ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

শিক্ষকের পরিবর্তে পরীক্ষা নিল গ্রাম পুলিশ সদস্য



শিক্ষকের পরিবর্তে পরীক্ষা নিল গ্রাম পুলিশ সদস্য
ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করেছেন রাজ হোসেন (৪০) নামের এক গ্রাম পুলিশ। বৃহস্পতিবার ( ডিসেম্বর) উপজেলার পস্তাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে এমন ব্যতিক্রমী ঘটনা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত থাকলেও বাইরে বসে সময় কাটাচ্ছিলেন। এদিকে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে না পেরে উৎকণ্ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল।

এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসেন গ্রাম পুলিশ সদস্য রাজ হোসেন। তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র খাতা সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে পরীক্ষা শুরু করিয়ে দেন। তার এই উদ্যোগে স্থানীয় অভিভাবক এলাকাবাসীও সহযোগিতা করেন।

বিষয়ে রাজ হোসেন বলেন, ‘২২ বছরের চাকরি জীবনে কখনো ভাবিনি পরীক্ষার হলে ডিউটি করতে হবে।

এটা আমার জন্য বড় সম্মান। তবে শিক্ষকদের এমন সময়ে কর্মবিরতি দেওয়া উচিত হয়নি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আহমেদ বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গ্রাম পুলিশদের দায়িত্বে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষকদের চলমান পরীক্ষা বর্জনের কারণে বৃহস্পতিবার পৌরসভা-ইউনিয়নের কর্মচারী, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি গ্রাম পুলিশের সহায়তায় উপজেলার ১৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। 

এমএইছ /  ধ্রুব্কণ্ঠ

বিষয় : পুলিশ শিক্ষক পরীক্ষা

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫


শিক্ষকের পরিবর্তে পরীক্ষা নিল গ্রাম পুলিশ সদস্য

প্রকাশের তারিখ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

featured Image

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করেছেন রাজ হোসেন (৪০) নামের এক গ্রাম পুলিশ। বৃহস্পতিবার ( ডিসেম্বর) উপজেলার পস্তাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে এমন ব্যতিক্রমী ঘটনা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত থাকলেও বাইরে বসে সময় কাটাচ্ছিলেন। এদিকে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে না পেরে উৎকণ্ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল।

এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসেন গ্রাম পুলিশ সদস্য রাজ হোসেন। তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র খাতা সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে পরীক্ষা শুরু করিয়ে দেন। তার এই উদ্যোগে স্থানীয় অভিভাবক এলাকাবাসীও সহযোগিতা করেন।

বিষয়ে রাজ হোসেন বলেন, ‘২২ বছরের চাকরি জীবনে কখনো ভাবিনি পরীক্ষার হলে ডিউটি করতে হবে।

এটা আমার জন্য বড় সম্মান। তবে শিক্ষকদের এমন সময়ে কর্মবিরতি দেওয়া উচিত হয়নি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আহমেদ বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গ্রাম পুলিশদের দায়িত্বে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষকদের চলমান পরীক্ষা বর্জনের কারণে বৃহস্পতিবার পৌরসভা-ইউনিয়নের কর্মচারী, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি গ্রাম পুলিশের সহায়তায় উপজেলার ১৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। 

এমএইছ /  ধ্রুব্কণ্ঠ


ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত