বিশ্বজুড়ে বক্স অফিসে
নতুন ইতিহাস তৈরি করল এক অ্যানিমেশন ছবি যার নাম ‘জুটোপিয়া টু’। মুক্তির সতেরো
দিনের মধ্যেই ছবিটি বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে। এর
মধ্য দিয়ে সর্বকালের দ্রুততম পারিবারিক শ্রেণির ছবি হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল
ডিজনির এই অ্যানিমেশন সিক্যুয়াল।
ডিজনির
প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটি এখন পর্যন্ত নিজ দেশের বাজার থেকে আয় করেছে প্রায় ২৩২
কোটি মার্কিন ডলার।
এরই সাথে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এসেছে প্রায় ৭৫৩ কোটি মার্কিন ডলার। সব মিলিয়ে
মোট আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৮৬ কোটি মার্কিন ডলার। দ্রুতই ১ বিলিয়ন ডলারের সীমা পেরিয়ে
যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি বছরে এটি তৃতীয় ছবি হিসেবে ১ বিলিয়ন ডলারের
ক্লাবে প্রবেশ করল। এর আগে ডিজনির ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ এবং চীনের
অ্যানিমেশন ব্লকবাস্টার ‘নে ঝা টু’ এই কীর্তি গড়েছিল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এখন
পর্যন্ত মাত্র তেরোটি অ্যানিমেশন ছবি ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করতে পেরেছে। তার
মধ্যে ১০টিই ডিজনির প্রযোজনা।
ডিজনি
অ্যানিমেশন স্টুডিওর প্রধান সৃজনশীল কর্মকর্তা জ্যারেড বুশ বলেন, এই ছবিতে আমাদের
প্রতিটি সদস্য তাদের হৃদয় ও সৃজনশীলতা উজাড় করে দিয়েছে। এই সাফল্য আমাদের কাছে শুধু অর্থনৈতিক অর্জন নয়, বরং সারা বিশ্বের দর্শক
একসঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে বসে ছবি দেখছে এই অভিজ্ঞতারই স্বীকৃতি। এটাই ‘জুটোপিয়া’র
স্বপ্ন।
প্রথম
‘জুটোপিয়া’ ছবিটি মুক্তির নয় বছর পর দ্বিতীয় কিস্তি মুক্তি পায় থ্যাংক্স গিভিং
উৎসবকে সামনে রেখে। মুক্তির প্রথম পাঁচ দিনের ছুটিতে উত্তর আমেরিকায় ছবিটি আয় করে
প্রায় ১৫৮ কোটি ডলার এবং বিশ্বজুড়ে আয় দাঁড়ায় প্রায় ৫৫৯ কোটি ডলার। এটি পারিবারিক
অ্যানিমেশন ছবির ইতিহাসে অন্যতম সেরা সূচনা।
চীনের বাজারেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ‘জুটোপিয়া টু’। সেখানে ছবিটির আয় এখন পর্যন্ত
প্রায় ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশটিতে এটি বিদেশি ছবির মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করা
ছবি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। জ্যারেড বুশ ও বায়রন হাওয়ার্ড পরিচালিত এই ছবিতে
প্রাণীদের শহরে আবারও দেখা যায় খরগোশ পুলিশ কর্মকর্তা ও ধূর্ত শিয়াল জুটিকে। নতুন এক
রহস্যময় সরীসৃপ চরিত্রকে ঘিরে এগোয় গল্প। সমালোচকদের প্রশংসা, দর্শকের মুখে মুখে প্রশংসা
আর পারিবারিক দর্শকের দীর্ঘদিনের অপেক্ষাদ; সব মিলিয়েই বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাফল্য
এনে দিয়েছে ‘জুটোপিয়া টু’।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
বিশ্বজুড়ে বক্স অফিসে
নতুন ইতিহাস তৈরি করল এক অ্যানিমেশন ছবি যার নাম ‘জুটোপিয়া টু’। মুক্তির সতেরো
দিনের মধ্যেই ছবিটি বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে। এর
মধ্য দিয়ে সর্বকালের দ্রুততম পারিবারিক শ্রেণির ছবি হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল
ডিজনির এই অ্যানিমেশন সিক্যুয়াল।
ডিজনির
প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটি এখন পর্যন্ত নিজ দেশের বাজার থেকে আয় করেছে প্রায় ২৩২
কোটি মার্কিন ডলার।
এরই সাথে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এসেছে প্রায় ৭৫৩ কোটি মার্কিন ডলার। সব মিলিয়ে
মোট আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৮৬ কোটি মার্কিন ডলার। দ্রুতই ১ বিলিয়ন ডলারের সীমা পেরিয়ে
যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি বছরে এটি তৃতীয় ছবি হিসেবে ১ বিলিয়ন ডলারের
ক্লাবে প্রবেশ করল। এর আগে ডিজনির ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ এবং চীনের
অ্যানিমেশন ব্লকবাস্টার ‘নে ঝা টু’ এই কীর্তি গড়েছিল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এখন
পর্যন্ত মাত্র তেরোটি অ্যানিমেশন ছবি ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করতে পেরেছে। তার
মধ্যে ১০টিই ডিজনির প্রযোজনা।
ডিজনি
অ্যানিমেশন স্টুডিওর প্রধান সৃজনশীল কর্মকর্তা জ্যারেড বুশ বলেন, এই ছবিতে আমাদের
প্রতিটি সদস্য তাদের হৃদয় ও সৃজনশীলতা উজাড় করে দিয়েছে। এই সাফল্য আমাদের কাছে শুধু অর্থনৈতিক অর্জন নয়, বরং সারা বিশ্বের দর্শক
একসঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে বসে ছবি দেখছে এই অভিজ্ঞতারই স্বীকৃতি। এটাই ‘জুটোপিয়া’র
স্বপ্ন।
প্রথম
‘জুটোপিয়া’ ছবিটি মুক্তির নয় বছর পর দ্বিতীয় কিস্তি মুক্তি পায় থ্যাংক্স গিভিং
উৎসবকে সামনে রেখে। মুক্তির প্রথম পাঁচ দিনের ছুটিতে উত্তর আমেরিকায় ছবিটি আয় করে
প্রায় ১৫৮ কোটি ডলার এবং বিশ্বজুড়ে আয় দাঁড়ায় প্রায় ৫৫৯ কোটি ডলার। এটি পারিবারিক
অ্যানিমেশন ছবির ইতিহাসে অন্যতম সেরা সূচনা।
চীনের বাজারেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ‘জুটোপিয়া টু’। সেখানে ছবিটির আয় এখন পর্যন্ত
প্রায় ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশটিতে এটি বিদেশি ছবির মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করা
ছবি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। জ্যারেড বুশ ও বায়রন হাওয়ার্ড পরিচালিত এই ছবিতে
প্রাণীদের শহরে আবারও দেখা যায় খরগোশ পুলিশ কর্মকর্তা ও ধূর্ত শিয়াল জুটিকে। নতুন এক
রহস্যময় সরীসৃপ চরিত্রকে ঘিরে এগোয় গল্প। সমালোচকদের প্রশংসা, দর্শকের মুখে মুখে প্রশংসা
আর পারিবারিক দর্শকের দীর্ঘদিনের অপেক্ষাদ; সব মিলিয়েই বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাফল্য
এনে দিয়েছে ‘জুটোপিয়া টু’।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন