ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

প্রাথমিক শিক্ষকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষিকা



প্রাথমিক শিক্ষকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে মাধ্যমিক  স্কুল  শিক্ষিকা
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করায় প্রেমিক সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অবস্থান করছেন এক মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষিকা।

আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার চেংগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম সুফলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছেন একই উপজেলার গোপালনগর গ্রামের সালমা খাতুন। তিনি দৌলতপুর উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

সালমা খাতুন জানান, প্রায় চার বছর আগে থেকে সুফলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে বিয়ের আশ্বাস পেয়েই তিনি সম্পর্কটি চালিয়ে গেছেন। বর্তমানে সেই সম্পর্ক অস্বীকার করায় তিনি বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তিনি সেখান থেকে ফিরে যাবেন না বলেও জানান শিক্ষিকা। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, সবধরনের সুবিধা ভোগ করেছেন সুফল।

স্থানীয়দের একাংশের মতে, যেহেতু উভয়েই প্রাপ্তবয়স্ক ও অবিবাহিত, তাই পারস্পরিক আলোচনা করে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হওয়াই শ্রেয়। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শিক্ষকতার মতো দায়িত্বশীল পেশায় থেকে এমন ঘটনায় জড়ানোর বিষয়টি উদ্বেগজনক। বিষয়টির দ্রুত ও সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানান তারা।

অন্যদিকে আমিরুল ইসলাম সুফল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তার সঙ্গে ওই শিক্ষিকার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই।



এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ

বিষয় : শিক্ষক প্রেম

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫


প্রাথমিক শিক্ষকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষিকা

প্রকাশের তারিখ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

featured Image

দীর্ঘ চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করায় প্রেমিক সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অবস্থান করছেন এক মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষিকা।

আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার চেংগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম সুফলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছেন একই উপজেলার গোপালনগর গ্রামের সালমা খাতুন। তিনি দৌলতপুর উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

সালমা খাতুন জানান, প্রায় চার বছর আগে থেকে সুফলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে বিয়ের আশ্বাস পেয়েই তিনি সম্পর্কটি চালিয়ে গেছেন। বর্তমানে সেই সম্পর্ক অস্বীকার করায় তিনি বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তিনি সেখান থেকে ফিরে যাবেন না বলেও জানান শিক্ষিকা। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, সবধরনের সুবিধা ভোগ করেছেন সুফল।

স্থানীয়দের একাংশের মতে, যেহেতু উভয়েই প্রাপ্তবয়স্ক ও অবিবাহিত, তাই পারস্পরিক আলোচনা করে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হওয়াই শ্রেয়। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শিক্ষকতার মতো দায়িত্বশীল পেশায় থেকে এমন ঘটনায় জড়ানোর বিষয়টি উদ্বেগজনক। বিষয়টির দ্রুত ও সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানান তারা।

অন্যদিকে আমিরুল ইসলাম সুফল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তার সঙ্গে ওই শিক্ষিকার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই।



এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ


ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত