শরীয়তপুর সদর উপজেলার
আংগারীয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন দিয়েছে
দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতের কোনো এক সময় ওই কবরে আগুন দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকালে কবরের ওপর ছাই দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ওই মুক্তিযোদ্ধার
স্বজনরা। তবে বিজয় দিবসের আগের রাতে কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা নিশ্চিত করতে
পারেনি কেউ।
স্থানীয় সূত্র জানায়,
সোমবার রাতে কিছু কাঠ দিয়ে ওই কবরের ওপর আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সকালে
ওই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরা কবরের ওপর ছাই দেখতে পেয়ে বিষয়টি স্থানীয়
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানান।
বীর
মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে আফরোজা আক্তার বলেন, ‘মা প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও বাবার কবর
জিয়ারত করতে গিয়ে আগুনের চিহ্ন দেখতে পান। বিষয়টি দেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তার
চিৎকারে আমরাও ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, কবরের ওপর ছাই ছড়িয়ে আছে। আগুন সদ্য
নিভে গেছে। তখনো ধোঁয়া বের হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধাদের জানানো হয়।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানের স্ত্রী মাহফুজা বেগম কান্না জড়িত
কণ্ঠে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার কবরের ওপরে হেরা যেই অবমাননা করল,কেন করল, কী অপরাধ তার
এটা আমরা জানতে চাই। কিসের জন্য করল, হেরা কি বাংলাদেশের মানুষ না?যারা করছে হেরাও
তো এই বাংলাদেশের মানুষ, স্বাধীন দেশেই তো হেরা চলাফেরা করে। কেন হেরা এই কাজটা
করল?
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলোরা
ইয়াসমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরের ওপর আগুন দেওয়ার তথ্য
তার মেয়ে আমাকে জানিয়েছেন। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এসিল্যান্ড ঘটনাস্থলে
পৌঁছেছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে এ বিষয়ে
কথা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিষয় : বীর মুক্তিযোদ্ধা আগুন শরীয়তপুর
.png)
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
শরীয়তপুর সদর উপজেলার
আংগারীয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন দিয়েছে
দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতের কোনো এক সময় ওই কবরে আগুন দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকালে কবরের ওপর ছাই দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ওই মুক্তিযোদ্ধার
স্বজনরা। তবে বিজয় দিবসের আগের রাতে কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা নিশ্চিত করতে
পারেনি কেউ।
স্থানীয় সূত্র জানায়,
সোমবার রাতে কিছু কাঠ দিয়ে ওই কবরের ওপর আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সকালে
ওই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরা কবরের ওপর ছাই দেখতে পেয়ে বিষয়টি স্থানীয়
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানান।
বীর
মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে আফরোজা আক্তার বলেন, ‘মা প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও বাবার কবর
জিয়ারত করতে গিয়ে আগুনের চিহ্ন দেখতে পান। বিষয়টি দেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তার
চিৎকারে আমরাও ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, কবরের ওপর ছাই ছড়িয়ে আছে। আগুন সদ্য
নিভে গেছে। তখনো ধোঁয়া বের হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধাদের জানানো হয়।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানের স্ত্রী মাহফুজা বেগম কান্না জড়িত
কণ্ঠে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার কবরের ওপরে হেরা যেই অবমাননা করল,কেন করল, কী অপরাধ তার
এটা আমরা জানতে চাই। কিসের জন্য করল, হেরা কি বাংলাদেশের মানুষ না?যারা করছে হেরাও
তো এই বাংলাদেশের মানুষ, স্বাধীন দেশেই তো হেরা চলাফেরা করে। কেন হেরা এই কাজটা
করল?
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলোরা
ইয়াসমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরের ওপর আগুন দেওয়ার তথ্য
তার মেয়ে আমাকে জানিয়েছেন। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এসিল্যান্ড ঘটনাস্থলে
পৌঁছেছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে এ বিষয়ে
কথা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
.png)
আপনার মতামত লিখুন