কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
(কুবি) ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইরাসমাস ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট মোবিলিটি (আইসিএম) কর্মসূচিতে
অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক
সম্পর্ক দপ্তরের পরিচালক মশিউর রহমান এ বিষয় জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক
সম্পর্ক দপ্তর জানায়, 'বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্প্রতি OID (অর্গানাইজেশন আইডি) পেয়েছে। এটির
নম্বর E10413895। এর ফলে ইউরোপ ও তুরস্কসহ মোট ৩৩টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থী,
শিক্ষক ও গবেষক বিনিময় কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার পথ খুলল। বাংলাদেশে অনেক সময় এটিকে
“ইরাসমাস স্ট্যাটাস” বলা হয়। তবে বাংলাদেশের জন্য আলাদা কোনো “স্ট্যাটাস” নেই। কুবি
যে স্বীকৃতি পেয়েছে, তা মূলত আইসিএম কর্মসূচিতে পার্টনার প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত হওয়ার
অনুমোদন।
তবে এই কর্মসূচির মূল সমন্বয়কারী
প্রতিষ্ঠান (কো-অর্ডিনেটিং ইউনিভার্সিটি) অবশ্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশ বা তুরস্কের
হতে হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তর।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তরের
পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, “প্রায় দুই মাস ধরে আবেদন প্রক্রিয়া চলেছে। OID পাওয়ার ফলে
এখন আমরা ৩৩টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় কার্যক্রমে অংশ
নেওয়ার সুযোগ পাব।”
তিনি জানান, এই সুযোগ কাজে
লাগাতে কুবির অগ্রাধিকার হবে আরও বেশি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করা। কারণ, আইসিএম কর্মসূচিতে
কুবি সরাসরি কোনো অর্থ সহায়তা পায় না। ইউরোপ বা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অংশীদার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
তাদের জাতীয় সংস্থার মাধ্যমে যে বার্ষিক তহবিল পায়, সেই তহবিলের আওতায় কুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
বিনিময় কর্মসূচির সুযোগ পেতে পারেন—যদি ওই অংশীদার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবেদন করে অর্থ
পায়।
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের ১৯
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুবির অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো এই OID ব্যবহার করে আইসিএম তহবিলের
জন্য আবেদন করতে পারবে। আবেদন সফল হলে কুবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে
বিনিময় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার বাস্তব সুযোগ তৈরি হবে।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
(কুবি) ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইরাসমাস ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট মোবিলিটি (আইসিএম) কর্মসূচিতে
অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক
সম্পর্ক দপ্তরের পরিচালক মশিউর রহমান এ বিষয় জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক
সম্পর্ক দপ্তর জানায়, 'বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্প্রতি OID (অর্গানাইজেশন আইডি) পেয়েছে। এটির
নম্বর E10413895। এর ফলে ইউরোপ ও তুরস্কসহ মোট ৩৩টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থী,
শিক্ষক ও গবেষক বিনিময় কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার পথ খুলল। বাংলাদেশে অনেক সময় এটিকে
“ইরাসমাস স্ট্যাটাস” বলা হয়। তবে বাংলাদেশের জন্য আলাদা কোনো “স্ট্যাটাস” নেই। কুবি
যে স্বীকৃতি পেয়েছে, তা মূলত আইসিএম কর্মসূচিতে পার্টনার প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত হওয়ার
অনুমোদন।
তবে এই কর্মসূচির মূল সমন্বয়কারী
প্রতিষ্ঠান (কো-অর্ডিনেটিং ইউনিভার্সিটি) অবশ্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশ বা তুরস্কের
হতে হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তর।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তরের
পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, “প্রায় দুই মাস ধরে আবেদন প্রক্রিয়া চলেছে। OID পাওয়ার ফলে
এখন আমরা ৩৩টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় কার্যক্রমে অংশ
নেওয়ার সুযোগ পাব।”
তিনি জানান, এই সুযোগ কাজে
লাগাতে কুবির অগ্রাধিকার হবে আরও বেশি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করা। কারণ, আইসিএম কর্মসূচিতে
কুবি সরাসরি কোনো অর্থ সহায়তা পায় না। ইউরোপ বা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অংশীদার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
তাদের জাতীয় সংস্থার মাধ্যমে যে বার্ষিক তহবিল পায়, সেই তহবিলের আওতায় কুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
বিনিময় কর্মসূচির সুযোগ পেতে পারেন—যদি ওই অংশীদার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবেদন করে অর্থ
পায়।
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের ১৯
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুবির অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো এই OID ব্যবহার করে আইসিএম তহবিলের
জন্য আবেদন করতে পারবে। আবেদন সফল হলে কুবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে
বিনিময় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার বাস্তব সুযোগ তৈরি হবে।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন