ময়মনসিংহের ভালুকায় পোষাক শ্রমিক দিপুর মরদেহ গাছে ঝোলানোর
‘মূল হোতা’
নিবিড় ইসলাম অনিককে
(২০)
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকার বনানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন চেরাগআলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার
(৩১ ডিসেম্বর) তাকে ময়মনসিংহে আনা হয়। গ্রেপ্তার অনিক ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলার মধ্য ভাটিবাড়ী এলাকার মো.
কালিমুল্লাহর ছেলে।
তিনি ফেব্রুয়ারি থেকে
পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড নামের
একটি পোশাক কারখানায় নিটিং অপারেটর হিসেবে
কর্মরত ছিলেন। ঘটনার
পর থেকেই তিনি
কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা
যায়, গ্রেপ্তার আসামি
অনিক দিপুকে নির্মমভাবে হত্যা করে রশি
দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে
আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে
ফেলা হয়। ঘটনাটি
স্থানীয়ভাবে ব্যাপক
চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
করে এবং বিষয়টি
দেশব্যাপী ও
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে।
ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তদন্তকারী দল হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি মৃত দিপুকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে টেনে তুলছে। প্রাপ্ত তথ্য ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের অংশ হিসেবে অনিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,
অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে দিপু চন্দ্র দাস। তিনি ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের জামিরদিয়া ডুবালিয়াপাড়া এলাকার অবস্থিত পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় লিংকিং সেকশনে কাজ করে আসছিলেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঘটনার রাত পৌনে ৯টার দিকে সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন দিপু চন্দ্রকে কারখানা থেকে বের করে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
এরপর মহাসড়কের ডিভাইডারের একটি গাছে মরদেহ ঝুলিয়ে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পরদিন ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে নিহতের ভাই অপু দাস দেড় শ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেন। নিহতের পরিবারের দাবি, কারখানার ভেতরের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দিপুকে ফাঁসিয়ে দিয়ে মব সৃষ্টি করে এভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
বিষয় : গ্রেপ্তার দিপু হত্যা মূল হোতা
.png)
বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
ময়মনসিংহের ভালুকায় পোষাক শ্রমিক দিপুর মরদেহ গাছে ঝোলানোর
‘মূল হোতা’
নিবিড় ইসলাম অনিককে
(২০)
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকার বনানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন চেরাগআলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার
(৩১ ডিসেম্বর) তাকে ময়মনসিংহে আনা হয়। গ্রেপ্তার অনিক ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলার মধ্য ভাটিবাড়ী এলাকার মো.
কালিমুল্লাহর ছেলে।
তিনি ফেব্রুয়ারি থেকে
পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড নামের
একটি পোশাক কারখানায় নিটিং অপারেটর হিসেবে
কর্মরত ছিলেন। ঘটনার
পর থেকেই তিনি
কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা
যায়, গ্রেপ্তার আসামি
অনিক দিপুকে নির্মমভাবে হত্যা করে রশি
দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে
আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে
ফেলা হয়। ঘটনাটি
স্থানীয়ভাবে ব্যাপক
চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
করে এবং বিষয়টি
দেশব্যাপী ও
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে।
ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তদন্তকারী দল হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি মৃত দিপুকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে টেনে তুলছে। প্রাপ্ত তথ্য ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের অংশ হিসেবে অনিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,
অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে দিপু চন্দ্র দাস। তিনি ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের জামিরদিয়া ডুবালিয়াপাড়া এলাকার অবস্থিত পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় লিংকিং সেকশনে কাজ করে আসছিলেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঘটনার রাত পৌনে ৯টার দিকে সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন দিপু চন্দ্রকে কারখানা থেকে বের করে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
এরপর মহাসড়কের ডিভাইডারের একটি গাছে মরদেহ ঝুলিয়ে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পরদিন ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে নিহতের ভাই অপু দাস দেড় শ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেন। নিহতের পরিবারের দাবি, কারখানার ভেতরের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দিপুকে ফাঁসিয়ে দিয়ে মব সৃষ্টি করে এভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন