ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

যাত্রীবাহী বাসে কিশোরীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে গণধর্ষণ



যাত্রীবাহী বাসে কিশোরীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে গণধর্ষণ
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে বাসযাত্রী এক কিশোরী (১৪) গণর্ধষণের শিকার হয়েছে। বাসের হেলপার ওই কিশোরীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে যাত্রাবাড়ী না নামিয়ে মদনপুর নিয়ে সহযোগীসহ গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা করেছেন গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২১ নভেম্বর বাদীর মেয়ে সোনারগাঁ থেকে ঢাকার গেণ্ডারিয়া যাওয়ার জন্য বাসে উঠে। এ সময় কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে সখ্যতা গড়ে তোলে বাসের হেলপার রানা (৩২)। কিশোরী যাত্রাবাড়ী নামতে চাইলে তাকে বিভিন্ন কথার ফাঁদে ফেলে সেখানে না নামিয়ে তাকে গাড়ি ঘুরিয়ে বন্দরের মদনপুর এনে নামায়।

পরে রানা ও তার সহযোগী আল আমিন (২৮) মিলে বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের চৌড়ারবাড়ি এলাকায় নিয়ে আল আমিনের বাড়িতে কিশোরীকে রাখে। রাতে তাদের সঙ্গে যোগ হয় আরও একজন। পরে কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে একে একে তারা ধর্ষণ করে।

কিশোরীকে দুই দিন আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণের পর তারা বাইরে গেলে রাতে কিশোরী পালিয়ে স্থানীয় আজহারুল ইসলাম নামে একজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। কিশোরী তাদের কাছে ঘটনা বললে স্থানীয়রা তাকে নিয়ে থানায় যায়। পরে পুলিশ কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

 

এনএম/ধ্রুবকন্ঠ

বিষয় : সারাদেশ বাসযাত্রী কিশোরী গণধর্ষণ বন্ধুত্ব

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫


যাত্রীবাহী বাসে কিশোরীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে গণধর্ষণ

প্রকাশের তারিখ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫

featured Image

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে বাসযাত্রী এক কিশোরী (১৪) গণর্ধষণের শিকার হয়েছে। বাসের হেলপার ওই কিশোরীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে যাত্রাবাড়ী না নামিয়ে মদনপুর নিয়ে সহযোগীসহ গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা করেছেন গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২১ নভেম্বর বাদীর মেয়ে সোনারগাঁ থেকে ঢাকার গেণ্ডারিয়া যাওয়ার জন্য বাসে উঠে। এ সময় কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে সখ্যতা গড়ে তোলে বাসের হেলপার রানা (৩২)। কিশোরী যাত্রাবাড়ী নামতে চাইলে তাকে বিভিন্ন কথার ফাঁদে ফেলে সেখানে না নামিয়ে তাকে গাড়ি ঘুরিয়ে বন্দরের মদনপুর এনে নামায়।

পরে রানা ও তার সহযোগী আল আমিন (২৮) মিলে বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের চৌড়ারবাড়ি এলাকায় নিয়ে আল আমিনের বাড়িতে কিশোরীকে রাখে। রাতে তাদের সঙ্গে যোগ হয় আরও একজন। পরে কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে একে একে তারা ধর্ষণ করে।

কিশোরীকে দুই দিন আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণের পর তারা বাইরে গেলে রাতে কিশোরী পালিয়ে স্থানীয় আজহারুল ইসলাম নামে একজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। কিশোরী তাদের কাছে ঘটনা বললে স্থানীয়রা তাকে নিয়ে থানায় যায়। পরে পুলিশ কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

 

এনএম/ধ্রুবকন্ঠ


ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত