ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

ফিলিস্তিনিদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে চায় ইসরাইল



ফিলিস্তিনিদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে চায় ইসরাইল
ছবি : সংগৃহীত

গাজা উপত্যকার রাফাহ এলাকায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনিদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে রাফাহ সীমান্ত খুলে দিতে চায় ইসরাইল। দখলদার দেশটির সামরিক দপ্তর কোগাত জানিয়েছে, মিশরের সঙ্গে সমন্বয় করেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

 এমন দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একতরফা বলছে মিশর। রাফাহ সীমান্ত খোলা নিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে কোনো কথাই হয়নি বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিবেশি দেশটি। তবে মিশরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে সীমান্ত খোলা হলে তারা সাড়া দেবে।

ইসরাইলের সামরিক দপ্তর কোগাত জানায়, নিরাপত্তা অনুমোদনের পর এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের তদারকির পর তারা মিশরের সঙ্গে কথা বলেছে। এরপর তারা গাজাবাসীদের বেরিয়ে যেতে এই প্রস্থান প্রক্রিয়া পরিচালিত করবে। ইসরাইলের দাবি, জানুয়ারির যুদ্ধবিরতির সময় যে ব্যবস্থায় ক্রসিং খোলা হয়েছিল, এবারও সেই ব্যবস্থাই অনুসরণ করা হবে।

একজন ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, এটি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধবিরতির প্রতি ইসরাইলের সমর্থনের প্রতিফলন। সাত সপ্তাহ ধরে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। তবে বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে মিশর। দেশটির স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিস জানায়, যদি ক্রসিং খোলার বিষয়ে কোনো সমঝোতা হয়, তবে তা হবে দুই দিকেই চলাচলের জন্য। সেটি হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার ভিত্তিতে।

ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, রাফাহ ক্রসিং উভয়মুখী খোলা হলেও তা জানুয়ারির যুদ্ধবিরতির মতো একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে। তবে ২০২৪ সালের মে মাস থেকে রাফাহ ক্রসিং প্রায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। ওই সময় গাজার এই অংশ দখলে নেয় ইসরাইল। এর আগে এটি ছিল গাজাবাসীদের জন্য মূল বহির্গমন পথ এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের অন্যতম প্রধান রুট। তবে তা এখন ইসরাইল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ১৬,৫০০ গুরুতর অসুস্থ বা আহত ফিলিস্তিনি জরুরি চিকিৎসার জন্য গাজা ছাড়ার অপেক্ষায় আছেন। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর এই পর্যন্ত মাত্র ২৩৫ জন রোগী দেশটি ছাড়তে পেরেছে।

ইসরাইলের পত্রিকা হারেৎজ জানিয়েছে, রাফাহ ক্রসিং পুনরায় খুললে সেটি পরিচালনায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পিএ সদস্যরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বার্ডার অ্যাসিস্ট্যান্স মিশনের সঙ্গে কাজ করবে। আগের যুদ্ধবিরতির সময়ও একইভাবে তারা কাজ করেছিল। তবে ইসরাইলের আপত্তির কারণে তারা কোনো অফিশিয়াল পরিচয়চিহ্ন ব্যবহার করেনি।

তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগে থেকেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসনে পিএ-এর কোনো ভূমিকা থাকবে না।

 

এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ

বিষয় : ফিলিস্তিন ইসরাইল মিশর

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫


ফিলিস্তিনিদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে চায় ইসরাইল

প্রকাশের তারিখ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

featured Image

গাজা উপত্যকার রাফাহ এলাকায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনিদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে রাফাহ সীমান্ত খুলে দিতে চায় ইসরাইল। দখলদার দেশটির সামরিক দপ্তর কোগাত জানিয়েছে, মিশরের সঙ্গে সমন্বয় করেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

 এমন দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একতরফা বলছে মিশর। রাফাহ সীমান্ত খোলা নিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে কোনো কথাই হয়নি বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিবেশি দেশটি। তবে মিশরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে সীমান্ত খোলা হলে তারা সাড়া দেবে।

ইসরাইলের সামরিক দপ্তর কোগাত জানায়, নিরাপত্তা অনুমোদনের পর এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের তদারকির পর তারা মিশরের সঙ্গে কথা বলেছে। এরপর তারা গাজাবাসীদের বেরিয়ে যেতে এই প্রস্থান প্রক্রিয়া পরিচালিত করবে। ইসরাইলের দাবি, জানুয়ারির যুদ্ধবিরতির সময় যে ব্যবস্থায় ক্রসিং খোলা হয়েছিল, এবারও সেই ব্যবস্থাই অনুসরণ করা হবে।

একজন ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, এটি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধবিরতির প্রতি ইসরাইলের সমর্থনের প্রতিফলন। সাত সপ্তাহ ধরে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। তবে বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে মিশর। দেশটির স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিস জানায়, যদি ক্রসিং খোলার বিষয়ে কোনো সমঝোতা হয়, তবে তা হবে দুই দিকেই চলাচলের জন্য। সেটি হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার ভিত্তিতে।

ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, রাফাহ ক্রসিং উভয়মুখী খোলা হলেও তা জানুয়ারির যুদ্ধবিরতির মতো একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে। তবে ২০২৪ সালের মে মাস থেকে রাফাহ ক্রসিং প্রায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। ওই সময় গাজার এই অংশ দখলে নেয় ইসরাইল। এর আগে এটি ছিল গাজাবাসীদের জন্য মূল বহির্গমন পথ এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের অন্যতম প্রধান রুট। তবে তা এখন ইসরাইল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ১৬,৫০০ গুরুতর অসুস্থ বা আহত ফিলিস্তিনি জরুরি চিকিৎসার জন্য গাজা ছাড়ার অপেক্ষায় আছেন। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর এই পর্যন্ত মাত্র ২৩৫ জন রোগী দেশটি ছাড়তে পেরেছে।

ইসরাইলের পত্রিকা হারেৎজ জানিয়েছে, রাফাহ ক্রসিং পুনরায় খুললে সেটি পরিচালনায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পিএ সদস্যরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বার্ডার অ্যাসিস্ট্যান্স মিশনের সঙ্গে কাজ করবে। আগের যুদ্ধবিরতির সময়ও একইভাবে তারা কাজ করেছিল। তবে ইসরাইলের আপত্তির কারণে তারা কোনো অফিশিয়াল পরিচয়চিহ্ন ব্যবহার করেনি।

তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগে থেকেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসনে পিএ-এর কোনো ভূমিকা থাকবে না।

 

এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ


ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত