নাটোরের বড়াইগ্রামের কুমরুল গ্রামে জমি দখলে
নিতে না পেরে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন
যুবলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে। পরে ওই যুবলীগ নেতা ও তার ভাতিজাদের অব্যাহত হুমকির মুখে
গত ১৫ দিন ধরে নিজ বাড়িতে গৃহবন্দি ছিলেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ
ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী মোসলেম উদ্দিন (৭০) ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগমকে (৬০)
উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, একমাত্র ছেলে ব্যবসার কাজে
রাজশাহীতে থাকায় মোসলেম উদ্দিন ও তার স্ত্রী বাড়িতে থাকেন; কিন্তু মোসলেম উদ্দিনের
দুই ভাতিজা তৌকির ও তারেক মাঝে-মধ্যে জোর করে তার বিভিন্ন জমি দখলে নেওয়াসহ
গাছপালা কেটে বিক্রি করে দেন। তাদের এসব কাজে বাধা দেওয়ায় ২২ নভেম্বর সকালে তার
চাচাতো ভাই জোয়াড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফিরোজ হোসেন ও তার দুই ভাতিজা মোসলেম
উদ্দিনকে মেহগনি গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন। তার স্ত্রী খাদিজা বেগম তাকে
উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করেন তারা। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের
উদ্ধার করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই হামলাকারীরা অব্যাহত
প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার কারণে তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। এমনকি
নিরাপত্তাহীনতার কারণে তার একমাত্র ছেলেও বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। বৃহস্পতিবার
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দম্পতিকে
উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলেও
তাদের পাওয়া যায়নি। এ সময় তৌকির হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও তার সাথে
যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তার স্ত্রী রিয়া খাতুন বলেন, জমি নিয়ে তাদের সঙ্গে ঝামেলা
আছে। এজন্যই গাছের সঙ্গে বেঁধে একটু মারধর করা হয়েছে; কিন্তু তারা এটাকে বিরাট
কিছু হয়েছে বলে প্রচার করছে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি জানান, বিষয়টি জানার পরই
ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ওই বৃদ্ধ দম্পতির যথাযথ
নিরাপত্তা বিধানসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএইছ / ধ্রুবকন্ঠ
.png)
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
নাটোরের বড়াইগ্রামের কুমরুল গ্রামে জমি দখলে
নিতে না পেরে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন
যুবলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে। পরে ওই যুবলীগ নেতা ও তার ভাতিজাদের অব্যাহত হুমকির মুখে
গত ১৫ দিন ধরে নিজ বাড়িতে গৃহবন্দি ছিলেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ
ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী মোসলেম উদ্দিন (৭০) ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগমকে (৬০)
উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, একমাত্র ছেলে ব্যবসার কাজে
রাজশাহীতে থাকায় মোসলেম উদ্দিন ও তার স্ত্রী বাড়িতে থাকেন; কিন্তু মোসলেম উদ্দিনের
দুই ভাতিজা তৌকির ও তারেক মাঝে-মধ্যে জোর করে তার বিভিন্ন জমি দখলে নেওয়াসহ
গাছপালা কেটে বিক্রি করে দেন। তাদের এসব কাজে বাধা দেওয়ায় ২২ নভেম্বর সকালে তার
চাচাতো ভাই জোয়াড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফিরোজ হোসেন ও তার দুই ভাতিজা মোসলেম
উদ্দিনকে মেহগনি গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন। তার স্ত্রী খাদিজা বেগম তাকে
উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করেন তারা। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের
উদ্ধার করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই হামলাকারীরা অব্যাহত
প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার কারণে তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। এমনকি
নিরাপত্তাহীনতার কারণে তার একমাত্র ছেলেও বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। বৃহস্পতিবার
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দম্পতিকে
উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলেও
তাদের পাওয়া যায়নি। এ সময় তৌকির হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও তার সাথে
যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তার স্ত্রী রিয়া খাতুন বলেন, জমি নিয়ে তাদের সঙ্গে ঝামেলা
আছে। এজন্যই গাছের সঙ্গে বেঁধে একটু মারধর করা হয়েছে; কিন্তু তারা এটাকে বিরাট
কিছু হয়েছে বলে প্রচার করছে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি জানান, বিষয়টি জানার পরই
ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ওই বৃদ্ধ দম্পতির যথাযথ
নিরাপত্তা বিধানসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএইছ / ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন