসা সূত্র জানায়, শুরু থেকেই হিফজ বিভাগে মারুফ হাসান ও আব্দুর রহমান ছিল অত্যন্ত মনোযোগী ও শৃঙ্খলাবদ্ধ। প্রতিদিন নির্ধারিত পড়া যত্নসহকারে সম্পন্ন করায় তাদের হিফজের গতি ছিল অসাধারণ।
মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি নূরনবী সিরাজী বলেন, কোরআনের প্রতি দুই শিশুর গভীর অনুরাগ, শৃঙ্খলা ও নিরলস মনোযোগই তাদের দ্রুত সময়ে হিফজ সম্পন্নের প্রধান কারণ। আল্লাহর বিশেষ রহমত না থাকলে এমন অর্জন সম্ভব নয়।
হাফেজ হওয়ার পর অনুভূতি জানাতে গিয়ে মারুফ হাসান বলে- এটা আমার জীবনের বড় অর্জন। সবাই দোয়া করবেন, আমি যেন বিশ্বজয়ী হাফেজ হতে পারি।
হাফেজ আব্দুর রহমান বলেছে, আল্লাহ আমাকে কোরআনকে বুকে ধারণ করার শক্তি দিয়েছেন। আমার শিক্ষক আর বাবা-মা প্রতিদিন অনুপ্রাণিত করেছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কোরআনকে জীবনভর ধারণ করাই আমার স্বপ্ন।
মাদারীপুর জেলার শিবচরের প্রবাসী বেলাল মোল্লার ছোট ছেলে হাফেজ মারুফ হাসান। মারুফ হাসানের মা বলেন, সন্তানের এত ছোট বয়সে এমন সাফল্য আমাদের জন্য আল্লাহর বড় নেয়ামত। আমরা চাই, সে ইসলামি জ্ঞান অর্জন করে সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করুক।
অন্যদিকে হাফেজ আব্দুর রহমানের বাবা নাটোর সদরের জাঠিয়ান গ্রামের সেন্টু মিয়া বলেন, আমার সন্তানের এই সাফল্য আমাদের পরিবারের জন্য গর্বের। অল্প বয়সে কোরআন হিফজ করা আল্লাহর অশেষ রহমত। বাবা হিসেবে আমি দোয়া করি, সে যেন সারা জীবন কুরআনের আলোয় পথ চলতে পারে এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
.png)
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫
মাত্র ৭০ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করেছে আট বছর বয়সী মো. মারুফ হাসান। এ ছাড়া নয় বছরের আব্দুর রহমান মাত্র ১৪০ দিনে পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা হিফজ সম্পন্ন করেছে। তারা দুজনই নাটোরের নূরে মদিনা মডেল মাদরাসার শিক্ষার্থী।
রোববার (২৩ নভেম্বর) দুই শিশুর কোরআন মুখস্থ করার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
একই মাদরাসা থেকে দুই শিশুর এমন বিস্ময়কর অর্জনে মাদরাসা, পরিবার ও স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
মাদরাসা সূত্র জানায়, শুরু থেকেই হিফজ বিভাগে মারুফ হাসান ও আব্দুর রহমান ছিল অত্যন্ত মনোযোগী ও শৃঙ্খলাবদ্ধ। প্রতিদিন নির্ধারিত পড়া যত্নসহকারে সম্পন্ন করায় তাদের হিফজের গতি ছিল অসাধারণ।
মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি নূরনবী সিরাজী বলেন, কোরআনের প্রতি দুই শিশুর গভীর অনুরাগ, শৃঙ্খলা ও নিরলস মনোযোগই তাদের দ্রুত সময়ে হিফজ সম্পন্নের প্রধান কারণ। আল্লাহর বিশেষ রহমত না থাকলে এমন অর্জন সম্ভব নয়।
হাফেজ হওয়ার পর অনুভূতি জানাতে গিয়ে মারুফ হাসান বলে- এটা আমার জীবনের বড় অর্জন। সবাই দোয়া করবেন, আমি যেন বিশ্বজয়ী হাফেজ হতে পারি।
হাফেজ আব্দুর রহমান বলেছে, আল্লাহ আমাকে কোরআনকে বুকে ধারণ করার শক্তি দিয়েছেন। আমার শিক্ষক আর বাবা-মা প্রতিদিন অনুপ্রাণিত করেছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কোরআনকে জীবনভর ধারণ করাই আমার স্বপ্ন।
মাদারীপুর জেলার শিবচরের প্রবাসী বেলাল মোল্লার ছোট ছেলে হাফেজ মারুফ হাসান। মারুফ হাসানের মা বলেন, সন্তানের এত ছোট বয়সে এমন সাফল্য আমাদের জন্য আল্লাহর বড় নেয়ামত। আমরা চাই, সে ইসলামি জ্ঞান অর্জন করে সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করুক।
অন্যদিকে হাফেজ আব্দুর রহমানের বাবা নাটোর সদরের জাঠিয়ান গ্রামের সেন্টু মিয়া বলেন, আমার সন্তানের এই সাফল্য আমাদের পরিবারের জন্য গর্বের। অল্প বয়সে কোরআন হিফজ করা আল্লাহর অশেষ রহমত। বাবা হিসেবে আমি দোয়া করি, সে যেন সারা জীবন কুরআনের আলোয় পথ চলতে পারে এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
.png)
আপনার মতামত লিখুন