জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি বিতর্কিত ও অবৈধ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত জকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ব্যর্থ হয়েছেন—এমন অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই প্রস্তুতির ঘাটতি, আচরণবিধি বাস্তবায়নে শৈথিল্য এবং শিক্ষক প্রতিনিধিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এতে নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়।
প্রতিবাদ মিছিলের সময় একদল শিক্ষার্থী ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে মিছিল এগিয়ে নেন। এ সময় আরেকদল শিক্ষার্থী ওই স্লোগানের বিরোধিতা করে তাদের কাছ থেকে মাইক কেড়ে নেন এবং পাল্টা হিসেবে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। এতে মিছিলের মধ্যে সাময়িক বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে। এর ফলে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যদিও বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করেছেন, তবে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীদের দাবি, বিতর্কিত সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক কমিটির জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে এবং আজকের মাঝেই একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য জকসু নির্বাচনের সম্পূর্ণ হওয়ার পক্ষে ক্যাম্পাসের সকল সাধারণ শিক্ষার্থীরা ।
শিক্ষার্থীদের মতে, প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
.png)
বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি বিতর্কিত ও অবৈধ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত জকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ব্যর্থ হয়েছেন—এমন অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই প্রস্তুতির ঘাটতি, আচরণবিধি বাস্তবায়নে শৈথিল্য এবং শিক্ষক প্রতিনিধিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এতে নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়।
প্রতিবাদ মিছিলের সময় একদল শিক্ষার্থী ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে মিছিল এগিয়ে নেন। এ সময় আরেকদল শিক্ষার্থী ওই স্লোগানের বিরোধিতা করে তাদের কাছ থেকে মাইক কেড়ে নেন এবং পাল্টা হিসেবে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। এতে মিছিলের মধ্যে সাময়িক বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে। এর ফলে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যদিও বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করেছেন, তবে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীদের দাবি, বিতর্কিত সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক কমিটির জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে এবং আজকের মাঝেই একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য জকসু নির্বাচনের সম্পূর্ণ হওয়ার পক্ষে ক্যাম্পাসের সকল সাধারণ শিক্ষার্থীরা ।
শিক্ষার্থীদের মতে, প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
.png)
আপনার মতামত লিখুন