ধ্রুবকন্ঠ

তাড়াশে অসময়ের বৃষ্টিতে সরিষার ব্যাপক ক্ষতি, কৃষকদের মাথায় হাত



তাড়াশে অসময়ের বৃষ্টিতে সরিষার ব্যাপক ক্ষতি, কৃষকদের মাথায় হাত
ছবি: মোঃ আলামিন হোসেন

সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলা, যা তার কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির জন্য সুপরিচিত, সেখানে গত শনিবারের আকস্মিক বৃষ্টিতে সরিষা চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই অপ্রত্যাশিত বৃষ্টিতে মাঠের পর মাঠ সরিষা ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা এখন আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

তাড়াশ উপজেলার কৃষকদের একমাত্র জীবিকা কৃষি কাজ। বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর পরই তারা তাদের জমিতে সরিষা বুনেছিলেন, যা থেকে ভালো ফলনের আশা করছিলেন। কিন্তু গত শনিবারের অবিরাম বৃষ্টি তাদের সেই আশায় গুড়েবালি দিয়েছে। বৃষ্টির পানিতে সরিষা ক্ষেতগুলো সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে, যার ফলে অসংখ্য আবাদি জমি নষ্ট হয়ে গেছে।

দেবীপুর গ্রামের একজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জানান, "আমরা এই বছরে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। সরিষা আমাদের প্রধান ফসল, আর এই ক্ষতি আমাদের কোমর ভেঙে দিয়েছে। যদি আমরা সরকারের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাই, তাহলে আমাদের জন্য খুব ভালো হয়।"

কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তবে কৃষকদের দাবি, দ্রুত ক্ষতিপূরণ না পেলে তাদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে।

এই অপ্রত্যাশিত দুর্যোগ তাড়াশ উপজেলার কৃষকদের জীবনে অনিশ্চয়তা নিয়ে এসেছে। এখন দেখার বিষয়, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কীভাবে এই কৃষকদের পাশে দাঁড়ায় এবং তাদের এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সাহায্য করে।

ধ্রুবকন্ঠ/এসপি

বিষয় : বৃষ্টি ক্ষতি কৃষক

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ

রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫


তাড়াশে অসময়ের বৃষ্টিতে সরিষার ব্যাপক ক্ষতি, কৃষকদের মাথায় হাত

প্রকাশের তারিখ : ০২ নভেম্বর ২০২৫

featured Image

সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলা, যা তার কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির জন্য সুপরিচিত, সেখানে গত শনিবারের আকস্মিক বৃষ্টিতে সরিষা চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই অপ্রত্যাশিত বৃষ্টিতে মাঠের পর মাঠ সরিষা ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা এখন আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

তাড়াশ উপজেলার কৃষকদের একমাত্র জীবিকা কৃষি কাজ। বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর পরই তারা তাদের জমিতে সরিষা বুনেছিলেন, যা থেকে ভালো ফলনের আশা করছিলেন। কিন্তু গত শনিবারের অবিরাম বৃষ্টি তাদের সেই আশায় গুড়েবালি দিয়েছে। বৃষ্টির পানিতে সরিষা ক্ষেতগুলো সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে, যার ফলে অসংখ্য আবাদি জমি নষ্ট হয়ে গেছে।

দেবীপুর গ্রামের একজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জানান, "আমরা এই বছরে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। সরিষা আমাদের প্রধান ফসল, আর এই ক্ষতি আমাদের কোমর ভেঙে দিয়েছে। যদি আমরা সরকারের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাই, তাহলে আমাদের জন্য খুব ভালো হয়।"

কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তবে কৃষকদের দাবি, দ্রুত ক্ষতিপূরণ না পেলে তাদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে।

এই অপ্রত্যাশিত দুর্যোগ তাড়াশ উপজেলার কৃষকদের জীবনে অনিশ্চয়তা নিয়ে এসেছে। এখন দেখার বিষয়, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কীভাবে এই কৃষকদের পাশে দাঁড়ায় এবং তাদের এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সাহায্য করে।

ধ্রুবকন্ঠ/এসপি


ধ্রুবকন্ঠ

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত