বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞা নেই জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, তিনি দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলে এক দিনের মধ্যেই এককালীন ভ্রমণ অনুমতি ইস্যু করা সম্ভব।
‘তিনি
(তারেক রহমান) যদি আজ বলেন যে, তিনি দেশে ফিরতে চান, আমরা আগামীকাল এককালীন ভ্রমণ
অনুমতি ইস্যু করতে পারি। পরদিন তিনি বিমানযোগে দেশে আসতে পারবেন। কোনো সমস্যা নেই।
এটি সম্পূর্ণভাবে তার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে’, বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
জাতীয়
প্রেসক্লাবে রবিবার অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: পরিবর্তনশীল বিশ্বে
প্রাসঙ্গিক ভূমিকা সংজ্ঞায়ন’ শীর্ষক আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের
সামনে উল্লিখিত কথাগুলো বলেন।
কূটনৈতিক
সংবাদদাতা সমিতি, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তৌহিদ
হোসেন বলেন, ‘সরকার জানে না তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে কোন অবস্থানে আছেন।’
তিনি আরও
বলেন, যদি তিনি দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, অন্য কোনো দেশের পক্ষ থেকে তাকে
বাধা দেওয়া অস্বাভাবিক হবে।
কেউ যদি
দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে কিন্তু বৈধ পাসপোর্ট না থাকে, সাধারণত সরকার এককালীন
ভ্রমণ অনুমতি প্রদান করে, যা এক দিনেরও কম সময়ে সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ-ভারত
সম্পর্কের বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী
পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিবেশী ভারতের নতুন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছু সময়ের
প্রয়োজন।
তার আশা,
দুই দেশের কর্মসম্পর্ক শিগগিরই স্বাভাবিক হবে।
‘আমরা
ভারতের সঙ্গে স্বার্থভিত্তিক আরও উন্নত কর্মসম্পর্ক চাই’, বলেন উপদেষ্টা।
তারেক
রহমান দেশে না ফিরলে নির্বাচনি কার্যক্রমে কোনো বাধা দেখা দেবে কি না, এমন
প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ বলেন, কোনো ব্যক্তির অনুপস্থিতি নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে
বলে তিনি মনে করেন না।
সাবেক
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিষয়ে তৌহিদ বলেন, ‘যদিও তিনি ভারতে
আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে নয়াদিল্লি কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা দেয়নি এবং তার
প্রত্যাবর্তন নিয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।’
তিনি
বলেন, ‘আমার কাছে আসাদুজ্জামান খান কামাল সম্পর্কিত কোনো অফিশিয়াল তথ্য নেই। আমরা
সবাই জানি, তিনি ভারতে আছেন, কিন্তু আমাদের কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত আকারে
জানানো হয়নি।
‘আমার
কাছে কোনো তথ্য নেই যে তার ফেরত প্রক্রিয়া সম্পর্কিত কোনো আলোচনা শুরু হতে
যাচ্ছে।’
উপদেষ্টা
আরও বলেন, যেহেতু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দণ্ডিত করা হয়েছে, বাংলাদেশ
আশা করে যত দ্রুত সম্ভব ভারত থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হবে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তৌহিদ বলেন, এটি বিশ্বের একমাত্র সীমান্ত যেখানে যুদ্ধ
পরিস্থিতি ছাড়াই মানুষ নিহত হয়। কেউ যদি অপরাধ করে, তাহলে (গুলি না চালিয়ে) বিচার
ও শাস্তি দেওয়ার জন্য আদালত আছে।
এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ
বিষয় : বিএনপির তারেক রহমানকে অনুমতি চেয়ারম্যান
.png)
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞা নেই জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, তিনি দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলে এক দিনের মধ্যেই এককালীন ভ্রমণ অনুমতি ইস্যু করা সম্ভব।
‘তিনি
(তারেক রহমান) যদি আজ বলেন যে, তিনি দেশে ফিরতে চান, আমরা আগামীকাল এককালীন ভ্রমণ
অনুমতি ইস্যু করতে পারি। পরদিন তিনি বিমানযোগে দেশে আসতে পারবেন। কোনো সমস্যা নেই।
এটি সম্পূর্ণভাবে তার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে’, বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
জাতীয়
প্রেসক্লাবে রবিবার অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: পরিবর্তনশীল বিশ্বে
প্রাসঙ্গিক ভূমিকা সংজ্ঞায়ন’ শীর্ষক আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের
সামনে উল্লিখিত কথাগুলো বলেন।
কূটনৈতিক
সংবাদদাতা সমিতি, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তৌহিদ
হোসেন বলেন, ‘সরকার জানে না তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে কোন অবস্থানে আছেন।’
তিনি আরও
বলেন, যদি তিনি দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, অন্য কোনো দেশের পক্ষ থেকে তাকে
বাধা দেওয়া অস্বাভাবিক হবে।
কেউ যদি
দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে কিন্তু বৈধ পাসপোর্ট না থাকে, সাধারণত সরকার এককালীন
ভ্রমণ অনুমতি প্রদান করে, যা এক দিনেরও কম সময়ে সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ-ভারত
সম্পর্কের বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী
পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিবেশী ভারতের নতুন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছু সময়ের
প্রয়োজন।
তার আশা,
দুই দেশের কর্মসম্পর্ক শিগগিরই স্বাভাবিক হবে।
‘আমরা
ভারতের সঙ্গে স্বার্থভিত্তিক আরও উন্নত কর্মসম্পর্ক চাই’, বলেন উপদেষ্টা।
তারেক
রহমান দেশে না ফিরলে নির্বাচনি কার্যক্রমে কোনো বাধা দেখা দেবে কি না, এমন
প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ বলেন, কোনো ব্যক্তির অনুপস্থিতি নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে
বলে তিনি মনে করেন না।
সাবেক
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিষয়ে তৌহিদ বলেন, ‘যদিও তিনি ভারতে
আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে নয়াদিল্লি কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা দেয়নি এবং তার
প্রত্যাবর্তন নিয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।’
তিনি
বলেন, ‘আমার কাছে আসাদুজ্জামান খান কামাল সম্পর্কিত কোনো অফিশিয়াল তথ্য নেই। আমরা
সবাই জানি, তিনি ভারতে আছেন, কিন্তু আমাদের কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত আকারে
জানানো হয়নি।
‘আমার
কাছে কোনো তথ্য নেই যে তার ফেরত প্রক্রিয়া সম্পর্কিত কোনো আলোচনা শুরু হতে
যাচ্ছে।’
উপদেষ্টা
আরও বলেন, যেহেতু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দণ্ডিত করা হয়েছে, বাংলাদেশ
আশা করে যত দ্রুত সম্ভব ভারত থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হবে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তৌহিদ বলেন, এটি বিশ্বের একমাত্র সীমান্ত যেখানে যুদ্ধ
পরিস্থিতি ছাড়াই মানুষ নিহত হয়। কেউ যদি অপরাধ করে, তাহলে (গুলি না চালিয়ে) বিচার
ও শাস্তি দেওয়ার জন্য আদালত আছে।
এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন